অপারেশন সিঁদুর: আহত আরেক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু
Published: 12th, May 2025 GMT
জম্মু ও কাশ্মীরের আর এস পুরা সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাকিস্তানের গোলার আঘাতে আহত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আরেক জওয়ান মারা গেছেন। গতকাল রোববার তিনি মারা যান।
নিহত কনস্টেবলের নাম দীপক চিমনগাখাম। তিনি মণিপুর রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।
গত শনিবার দিনের প্রথম ভাগে পাকিস্তান থেকে আসা গোলার আঘাতে বিএসএফের আটজন জওয়ান আহত হন। তাঁদের মধ্যে দীপক ছিলেন।
৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করার পর সীমান্তের ওপার থেকে আসা ভারী গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত দেশটির ১৮ বেসামরিক নাগরিক এবং নিরাপত্তাবাহিনীর ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।
বিএসএফের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সেবায় আত্মোৎসর্গকারী বিএসএফের বীর জওয়ান কনস্টেবল (জিডি) দীপক চিমনগাখামের চূড়ান্ত আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ১০ মে জম্মুর আর এস পুরা সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং ১১ মে শহীদ হন।’
আরও পড়ুনপাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন০৭ মে ২০২৫এ ছাড়া গোলার আঘাতে আহত হওয়ার পর মারা যাওয়া বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় আরও ১৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের কেন্দ্রী এলাকা দিয়ে আরও ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) মিনাটিলা বিওপির সদস্যরা।
বিজিবি জানিয়েছে, ভোররাতে বিএসএফ-৪ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশি এসব নাগরিকদের জৈন্তাপুর কেন্দ্রী এলাকায় ঠেলে পাঠায়। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
এ বিষয়ে ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক সমকালকে জানান, যাচাই-বাছাই শেষে আটকদের থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত ১২ জুন একই উপজেলার শ্রীপুর ও মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।