জম্মু ও কাশ্মীরের আর এস পুরা সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাকিস্তানের গোলার আঘাতে আহত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আরেক জওয়ান মারা গেছেন। গতকাল রোববার তিনি মারা যান।

নিহত কনস্টেবলের নাম দীপক চিমনগাখাম। তিনি মণিপুর রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।
গত শনিবার দিনের প্রথম ভাগে পাকিস্তান থেকে আসা গোলার আঘাতে বিএসএফের আটজন জওয়ান আহত হন। তাঁদের মধ্যে দীপক ছিলেন।

৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করার পর সীমান্তের ওপার থেকে আসা ভারী গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত দেশটির ১৮ বেসামরিক নাগরিক এবং নিরাপত্তাবাহিনীর ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বিএসএফের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সেবায় আত্মোৎসর্গকারী বিএসএফের বীর জওয়ান কনস্টেবল (জিডি) দীপক চিমনগাখামের চূড়ান্ত আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ১০ মে জম্মুর আর এস পুরা সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং ১১ মে শহীদ হন।’

আরও পড়ুনপাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন০৭ মে ২০২৫

এ ছাড়া গোলার আঘাতে আহত হওয়ার পর মারা যাওয়া বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মো.

ইমতিয়াজের প্রতি গতকাল রোববার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ইমতিয়াজও আহত ওই আট জওয়ানের একজন ছিলেন। গত শনিবার তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি বিহার রাজ্যে।

আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতি: মোদির ‘অপারেশন সিঁদুর’ কি হিতে বিপরীত হলো১১ মে ২০২৫আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: এর মানে আসলে কী৪ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ