নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, লাশ ফেলে যাওয়ার সময় দুজন আটক
Published: 13th, May 2025 GMT
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবলীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে হত্যার পর পাশের বেগমগঞ্জ উপজেলার একটি খালে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশাটি ধাওয়া করে চালকসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। নিহত যুবলীগ নেতা মো. জাকির হোসেন (৪২) হত্যাসহ ১১টি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার পালোয়ানের পোল নামক স্থানে খাল থেকে জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত রফিক উল্যাহ। নিহত জাকির যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, জাকিরকে হত্যার পর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লাশ খালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের মানুষজন ধাওয়া করে দুজনকে আটক করে। তাঁরা হলেন সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মো.
সোনাপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর জাকির হোসেন কয়েক মাস এলাকায় ছিলেন না। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে মাটির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ব্যবসার জন্য নিজে একটি মাটি কাটার যন্ত্র সংগ্রহ করেন তিনি। ওই ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় আরেকটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের জের ধরে গতকাল সোমবার তাঁর মাটি কাটার যন্ত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার একদিন পর আজ দুপুরে জাকিরকে এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনার সঙ্গে মাটির ব্যবসার বিরোধের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে মেরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার পালোয়ানের পোল এলাকায় খালে ফেলে যাওয়া হয়। পরে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি জানান, একই ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে জনগণ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
এদিকে নিহত জাকিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, কারা তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে, কোথায় থেকে ধরে নিয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে লাশ দেখেছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, থানায় একটি হত্যা, দুটি অস্ত্র ও একাধিক ডাকাতির মামলাসহ ১১ মামলার আসামি জাকিরকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গমগঞ জ উপজ ল উপজ ল র য বল গ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীকে ধাক্কা, নিহত ২
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীকে ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেল। এই দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটির চালক ও এক পথচারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালকের নাম মো. মামুন (৩০)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কোর্টবাড়িয়া গ্রামের মো. রফিকের ছেলে। নিহত পথচারী বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা সামশের সাহা (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলে সোনাইমুড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন মামুন। তাঁর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আরও এক ব্যক্তি ছিলেন। মোটরসাইকেলটি নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কের সোনাইমুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বজরা ইউনিয়নের আফানিয়া নামক স্থানে এসে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় পথচারী সামশের সাহাকে ধাক্কা দিয়ে অনেক দূরে গড়িয়ে পড়ে মোটরসাইকেলটি। দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ও এক পথচারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পথচারী ও চালককে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতাল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।