দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ ছিল সেই অর্জনের উৎসবের দিন। ট্রফি হাতে নিয়ে গ্যালারির সামনে সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করেছেন সাদা-কালো বাহিনীর খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা।
ম্যাচ শেষে সবাই পরে নেন বিশেষভাবে বানানো টি-শার্ট, যেখানে লেখা ছিল ‘উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন’। সেখানে উল্লেখ ছিল ক্লাবের প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘরে তোলা প্রতিটি শিরোপার সাল। পতাকা হাতে খেলোয়াড়রা ছুটে যান গ্যালারির সামনে। ইমানুয়েল, দিয়াবাতেরা মাঠে উৎসব করতেই গ্যালারিতে উড়তে থাকে স্মোক ফ্লেয়ার, কনফেত্তি। ধর্মসাগর পাড়ে গড়া হয়ে যায় এক স্মরণীয় বিকেল।
আজকের ম্যাচে মাঠের পারফরম্যান্সে শিরোপা জয়ী দলটির তেমন কোনো চাপ ছিল না। আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে যাওয়া দলটি আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে মৌসুম শেষ করে। তবে ফলাফলের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে ম্যাচ শেষে উৎসবমুখর পরিবেশ। চ্যাম্পিয়নদের গলায় ঝুলে পদক, হাতে ওঠে ট্রফি।
শিরোপা জয়ের ট্রফি মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী।
দিনটি বিশেষ ছিল আরও একটি কারণে। ব্রাদার্সের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা আজই মাঠকে বিদায় জানালেন। ৪৩তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের সাবেক এই গ্লাভস হাতে লড়াই করা প্রহরী। বিরতিতে তাকে স্মরণীয় বিদায় জানানো হয়। মোহামেডানের গোলকিপিং কোচ ছাইদ হাছান কানন, বাফুফের জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান এবং আবাহনীর সাবেক ফুটবলার নজরুল ইসলাম রানার হাতে তুলে দেন বিদায়ী ক্রেস্ট।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল ২-১ গোলে হারায় ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। এই হারের ফলে অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে ওয়ান্ডারার্সের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।