বগুড়ার মহাস্থানে যাত্রীবাহী বাসচাপায় দাদি ও নাতি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- মছিরন বিবি ও নুর আলম।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নাতি নুর আলমকে সঙ্গে নিয়ে নাতনির বাড়িতে যাচ্ছিলেন মছিরন বিবি।
মহাস্থান মাহীওয়ার ডিগ্রি কলেজ এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের সময় বগুড়া থেকে রংপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। এ সময় নুর আলমের মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত হন মছিরন। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখছে এবং বাসটি শনাক্ত করতে কাজ চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত উজ্জ্বল মিয়া (৩৩) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার দৌলতকান্দী রেলস্টেশন–সংলগ্ন আউটার রেললাইন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত উজ্জ্বল মিয়া রায়পুরার পিরিজকান্দীর সাধুনগর এলাকার মো. মাস্তো মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় লোকজন ও রেলওয়ে পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি একাধিকবার হুইসেল দিলেও ওই যুবক শুনতে পাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর শরীর খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়।

স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উজ্জ্বলের ছোট ভাই রাকিব মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে গায়ের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন। দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা লাশ উদ্ধার করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মো. জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ