নিখোঁজ যুবকের লাশ মিলল নিজ বাড়ির টিনের চালে
Published: 4th, June 2025 GMT
মাগুরায় নিখোঁজের দুইদিন পর নিজ বাড়ির টিনের চাল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তার পিঠে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া যুবকের নাম আমীন উদ্দিন ওরফে আল আমীন (১৯)। তিনি পৌরসভার তাঁতিপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তবিবুর রহমানের ছেলে। আমীন মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম জানান, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, ভাত খাবে কি না। ছেলে জানায়, আম খাবে। তখন তাকে আম ও ছুরি এগিয়ে দিয়ে তিনি নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে এসে ছেলেকে আর পাননি। এরপর থেকেই খোঁজাখুঁজি চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরের পর বাড়ির টিনের চালের ওপর তার লাশ পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন:
বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মেজো ভাই খুন
ধামরাইয়ে মা ও ২ ছেলের লাশ উদ্ধার
আনোয়ারা বেগম বলেন, “আপনাদের কাছে কিছু চাই না। শুধু আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। যেন নিজ চোখে বিচার দেখে যেতে পারি।”
পুলিশ জানায়, যুবক নিখোঁজের ঘটনায় গত সোমবার (২ জুন) সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। এরপর থেকেই ওই যুবকের খোঁজ চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত যুবকের পরিবার যে বাড়িতে থাকে সেটি একতলা পাকা বাড়ি। এই বাড়ির দেয়াল ঘেঁষেই ছিল তাদের আরেকটি টিনের ঘর। লাশটি ওই টিনের ঘরের চালার ওপর পড়ে ছিল।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো.
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।