প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্যিক গল্প লিখে আবারও লাল দুর্গের রাজা আলকারাজ
Published: 8th, June 2025 GMT
ইয়ানিক সিনারের মা কাঁদছিলেন, সুখের কান্না। আর একটি পয়েন্ট পেলেই প্রথমবার রোলাঁ গারোর লাল দুর্গের রাজা হবে ছেলে, মা কেন আবেগে বাঁধ দেবেন!
ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালের চতুর্থ সেটে তখন কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে ৫–৩ গেমে এগিয়ে সিনার। চলমান গেমে ইতালিয়ান তারকা এগিয়ে ৪০–০ পয়েন্টে। সেটের হিসাবে তখন ২–১–এ এগিয়ে বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়।
এরপর যা হলো, সেটিকে কী বলা যায়? মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন, অতি ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে যাওয়া শব্দ যুগলেই আবারও আশ্রয় নিতে হলো। কার্লোস আলকারাজ এরপর যা করলেন, সেটি তো মহাকাব্যেই পাওয়া যায়। তিন–তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে জিতে নিলেন গেমটি। এরপর গেমটাকে ৬–৬ করে টাইব্রেকারে সেটটি জিতে ম্যাচটিকে নিয়ে গেলেন পঞ্চম সেটে।
আর সেইসেট টাইব্রেকার জিতে ফ্রেঞ্চ ওপেনের লাল দুর্গের মুকুট ধরে রাখলেন। উন্মুক্ত যুগে ফাইনালে প্রথম দুই সেট হেরেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নবম কীর্তি গড়লেন টেনিসের ভবিষ্যৎ। আলকারাজ ক্যারিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন ৪–৬, ৬–৭ (৪/৭), ৬–৪, ৭–৬ (৭/৩), ৭–৬ (১০/২) গেমে। ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের লড়াই শেষে শেষ হাসি হাসলেন আলকারাজ।
বিস্তারিত আসছে…
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলক র জ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।