কাবরেরার পদত্যাগ ১৮ কোটি মানুষের দাবি: বাফুফে সদস্য
Published: 14th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নিজস্ব সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভুঁইয়া জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছেন। স্প্যানিশ এই কোচের পদত্যাগ ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বাফুফে রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির ১৪ সদস্য। এর উদ্দেশ্য ছিল বাফুফের আগামী ছয় মাসের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরা।
সেখানে বাফুফের নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াতকে ফেডারেশনেরন অভ্যন্তরীণ অডিট ও সরকারি সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলার আহ্বান করা হয়। তবে তিনি ওই প্রসঙ্গে কোন কথা না বলে কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করে বসেন, ‘ অডিট নয়, আমার একমাত্র এজেন্ডা জাতীয় দল। কমিটির সদস্য হিসেবে স্পষ্ট করে বলছি, আমি কাবরেরার পদত্যাগ চাই। এটা ১৮ কোটি মানুষের দাবি।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে বেশ কিছু ভালো প্রবাসী ফুটবলার যোগ দিয়েছেন। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহমিদুলরা দেশের জার্সিতে খেললেও ফলাফল আগের মতোই রয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে ঘরের মাঠে হেরেছে বাংলাদেশ। অভিযোগ উঠেছে, হামজা-শমিতকে ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারেননি স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা। বরং গতবাধা সিস্টেমে ম্যাচ খেলিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর ম্যাচের পরই ভক্তদের মধ্যে কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন একদল ভক্ত। তিনি বছরের অধিকাংশ সময় ছুটিতে থাকেন, দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নজর রাখেন না। বরং চেনা কিছু মুখ নিয়ে চেনা ফরমেশনে ম্যাচ খেলান বলেও অভিযোগ। ভালো ফর্মে না থাকলেও রাকিব ও সাদ উদ্দিনকে খেলানো নিয়েও আছে প্রশ্ন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাফুফে সদস্য সাখাওয়াত হেড কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছেন। বাফুফের সঙ্গে কাবরেরার চুক্তি আছে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব পর্যন্ত। যার অর্থ ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি আছে তার। ফেডারেশন তাকে বরখাস্ত করলে জরিমানা দিতে হবে। যে কারণে চুক্তি শেষের দিকে চলে আসায় তাকে জরিমানা না করার পথে হাঁটতে পারে বাফুফে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ব থ আওয় ল হ য ভ য় র ক য বর র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস