ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবে যারা কাজ করছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেই মোহসেনি এজেই এ ঘোষণা দেন।

দুই দেশের তীব্র সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

এজেই বলেছেন, জায়োনিস্টদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেউ গ্রেপ্তার হলে খুব দ্রুতই তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।


মিজান অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের শত্রুদের কাছে গোপন এবং সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহের অপরাধে ইসমাইল ফকির নামের ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে দেশটি। রোববার স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আলবর্জ প্রদেশ এবং তেহরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে মোসাদের চর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ব চ র র আওত য়

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ