আরিফিন শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ বাঁধন, করলেন ‘মুজিব’ চরিত্রের প্রশংসা
Published: 17th, June 2025 GMT
‘রেহনা মরিয়ম নূর’–খ্যাত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বরাবরই স্পষ্টভাষী। সাম্প্রতিক সময়েও সামাজিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে হয়েছেন আলোচনায়। অতীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেলেও এবার তাঁর অবস্থান বদলে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনার ঝড়। তবে বাঁধন আছেন তাঁর নিজের অবস্থানেই অনড়।
গেল ঈদে ‘এশা মার্ডার :কর্মফল’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে বাঁধনের। এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “‘উৎসব’, ‘ইনসাফ’ আর ‘নীলচক্র’ দেখেছি। ‘উৎসব’ ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ‘নীলচক্র’-তে আরিফিন শুভ দারুণ অভিনয় করেছে।”
শুধু এটুকু নয়, বাঁধন প্রশংসা করেছেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’–এ শুভর অভিনয় নিয়েও। তাঁর ভাষায়, “বরাবরই শুভ দারুণ অভিনয় করে। ‘মুজিব’ সিনেমাতেও শুভ খুব ভালো অভিনয় করেছিল।”
তবে প্রশংসার পাশাপাশি সিনেমাটির বাজেট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। বলেছেন, “যদিও সিনেমাটির বাজেট নিয়ে বিতর্ক আছে। একশ কোটির সিনেমা বলা হলেও আদৌ সে বাজেটে নির্মাণ হয়নি বলেই আমি মনে করি।”
এদিকে, কোরবানির ঈদে মুক্তি পেয়েছে বাঁধনের নতুন সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। সানি সানোয়ারের পরিচালনায় এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ। মুক্তির পর থেকেই সিনেমার প্রচারে সরব বাঁধন, একাধারে অভিনয় আর অবস্থানে তাই এবার ঈদে আলোচনার কেন্দ্রে তিনিই
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’