ভোটের সময় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
Published: 18th, June 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে পুলিশ। বুধবার রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মে মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জনগণকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধান পুলিশের দায়িত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। ডিউটি পোস্টে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। দাগী আসামিদের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ারেন্ট তামিল আরও বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাজের গতি আরও বাড়িয়ে ওয়ারেন্ট তামিলের হার বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া ভাড়াটিয়াদের তথ্য হালনাগাদ করে সিআইএমএসে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ঝটিকা মিছিল বন্ধে থানাগুলোকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন মে মাসে ডাকাতি, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন কমিশনার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র প রস ত ত থ ক ড এমপ অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে সরকারের প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে হ্যাঁ-না গণভোটের বিষয়টি জনগণকে বোঝানো বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের প্রস্তাবগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজবোধ্য করে তুলতে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মাহবুবা ফারজানা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সমন্বয় করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ৩০টি জেলায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বিভাগে একটি করে সেমিনার আয়োজন করা হবে। গুজব এবং অপতথ্য দূর করতেও তথ্য কর্মকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় কর্মকর্তাদের নির্বাচনি আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান তথ্য সচিব।
তথ্য সচিব বলেন, গত ১৫ বছরের নির্বাচন নিয়ে জনগণের বহু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। জনগণকে নির্বাচন এবং ভোটকেন্দ্রে আসার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে হবে; বিশেষ করে তরুণ, নারী ও অনগ্রসর অঞ্চলের ভোটারদের।
সচিব বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও পেশাদারিত্বের সাথে সরকারের যোগাযোগ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাওয়ায় তথ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন।
ঢাকা/এএএম//