ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সোয়াস ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে পিএইচডি প্রোগ্রাম
Published: 20th, June 2025 GMT
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন যৌথভাবে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট বা বৈশ্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত মানের গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।
‘পলিটিক্যাল ইকোনমি অব ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে এই যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম পরিচালনা করবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং সোয়াস ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিকস ও ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।
গত সোমবার (১৬ জুন) সোয়াসের লন্ডন ক্যাম্পাস ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে একযোগে এই যৌথ পিএইচডি প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সোয়াসের লন্ডন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন অ্যাডাম হাবিব ও তামারা হাসান আবেদ। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
অপর দিকে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।
এই পিএইচডি প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা টেকসই শাসনব্যবস্থা, সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। প্রোগ্রামটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাস্তবভিত্তিক গবেষণা অভিজ্ঞতা এবং সোয়াসের বৈশ্বিক একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য মিশেল।
সোয়াসের উপাচার্য অ্যাডাম হাবিব বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এই কোলাবোরেশনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি গবেষণামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যা আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম হবে।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে অনন্য সুযোগ প্রদান করছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট র ড ভ লপম ন ট প এইচড অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজার অতিথি’ হওয়ার সুযোগ কমনওয়েলথ স্কলারশিপে, আবেদন কীভাবে
অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমানে মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি শাবিপ্রবিতে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ ও ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ মেডেল পান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মেরিট স্কলারশিপও পেয়েছেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছেন দুবার। ২০০৯ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপে ইংল্যান্ডের লিডস মেটের স্কুল অব অ্যাপ্লায়েড গ্লোবাল এথিকস থেকে পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে মেরিটসহ মাস্টার্স এবং ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ বছর ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেওয়া সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ক্যাটাগরিতে ‘স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড’–এর ফাইনালিস্ট হন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলার অ্যান্ড ফেলোর আজীবন সদস্য।
২০২৬ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য ইউজিসি (https://ugc.gov.bd/) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে পারবেন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। মোহাম্মদ জহিরুল হক প্রথম আলোর সঙ্গে কমনওয়েলথ স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা, ভর্তিপ্রক্রিয়া ও আবেদনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রথম আলো :
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছু বলুন।
মোহাম্মদ জহিরুল হক: কমনওয়েলথ স্কলারশিপ হচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকারের দেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বৃত্তিগুলোর একটি। যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসেবে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে অসামান্য প্রতিভাবান মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়। ১৯৬০ সালে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী ও গবেষককে এ বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপ’-এর যাত্রা শুরু হয়। গত বছর (২০২৪ সাল) পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্য থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছেন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্য থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছেন