ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন যৌথভাবে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট বা বৈশ্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত মানের গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।

‘পলিটিক্যাল ইকোনমি অব ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে এই যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম পরিচালনা করবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং সোয়াস ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিকস ও ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

গত সোমবার (১৬ জুন) সোয়াসের লন্ডন ক্যাম্পাস ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে একযোগে এই যৌথ পিএইচডি প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সোয়াসের লন্ডন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন অ্যাডাম হাবিব ও তামারা হাসান আবেদ। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।

অপর দিকে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।

এই পিএইচডি প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা টেকসই শাসনব্যবস্থা, সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। প্রোগ্রামটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাস্তবভিত্তিক গবেষণা অভিজ্ঞতা এবং সোয়াসের বৈশ্বিক একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য মিশেল।

সোয়াসের উপাচার্য অ্যাডাম হাবিব বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এই কোলাবোরেশনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি গবেষণামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যা আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর কার্যকর সমাধান দিতে সক্ষম হবে।’

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে অনন্য সুযোগ প্রদান করছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট র ড ভ লপম ন ট প এইচড অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

রোবট এবার পিএইচডি করছে

নিকট ভবিষ্যতেই হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একেবারে মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম হয়ে উঠবে, যে প্রযুক্তিকে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স বা এজিআই বলা হচ্ছে। কত দিনে এই এজিআই আমরা দেখতে পাব, তা এখনো নিশ্চিত না হলেও মানবাকৃতির রোবট প্রযুক্তিতে দারুণ এক সংযোজন এনেছে চীন। এবার চীনের তৈরি একটি মানবাকৃতির রোবট পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। রোবটটির নাম ‘সুয়েবা ০১’।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোবটটি বানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব সাংহাই ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ড্রয়েডআপ রোবোটিকস।

সাংহাই থিয়েটার একাডেমি (এসটিএ) সুয়েবা ০১-এর নাটক ও চলচ্চিত্র বিষয়ে চার বছরের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো মেশিন পিএইচডি শিক্ষার্থী হওয়ার সুযোগ পেল।

গত ২৭ জুলাই সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্মেলনের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে রোবটটির আবেদন গ্রহণ করে সাংহাই থিয়েটার একাডেমি। সেটি চীনা ঐতিহ্যবাহী অপেরার ওপর গবেষণা করবে।

সুয়েবা ০১-এর উচ্চতা ১ দশমিক ৭৫ মিটার, ওজন প্রায় ৩০ কেজি। মানুষের মতোই তার মুখাবয়ব। সেটির সিলিকনে তৈরি চামড়ায় ফুটে ওঠে আবেগ ও অভিব্যক্তি। সে শুধু হাঁটাচলাই জানে না, মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি কথাও বলতে পারে।

এর আগের সংস্করণটি বিশ্বের প্রথম হিউম্যানয়েড হাফ-ম্যারাথনে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রোবটটি ক্যাম্পাসে হাজির হয়ে প্রশাসনিক কাজকর্ম শেষে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হবে। অন্য পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করবে মঞ্চনাটকের মহড়া, অংশ নেবে থিসিস রচনায়।

শুধু অভিনয় নয়, সুয়েবা ০১ শিখবে মঞ্চসজ্জা, চিত্রনাট্য লেখা, শরীরের গতিনিয়ন্ত্রণ, ভাষা উৎপাদনের মতো প্রযুক্তিনির্ভর জটিল বিষয়ও। রোবটটিকে এরই মধ্যে একটি ভার্চ্যুয়াল শিক্ষার্থী আইডি দেওয়া হয়েছে, আর তার পরামর্শক হবেন খ্যাতনামা সাংহাই শিল্পী ও অধ্যাপক ইয়াং ছিংছিং।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোবটের পিএইচডি ছাত্র হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ লিখেছেন, ‘এবার শিক্ষার্থীদের জায়গা রোবট নেবে!’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘শিল্প তো জীবনের অভিজ্ঞতা চায়—রোবট কি সেটা জানে?’

আর এক সমালোচক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘চীনে কলা অনুষদের পিএইচডি শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখনো মাসে ৩ হাজার ইউয়ানের (৪২০ মার্কিন ডলার) কম পান। তাহলে কি এই রোবট শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ সম্পদে ভাগ বসাতে চলেছে?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা সৌভাগ্যবান মুক্তির এই দিন দেখতে পেয়েছি: ফারুকী
  • রোবট এবার পিএইচডি করছে