প্রাইভেট কারে অটোরিকশার ধাক্কা লাগায় গুলি, রিভলবারসহ যুবক গ্রেপ্তার
Published: 29th, June 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ সদরে প্রাইভেট কারের সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার জেরে পুলিশকে লক্ষ্য করি গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও ২ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ১টি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি, ৩ রাউন্ড খোসা ও ৭০ পিস ইয়াবাসহ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পুলিশের এএসআই এমদাদ হোসেন, কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল সাজেদুল। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম সাব্বির হোসেন ওরফে দীপু (২৯)। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ছটফটিয়া গ্রামের হাজী আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার সময় কলেজের সামনে একটি প্রাইভেট কারের (রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৭২০৮) সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেট কারে থাকা ওই যুবক নেমে রিভলবার বের করেন। তাৎক্ষণিক হাতিমারা তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করার চেষ্টা করে। তখন ওই যুবক ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তাকে আটকের সময় ধস্তাধস্তিতে পুলিশের তিনজন আহত হন।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ওই যুবককে মারধরসহ প্রাইভেট কারটি ভাঙচুর করেন। তখন প্রাইভেট কারে থাকা মুকুল (৩৩), শাহাদাত হোসেনসহ (৩৪) আরও দু’জন পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দিয়ে আগামীকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে পিকেএসএফ
দেশের সুবিধাবঞ্চিত, নিম্ন আয়ের মানুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে পিকেএসএফ কৌশলগত পরিকল্পনা (২০২৫-২০৩০) অনুমোদন করা হয়েছে। রোববার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। কৌশলগত পরিকল্পনার আওতায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সহযোগী সংস্থা পর্যায়ে ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হবে। পিকেএসএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিকেএসএফ থেকে সহযোগী সংস্থা পর্যায়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বাড়তি অর্থায়নের ফলে সহযোগী সংস্থাগুলো তৃণমূলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে অধিকতর কার্যকরভাবে পিকেএসএফের সেবা পৌঁছে দিতে পারবে।