সুনামগঞ্জে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, কনস্টেবল গ্রেপ্তার
Published: 1st, July 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবল (২৮) গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে এক তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তার আইনুল হক (২৮) ধর্মপাশা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে। ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনার একটি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী দিচ্ছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে তরুণীর সঙ্গে কনস্টেবল আইনুল হকের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুঠোফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি তাঁরা দেখা করতেন। গত ২৬ জুন তরুণী ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে যান। সেখান থেকে তাঁকে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান আইনুল। হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে কক্ষ ভাড়া নেন। পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আইনুল। ২৮ জুন পরীক্ষা শেষে তরুণী বিয়ের কথা বললে আইনুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ২৯ জুন রাতে তরুণী ধর্মপাশা থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি জানান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধর্মপাশা থানায় আইনুল হক বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে। আমি তাঁকে বিয়ে করতে রাজি। আমার প্রথম স্ত্রীও এতে সম্মতি দিয়েছেন।’
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ সকালে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০ মোটরসাইকেলে বেপরোয়া গতিতে কিশোরদল, দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুষ্টিয়ায় বেপরোয়া গতিতে চলা মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি ধাক্কা লাগায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের নিপলু বিশ্বাসের ছেলে মো. নাহিন (১৬) ও একই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১৫)।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার কুষ্টিয়া-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যাত্রী ছাউনি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টি মোটরসাইকেলে করে উঠতি বয়সী কয়েকজন কিশোর লালন শাহ সেতু থেকে ভেড়ামারা অভিমুখে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিলো। সেসময় পাবনা অভিমুখে যাওয়া একটি পিকআপের সাথেএকটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী নাহিন ও সিয়াম মারাত্মকভাবে আহত হন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে নাহিন নামের কিশোরের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম নামের অপর কিশোরও মারা যান।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল রব তালুকদার দুই কিশোরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া পিকআপটিকেও খোঁজা হচ্ছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস