উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে রাজধানী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্টো রথটান ছাড়াও পদাবলি কির্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, ধর্মীয় বৈদিক নৃত্য, ভাগবতকথা, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ২৭ জুন রথ শোভাযাত্রা, রথের মেলাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল। রথযাত্রার ৯ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা। 
গতকাল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগের ইসকন আশ্রম মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য উল্টো রথের শোভাযাত্রা আয়োজন করে। দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উল্টো রথযাত্রা উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। 

আলোচনা সভার পর বিকেলে বরণানুষ্ঠান ও পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনটি বিশাল রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর প্রতিকৃতিসহ উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা ও উলুধ্বনির মধ্যে সব বয়সের শত শত নারী-পুরুষ বর্ণাঢ্য সাজে এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি পলাশীর মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, শাপলা চত্বর, টিকাটুলি ও জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। 

এ ছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দিরেও উল্টো রথযাত্রা হয়।
এদিকে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর তুলসীধাম মন্দিরের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটি, নন্দনকানন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীকৃষ্ণ ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে আলাদা আলাদাভাবে উল্টো রথযাত্রা বের হয়। এসব আয়োজনে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে এই রথযাত্রার প্রচলন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রথয ত র রথয ত র র অন ষ ঠ ন জগন ন থ মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

একুশ বছরে বাতিঘর, উৎসবে সাজবে কাল

২০০৫ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে স্বল্প পুঁজি আর অল্প বই নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাতিঘরের। গত ১৭ জুন একুশ বছরে পা রাখে বাতিঘর। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা বাতিঘরে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অষ্টম তলায় আলাপ আড্ডা আবৃত্তি ও গানের মধ্য দিয়ে এ আনন্দ উদযাপন করা হবে। এতে লেখক-পাঠক-শিল্পী-সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেবেন।

বাতিঘরের প্রধান ৪ পুস্তক বিপণিতে প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম রাজশাহী ও সিলেট বাতিঘরে এবার আরও বড় উৎসব করা হবে। হবে পাঠক লেখক শিল্পী সাংবাদিকসহ সব পেশা ও শ্রেণির মানুষের মিলনমেলা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস ধরে চলবে নানা আয়োজন। তার মধ্যে রয়েছে চার বিভাগীয় শহরে বইমেলা আয়োজন, বই নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা।

বই বিক্রির পাশাপাশি ২০১৭ সালে বাতিঘর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতোমধ্যে বাতিঘর ৪০০-র বেশি বই প্রকাশ করছে। বাতিঘর ইউরোপ-আমেরিকার প্রকাশকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বই প্রকাশ করেছে এবং আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলায় নানা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করে আসছে বাতিঘর। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় প্যাভিলিয়ান ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন নকশা ও সজ্জার জন্য শীর্ষ পুরস্কার লাভ করেছে বাতিঘর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একুশ বছরে বাতিঘর, উৎসবে সাজবে কাল
  • বড় কিছুর আশায় পবিত্র নগরীতে মিরাজরা
  • ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ
  • উল্টো রথযাত্রায় ভক্তদের ঢল
  • উল্টো টানে শেষ হলো ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা
  • বই বিনিময় উৎসবে বইয়ের মানুষকে স্মরণ
  • তুর্কমেনিস্তানকে ৭ গোলে ভাসিয়ে বাংলাদেশের তিনে তিন
  • রক্ত দিয়েও সাংবাদিকদের ঋণ শোধ করতে পারব না: দুলু
  • শিশুদের নিয়ে ইবি সিআরসি স্কুলের ফল উৎসব