ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২
Published: 7th, July 2025 GMT
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের একজন পুরুষ ও দুইজন নারী। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০৩ জনই ঢাকার বাইরের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাসপাতালে নতুন করে বরিশাল বিভাগে ১৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে (ডিএনসিসি) ৩৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে (ডিএসসিসি) ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬১ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৮ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৬৩ জন, যার মধ্যে সাত হাজার ৫৫৮ জন পুরুষ ও পাঁচ হাজার ২০৫ জন নারী।
প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২৪) জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুটি ডিমের খাঁচা উন্মোচন করল ২৪ বছর আগে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের রহস্য
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। কর্ণাটকের কোনানাকালু রিজার্ভ ফরেস্টে টহল দিচ্ছিলেন একজন বনরক্ষী। টহলের সময় তিনি জঙ্গলের ভেতর একজন পুরুষের লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক খবর দেন কর্তৃপক্ষকে।
এ ঘটনার প্রথম সূত্র পাওয়া যায় নিহত ব্যক্তির পকেট থেকে। সেখানে ছিল একটি পাসবুক আর একটি ফোন নম্বর। এগুলো দেখে ধারণা করা হয়, নিহত ব্যক্তি শিবামোগ্গার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু খুব দ্রুতই সেই সূত্র অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।
প্রথম পাওয়া সূত্র অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।সময় এগিয়ে আসে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর। খুনের ওই ঘটনায় পুরোনো ফাইল আবার খোলা হয়। খতিয়ে দেখা হয় অন্তত ছয়টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেকগুলো ফোনবুথের কল রেকর্ড। কর্ণাটক পুলিশের তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়েছেন।
ডিমের খাঁচার প্রতীকী ছবি