গবি শিক্ষার্থীদের ‘যুক্তিতে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ’
Published: 24th, July 2025 GMT
‘যুক্তিতে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) জিবিডিএস বিতর্ক উৎসব–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টায় একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির (জিবিডিএস) উদ্যোগে শুরু হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন।
আয়োজনের শুরুতে মাইলস্টোন কলেজ ট্রাজেডি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বজনীন গণঅভ্যুত্থান: অধ্যাপক রইছ
জিবিডিএস সভাপতি আরিফুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
চারটি ধাপে বিভক্ত এ বিতর্ক উৎসবে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত চারটি দল। প্রতিযোগিতার ধাপগুলো ছিল— রম্য, এশিয়ান সংসদীয়, প্ল্যানচেট ও বারোয়ারি বিতর্ক।
রম্য বিতর্কে ‘প্রেমিক-প্রেমিকা বনাম স্বামী-স্ত্রী’ চরিত্রে অভিনব যুক্তিতর্ক মঞ্চায়ন হয়। এশিয়ান ফরম্যাটে সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকায় নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে চলে প্রাণবন্ত বিতর্ক।
প্ল্যানচেট বিতর্কে বিতার্কিকরা ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের আত্মার ভূমিকায় যুক্তি তুলে ধরেন। বারোয়ারি বিতর্কে উঠে আসে মুক্তচিন্তার নানা দিক। প্রতিটি সেগমেন্টে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তি, বাগ্মীতা ও বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে দক্ষতার ছাপ রাখেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বের জন্য এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম হলেও আমার মতে এটি একাডেমিক শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই মঞ্চের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারি। বিশ্বের যেকোনো সংকট বা সমস্যাকে বিতর্কের মাধ্যমে উপস্থাপন করা সম্ভব।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।