বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা তাদের অন্যতম বড় বৈশ্বিক বিঘ্নের মুখোমুখি হয়েছে। একটি অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারের সমস্যার জেরে স্টারলিংক ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। স্টারলিংকের শক্তিশালী স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এমন বিঘ্ন সচরাচর দেখা যায় না।

আরও পড়ুনস্টারলিংক আসছে, দেশি ইন্টারনেট ব্যবসার কী হবে১৬ এপ্রিল ২০২৫

ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নের বিষয়টি পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা তিনটার দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যবহারকারীরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। প্রায় ৬১ হাজার ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানটির কাছে ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটার কথা জানিয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে ১৪০টি দেশ ও ভূখণ্ডে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে স্টারলিংক। ব্যবহারকারী রয়েছেন ৬০ লাখের বেশি।

পরে স্টারলিংকের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। স্টারলিংক জানায়, তারা এর সমাধান করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশে স্টারলিংক : মানুষ কী সুফল পাবে০৭ এপ্রিল ২০২৫

স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস এক্স বার্তায় লিখেন, বিঘ্ন ঘটার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ব্যবহারকারীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার সেবার ব্যর্থতায় এ বিভ্রাট ঘটে। মূল কারণ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

দুঃখপ্রকাশ করেছেন ইলন মাস্ক নিজেও। এ বিষয়ে স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক এক্স পোস্টে লেখেন, বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। স্পেসএক্স এর মূল কারণ খুঁজে বের করে সমাধান করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা আর না ঘটে।

আরও পড়ুনস্টারলিংক সংযোগ কীভাবে নেবেন, ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে কি২১ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার

আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।

এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিটা প্রকল্প যথাযথ পরিমার্জনের আহ্বান
  • লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার