স্কুলশিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে আবারও সারা দেশে শুরু হচ্ছে বিকাশ–বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের নিবন্ধন। শিগগিরই বাকি আঞ্চলিক পর্বের নিবন্ধন শুরু হবে।
ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের নিবন্ধন করতে হবে প্রথম আলো অফিসে এসে। নিবন্ধনের ঠিকানা: বিকাশ–বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা–১২১৫। নিবন্ধন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত)। নিবন্ধনের শেষ তারিখ আগামী ২০ আগস্ট ২০২৫।
বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব আয়োজিত হবে সাতটি বিভাগীয় শহরে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে আয়োজিত হবে আঞ্চলিক উৎসব। উৎসবে স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতায়। প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে। কুইজ প্রতিযোগিতায় রয়েছে দুটি ক্যাটাগরি। নিম্নমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, আর মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে নবম থেকে দশম শ্রেণি ও চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
প্রজেক্ট প্রদর্শনী বিভাগে অংশ নিতে পারবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। একক বা দলগতভাবে অংশ নেওয়া যাবে প্রজেক্ট বিভাগে। একটি দলে একই স্কুলের সর্বোচ্চ তিনজন অংশ নিতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দল গঠন করতে পারবে। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রজেক্টের জন্য বিদ্যুৎ–সরবরাহ করা হবে না। প্রয়োজনে নিজেদের ব্যাটারি নিয়ে আসতে হবে।
কুইজ প্রতিযোগিতায় থাকবে দুটি ক্যাটাগরি। ‘নিম্নমাধ্যমিক’ ক্যাটাগরিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। ‘মাধ্যমিক’ ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এ আয়োজনে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে। তবে কুইজে সবাইকে এককভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী প্রজেক্ট ও কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য অংশগ্রহণকারীকে (প্রজেক্টের ক্ষেত্রে দলের অন্তত একজন সদস্য) সশরীর উপস্থিত হতে হবে নিবন্ধন ঠিকানায়। ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে নিজের বা দলের সব সদস্যের নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম ও ক্যাটাগরি উল্লেখ করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সঙ্গে আনতে হবে স্কুলের পরিচয়পত্র বা বেতনের রসিদ। তবে বিশেষ প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এসেও নিবন্ধন করতে পারবেন।
ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের বিজ্ঞান উৎসব। কবে, কোথায় ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে। প্রতিটি আঞ্চলিক পর্ব থেকে প্রজেক্টে ১০টি দল এবং কুইজের দুই ক্যাটাগরি মিলিয়ে ২০ জনকে জাতীয় পর্বের জন্য বাছাই করা হবে।
জাতীয় পর্বে বিজয়ীদের জন্য রয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট, বই, টি–শার্টসহ আরও আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ ছাড়া আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীদের জন্য ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট, বই, টি–শার্টসহ আরও আকর্ষণীয় পুরস্কার তো থাকছেই। পাশাপাশি আগ্রহীদের জন্য প্রতিটি আয়োজনে থাকছে বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা।
স্কুলশিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে যৌথভাবে এই বিজ্ঞান উত্সব আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং দেশের সর্বাধিক পঠিত বিজ্ঞানবিষয়ক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা।
বিজ্ঞান উৎসব সম্পর্কে আরও জানতে চোখ রাখুন প্রথম আলো প্রিন্ট, বিজ্ঞানচিন্তা প্রিন্ট, অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে অথবা বিজ্ঞানচিন্তার কার্যালয়ে ০১৭০৮–১৬৮৭৯০ নম্বরে ফোন করে উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম শ র ণ র শ ক ষ র থ র ব জ ঞ ন উৎসব র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।