বোতলজাত পানির দাম সবচেয়ে বেশি সুইজারল্যান্ডে
Published: 27th, July 2025 GMT
আমরা জানি, পানি ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। কিন্তু দিন দিন সুপেয় পানি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খনিজ পানি। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান বলছে, বোতলজাত এক লিটার খনিজ পানির গড় দাম ৪০ টাকা। সবচেয়ে বেশি দামে পানি বিক্রি হয় সুইজারল্যান্ডে। দেশটিতে এক লিটার বোতলজাত পানির জন্য গুনতে হয় অন্তত ৫৬০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক লিটারে ১ হাজার ৫৯০ টাকাও দাম পড়ে।
অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ বলছে, বেশ কিছু কারণে বোতলজাত পানি বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু অন্যান্য পানীয়র পাশাপাশি সুপেয় পানির দামও বেড়েই চলেছে। তবে বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে পানির দামে বেশ তারতম্যও দেখা যায়।
সংস্থাটির হিসাবে, সবচেয়ে বেশি দামে বোতলজাত পানি বিক্রি হওয়া দেশগুলোর শীর্ষ পাঁচটিই ইউরোপের। সুইজারল্যান্ড ছাড়া অন্য চারটি দেশ হলো লুক্সেমবার্গ, ডেনমার্ক, জার্মানি ও নরওয়ে। এসব দেশে এক লিটার বোতলজাত পানির দাম যথাক্রমে ৪১৫, ৩৫৭, ৩৩০ ও ৩২৯ টাকা।
বোতলজাত পানির দামের ক্ষেত্রে শীর্ষে ১০টি দেশের মধ্যে আরও রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল। এসব দেশে এক লিটার বোতলজাত পানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা গুনতে হয়। এর মধ্যে অস্ট্রিয়ায় ৩২৫ টাকা, বেলজিয়ামে ৩১৬, নেদারল্যান্ডসে ৩১২, অস্ট্রেলিয়ায় ২৭৪ ও ইসরায়েলে দাম পড়ে ২৬৯ টাকা।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ১০০টি দেশে বোতলজাত পানির দাম বিশ্লেষণ করে বৈশ্বিক এই তালিকা তৈরি করেছে। তাতে দেখা গেছে, বোতলজাত পানির দামের ক্ষেত্রে তালিকার একেবারে শেষ দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির দেওয়া হিসাবে, বাংলাদেশে এক লিটার পানির জন্য ২০ টাকা গুনতে হয়। বাংলাদেশের চেয়ে কম দামে পানি পাওয়া যায় শুধু মিসরে। দেশটিতে এক লিটার বোতলজাত পানির দাম গড়ে ১৫ টাকা।
এ ছাড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে এক লিটার বোতলজাত পানির দাম যথাক্রমে ২৫, ৩২, ৫৫ ও ২৫ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব তলজ ত প ন র দ ম
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল