নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট অ্যাকোয়াটিক ফুড সিস্টেমস ফর হেলদি লাইভস আব ইয়াং উইমেন অ্যান্ড গার্লস ইন বাংলাদেশ (অ্যাকোয়াফুড)’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল।

এতে কি-নোট স্পিকার ছিলেন অ্যাকোয়াফুড প্রকল্পের পিআই ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নান্না রোস এবং কো-পিআই যুক্তরাজ্যের অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বাকে ডি রোস।

আরো পড়ুন:

পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

‎ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

কর্মশালায় ড. নান্না রোস অ্যাকোয়াফুড প্রকল্পের ওপর তার গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করেন এবং এ গবেষণা মানব কল্যাণে কিভাবে কাজে আসবে তা ব্যাখ্যা করেন। ড. বাকে ডি রোস প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এছাড়াও বক্তব্য দেন নোবিপ্রবি ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল কবির। কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী মাহমুদুল হাসান।

উপাচার্য বলেন, “সম্প্রতি গত মাসে আমি পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের টিমের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস্ ভ্রমণ করি এবং সেখানে আমরা কোস্টাল এরিয়া তথা লবণাক্ততা প্রবণ এলাকাতে কী ধরণের ফসল উৎপাদন করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উপশমের ক্ষেত্রে খাপ খাওয়ানোটা বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক এবং গবেষকগণ যৌথভাবে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা অপুষ্টি ও অন্যান্য রোগ থেকে আমাদের দেশের মানুষকে রক্ষা করতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের টেকনোলজির সুফলকে ল্যাবরেটরি পর্যায় থেকে মার্কেট পর্যায়ে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আশা করি, এই কর্মশালা অ্যাকোয়াফুড এবং অ্যাকোয়াফিশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো’—সিডনির মঞ্চে হিমু-রূপার নস্টালজিয়া

রোববারের সিডনির ম্যাকুয়ারি লিংকস গলফ ক্লাব হলজুড়ে ছিল হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাসের পরিচিত নস্টালজিয়ার আবহ। ‘পড়ুয়ার আসর’ আয়োজিত স্মরণানুষ্ঠান ‘প্রিয় পদরেখা’ ছিল কেবল আলোচনা নয়, এ ছিল হুমায়ূনের সৃষ্টিকে অনুভব করার, তাঁর চরিত্রদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার এক আবেগঘন আয়োজন। গদ্য, পদ্য, গান ও নাট্য-আলাপ মিলেমিশে মনে রাখার মতো এক আসর।

অপূর্ব এক দৃশ্যের দেখা মিলল। তরুণ শিল্পী রূপন্তি আকিদ—সিডনির বাঙালি কমিউনিটির তরুণ অভিনেত্রী। নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে নিয়মিত অংশগ্রহণ তাঁকে তরুণ প্রবাসী শিল্পীদের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। সেদিন তাঁর পরনে ছিল হিমুর স্বাক্ষররং নীল শাড়ি, হাতে হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমুর আছে জল’ উপন্যাস।

রূপন্তির পাশে ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা মাজনুন মিজান—গায়ে উজ্জ্বল হলুদ পাঞ্জাবি, হাতে ফুল। বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গন ও টেলিভিশনে দুই যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয় করা মিজান বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমায় কাজ করে দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেও প্রবাসে নিয়মিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন এবং সিডনির শিল্পমহলে তিনি পরিচিত ও সম্মানিত মুখ।

এই নাট্য-আলাপে হিমু ও রূপার ভূমিকায় অভিনয় করেন রূপন্তি ও মিজান। তাঁদের সংলাপ, দৃষ্টিভঙ্গি আর অভিনয়ের কোমল আবেগ যেন মঞ্চে সত্যিই ফিরিয়ে আনল হিমুর হাঁটাচলার সেই নরম আলো, রূপার শান্ত উপস্থিতি আর দুজনের অদ্ভুত অনুভবের জটিল সুন্দর সম্পর্ক।

নাট্য-আলাপ শুরু হতেই মঞ্চ যেন গল্পের পাতায় পরিণত হলো। যখন তাঁদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো—

‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?’

‘না, ভালোবাসি না...কারণ, ভালোবাসলে তো প্রাপ্তির বাসনা থাকে। আমি তোমাকে অনুভব করি।’

তখন হলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল নিস্তব্ধতার গভীর ঢেউ। দর্শকের চোখে ভেসে উঠল হিমু-রূপার নরম, শীতল, হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তগুলো।

পরিবেশ আরও আবেগময় হয়ে ওঠে পরিচিত সুরে—‘নেশা লাগিল রে, বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে...’

গানের সুর মিশে গিয়েছিল সিডনির প্রবাসী আবেগে—হিমুর হলুদ, নীল আর স্নিগ্ধ প্রেমের গন্ধে। ‘পড়ুয়ার আসর’-এর অন্যতম সদস্য রোকেয়া আহমেদ বলেন, ‘তাঁর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে সিডনিতে এই আয়োজন। আমরা চাই তাঁর সৃষ্টির আলো নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাক। প্রবাসে থেকেও তাঁকে নতুন করে উপলব্ধি করার একটি জায়গা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’

আরও পড়ুনগানের সুরে, মেজবানের ঘ্রাণে—সিডনি যেন এক দিনের চট্টগ্রাম১০ নভেম্বর ২০২৫

একজন মুগ্ধ দর্শক অনুষ্ঠান শেষে মন্তব্য করেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন গল্পের চরিত্ররা সত্যি সত্যি সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আলোচনার প্রতিটি কথাই হৃদয় ছুঁয়ে গেল।’

রোববারের সিডনির ম্যাকুয়ারি লিংকস গলফ ক্লাব হলজুড়ে ছিল হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাসের পরিচিত নস্টালজিয়ার আবহ

সম্পর্কিত নিবন্ধ