সৌদি আরবে দুর্ঘটনার কবলে বাস: বেঁচে আছেন ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের একজন
Published: 17th, November 2025 GMT
সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাওয়া ভারতীয়দের বহনকারী বাসের একজন যাত্রী বেঁচে আছেন। তাঁর নাম মোহাম্মদ আবদুল শোয়েব (২৪)। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই বাসের ৪২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে আবদুল শোয়েবের বেঁচে থাকার কথা জানা গেছে। তাঁর বাড়ি ভারতের হায়দরাবাদে। দুর্ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে কেমন আছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
বাসটি ওমরাহযাত্রীদের নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে বাসটির সঙ্গে একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার জন্য জেদ্দায় অবস্থিত ভারতীয় মিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বর্তমানে রাশিয়া সফররত জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘রিয়াদে আমাদের দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যুলেট দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় ও তাঁদের পরিবারগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডিও এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রেড্ডির কার্যালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আবুল কালাম (৫০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার ফেসবুক আইডিতে। ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আউট’। ফেসবুকে তার দেওয়া এই পোস্ট হত্যাকাণ্ডকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া বলে অভিযোগ করেছে নিহত কালামের পরিবার।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’: গোপালগঞ্জে আরেক মামলা, আসামি ২৫২
কানের দুল ছিনিয়ে নিতে শিশুকে হত্যা, আটক ২
আবুল কালাম উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযুক্ত কাউছার মানিক বাদল স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।
গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে কাউছারকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরে ৩ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউছারের সঙ্গে আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল।
কাউছার ভিডিওটি পোস্ট করেন তার কে এম বাদল নামের ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কয়েকজন ক্রিকেট খেলছেন। এর মধ্যে একজন রানআউট হয়েছেন। তবে, ভিডিওতে কাউছারকে দেখা যায়নি।
খুনের ঘটনার পরপরই কাউছার এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন নিহত কালামের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে খুন হওয়ার পর কাউছারের পোস্ট করা ভিডিওটি কাকতালীয় নয়। এটি হত্যার ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউসার মানিক বাদল বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি লতিফপুর বাজারে ছিলাম। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার সঙ্গেই বাজারে ছিলেন। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত নই।’’
নিজ দলের একজন নেতার মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউছার বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলেছিলাম, সেই ভিডিও দিয়ে আউট লিখেছি।’’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে কাউছার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ‘আউট’ লেখা ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব