খাগড়াছড়ির মহালছড়ি মনাটেক গ্রামের বিন্দু চাকমা (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজের তিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তিনি মনাটেক গ্রামের গোপাল চাকমার ছেলে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে মনাটেক গ্রামের বিলের কাপ্তাই হৃদের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

মনাটেক গ্রামের বিমল চাকমা ও সুনীল চাকমা জানান, গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নৌকায় করে ফেরার পথে নিখোঁজ হন বিন্দু চাকমা। এলাকাবাসীর ধারণা, ফেরার পথে কাপ্তাই হৃদের পানিতে পড়ে ডুবে যান তিনি। সেই সময় থেকে খোঁজাখুঁজি চলছিল। বুধবার সকালে মনাটেক গ্রামের বিল থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

এ বিষয়ে মহালছড়ি থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, “মনাটেক গ্রামের একজন পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন সেটা জানি। তবে তাকে পাওয়া গেছে কিনা সে বিষয়ে কোন তথ্য পাইনি।”

ঢাকা/রূপায়ন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ট ক গ র ম র ব

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত

এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।

নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”

ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।

ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ