দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে আবারো ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘‘ওয়ান ইলেভেন বোঝেন? ২০০৭ সালে তখন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশছাড়া করার চেষ্টা হয়। তারেক রহমানকে তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে হাড় ভেঙে ফেলা হয়।’’

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও সংসদীয় আসনভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

খাইরুল কবির খোকন বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের কিংস পাটি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা সরকারে না থেকেও সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। তারা প্রটোকল পাচ্ছে। তারা ডিসি, এসপি, ওসিসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’ 

আরো পড়ুন:

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এখন টুঙ্গিপাড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনের জামিন

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা বলছে সংস্কার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচন হতে দেবে না। বিএনপি ১৬ বছর লড়াই, সংগ্রাম করেছে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, জাতীয় নির্বাচনের জন্য। অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ-জাতি কখনো নিরাপদ নয়।’’ 

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে ও নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কমিটির প্রধান সিরাজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জামিনুল হোসেন মিঠু, মিজানুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।

ঢাকা/বেলাল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সরক র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড

কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।

আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ