আমরা স্বপ্ন দেখতে চাই এবং স্বপ্ন দেখাতে চাই : ডিসি
Published: 3rd, September 2025 GMT
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখতে চাই এবং স্বপ্ন দেখাতে চাই। স্বপ্ন দেখতে চাইলে নিজের মনকে সুন্দর রাখতে হবে এবং দেখাতে চাইলে পরিবেশকে সুন্দর করতে হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির আওতায় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করনে বর্জ্য ব্যবস্হাপনা কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।r
এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের নগরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে বর্জ্য ব্যবস্হাপনার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্হাপনায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। সকলকে সচেতন করতে হবে।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকলে নতুন প্রজন্ম সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে পারবে। আর এটি করতে পারলে একটি সুন্দর নগর গড়ে তোলা সক্ষম হবে।
এ সময় সরকারি দপ্তর, বিকেএমইএ, বিজেএমইএ, চেম্বার অব কর্মাস, ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ বর্জ্য ব্যবস্হাপনা ও নিদিষ্ট স্হানে অপসারনের বিষয়ে যোক্তিক মতামত তুলে ধরেন। পরে জেলা প্রশাসক তাদের কথা শুনেন এবং বর্জ্য ব্যবস্হাপনা সঠিক ভাবে অপসারনের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব নাইমা ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা শিরিন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, রোডস এন্ড হাইওয়ে, গনপূর্ত, জেলা পরিষদ, এলজিডি, সিটিকপোরেশন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ইউপি সদস্য গণ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ পর ব শ স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস