টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 15th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী ও ফিশারী ঘাট এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় দুই মাদক কারবারিকে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
আরো পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের ২ দিন আগে ডোপ টেস্ট নিয়ে যা বলছেন প্রার্থীরা
ঢাকায় জব্দ মাদক ‘কিটামিন’, গন্তব্য ছিল ইতালি
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমে টেকনাফ ফিশারী ঘাট এলাকায় একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালানো হয়। এসময় ট্রলারের নিচ থেকে ১২টি প্যাকেটে মোড়ানো ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হয়। গ্রেপ্তার হন ট্রলারে থাকা দুই মাদক কারবারি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টেকনাফের মৃত সৈয়দ আমিনের ছেলে মো.
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, ট্রলারের মালিকের নির্দেশে মিয়ানমারের জিঞ্জিরা এলাকা থেকে ইয়াবা এনে লবণঘাটে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। এর বিনিময়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
একই রাতে জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করেন তিনজন। বিজিবির ধাওয়ায় তারা ইয়াবার বস্তা নদীতে ভাসিয়ে পালিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। পরে বিজিবি উদ্ধার করা ওই বস্তা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস