ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনাদের ওপর হামলার হুমকি পুতিনের
Published: 5th, September 2025 GMT
কোনো পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করলে তারা রাশিয়ার ‘বৈধ নিশানায়’ পরিণত হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার তিনি এ হুমকি দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৬টি দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধপরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে অঙ্গীকার করেছে বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছিলেন। এরপরেই পুতিনের এই হুমকি এলো।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল কিয়েভকে ন্যাটোর সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং ইউক্রেনে তার বাহিনী মোতায়েন করতে বাধা দেওয়া।
ভ্লাদিভোস্টকে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেছেন, “অতএব, যদি কিছু সেনা সেখানে উপস্থিত হয়, বিশেষ করে এখন, সামরিক অভিযানের সময়, আমরা ধরে নেব এগুলো ধ্বংসের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। এবং যদি শান্তির দিকে, দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে পরিচালিত করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়, তাহলে আমি কেবল ইউক্রেনের ভূখণ্ডে তাদের উপস্থিতির কোনো অর্থ দেখতে পাচ্ছি না, এটাই শেষ কথা।”
গত মাসে আলাস্কায় পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলন হয়। এরপরে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক হয়। ওই সময় সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির আশা তুঙ্গে ওঠে। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার অবস্থানের কারণে আপাতত যুদ্ধবিরতির আশা খুব কম বলে মনে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনীয় নেতার সাথে যোগাযোগের জন্য প্রস্তুত “কিন্তু আমি খুব বেশি লাভজনক দেখতে পাচ্ছি না। কেন? কারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ইউক্রেনীয় পক্ষের সাথে চুক্তিতে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস