মৌলভীবাজারে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
Published: 8th, September 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে সুমন আহমদ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডিমাই ওসমানী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা প্রতারণা, সিআইডির মামলা
নিহত সুমন সিলেট সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে। আহত জাহাঙ্গীর আলম মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার সুড়িখাল গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার বিওসি কেছরীগুল গ্রামের স্বপন আহমদ খানের গ্যারেজ একদল চোর হানা দেয়। এ সময় চোরের দল গ্যারেজে থাকা তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি করে পালাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্বপন আহমদ ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করেন। পরে দুজনকে চোর সেন্দহে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জাহাঙ্গীর আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘‘চোর সন্দেহে দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে, একজন মারা গেছেন। অন্যজন আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
ঢাকা/আজিজ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত গণপ ট ন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।
ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।