মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৩ কৃষক
Published: 8th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে গত বৃহস্পতিবার অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফিরেছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তারা ফিরে আসেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়।
বাড়ি ফেরা কৃষকরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকার মো.
আরো পড়ুন:
ভোলায় মাথার চুল কেটে নারীকে নির্যাতন, আটক ৪
ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ারকে হত্যা, মূল অভিযুক্ত আটক
আরো পড়ুন: অস্ত্রের মুখে টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণ
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে কৃষক মো. আলীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। একইদিন দুপুরে খামারে যাওয়ার সময় রহমত উল্লাহ এবং পানের বরজে কাজ করার সময় সুলতান আহমদ অপহরণের শিকার হন। অপহরণের পর তাদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাদের নির্যাতনের পাশাপাশি মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর তারা অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
ভুক্তভোগী মো. আলীর স্বজন ইমাম হোসেন বলেন, “তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে টেকনাফে অপহরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর আগেও অনেক ভুক্তভোগী মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হবে না। তাই দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, “অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফেরার খবর পেয়েছি।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৬৩ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তিপণ দিয়েই ফিরতে হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব