কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে গত বৃহস্পতিবার অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফিরেছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তারা ফিরে আসেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়।

বাড়ি ফেরা কৃষকরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকার মো.

আব্দুল্লাহর ছেলে মো. আলী (৩২), আবুল মনজুরের ছেলে রহমত উল্লাহ (১৬) এবং আব্দুস সালামের ছেলে সুলতান আহমদ (৩৪)।

আরো পড়ুন:

ভোলায় মাথার চুল কেটে নারীকে নির্যাতন, আটক ৪

ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ারকে হত্যা, মূল অভিযুক্ত আটক

আরো পড়ুন: অস্ত্রের মুখে টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণ

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে কৃষক মো. আলীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। একইদিন দুপুরে খামারে যাওয়ার সময় রহমত উল্লাহ এবং পানের বরজে কাজ করার সময় সুলতান আহমদ অপহরণের শিকার হন। অপহরণের পর তাদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাদের নির্যাতনের পাশাপাশি মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর তারা অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

ভুক্তভোগী মো. আলীর স্বজন ইমাম হোসেন বলেন, “তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‍“প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে টেকনাফে অপহরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর আগেও অনেক ভুক্তভোগী মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হবে না। তাই দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, “অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফেরার খবর পেয়েছি।”

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৬৩ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তিপণ দিয়েই ফিরতে হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় বছর ধরে নিখোঁজের পর ফেনীতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার, সেই আহাদ আসলে কে
  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর