ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে অপরাজিত ২৭ রান আর বোলিংয়ে ৯ রানে ২ উইকেট। যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর ক্রিকেট লিগে এমন দারুণ অভিষেক হলো সাকিব আল হাসানের।

তাঁর দল আটালান্টা ফায়ার জিতেছেও বড় ব্যবধানে। গতকাল রাতে ব্যাটিংয়ে নেমে আটালান্টার ১৮১ রানের জবাবে মরিসভিল র‌্যাপ্টর্স ২০ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৮৫ রান। তাতে সাকিবের দল জয় পেয়ে ৯৬ রানে।

মাইনর লিগ ক্রিকেট যুক্তরাষ্ট্রের একটি পেশাদার টি-টোয়েন্টি লিগ। সেখানকার বড় প্রতিযোগিতা মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) জন্য এটি উন্নয়নমূলক লিগ। এই লিগে খেলার আগে সাকিব খেলেছেন সিপিএলে।

ক্যারিবিয়ান লিগে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সাকিব। সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে ১০ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২০ গড়ে ১৮০ রান করেছেন এই বাঁহাতি, ফিফটি মাত্র একটি। বল হাতে ৮.

৩০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। বোলিং কোটা পূরণ করেছেন মাত্র দুটি ম্যাচে। মানে সেই পুরোনো অলরাউন্ডার সাকিবকে সিপিএলে দেখাই যায়নি।

মাইনর লিগে সাকিবের শুরুটা পুরোনো দিনের মতোই হলো। ছয়ে ব্যাট করেন সাকিব। আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেলরের সঙ্গে গড়েন ৪১ বলে ৭৯ রানের জুটি। ৩ চার ও ১ ছক্কা মারেন সাকিব। টেলর ৬২ বলে করেন অপরাজিত ৯৭। এই ইনিংসে ১২টি ছক্কা মেরেছেন টেলর, কোনো চার ছিল না।

বোলিংয়ে অবশ্য সাকিব তাঁর চার ওভারের কোটা পূরণ করতে পারেননি। ২ ওভার বোলিং করেন। অবশ্য আটালান্টার হয়ে সানি প্যাটেল ছাড়া কেউই বোলিং কোটা পূর্ণ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্পিনার ৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

আরও পড়ুনসাকিবের সিপিএল কেমন কাটল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাকিব অনেক দিন ধরেই দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে নেই। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব।

অভ্যুত্থানের পরপর পাকিস্তান ও ভারতে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে খেললেও দেশে ফিরতে না পারায় সাকিব এখন জাতীয় দলের বাইরে। এই সময়ে সাকিব খেলছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয়। পিএসএল, গ্লোবাল সুপার লিগ, ম্যাক্স ৬০ ও সিপিএলের পর সাকিব এখন মাইনর ক্রিকেট লিগেও খেলছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
আটালান্টা: ২০ ওভারে ১৮১/৪ (টেলর ৯৭*, সাকিব ২৭*; রিত্বিক ১/২৩)
মরিসভিল: ২০ ওভারে ৮৫/৭ (রাজ ৫০, আনিশ ২৪; সানি ৩/৫, সাকিব ২/৯)
ফল: আটালান্টা ৯৬ রানে জয়ীআরও পড়ুনমোস্তাফিজকে চোখ বন্ধ করে রশিদের ছক্কা—আধুনিক ক্রিকেটে যে শটগুলো খেলা হয়১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আট ল ন ট স প এল ম ইনর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সেরা কর্মী যাঁরা

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বছরের সেরা কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মেলনে সেরা কর্মীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সম্পাদকসহ প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মীরা।

রিপোর্টিং বিভাগের সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. রিয়াদুল করিম ও নাজনীন আখতার। বাণিজ্য বিভাগের সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন বিশেষ প্রতিবেদক মো. মাসুদ পারভেজ মিলাদ।

সমন্বিত বার্তা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সহসম্পাদক মো. আল আমিন সজীব। বিশাল বাংলা বিভাগে পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মো. মাহবুব আলম।

এ বছর ফিচার বিভাগে সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন সহকারী ফিচার সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান; কালচার অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগে পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক কে এম লতিফুল হক; আলোকচিত্রী বিভাগে পেয়েছেন বিশেষ ফটোসাংবাদিক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম; ভিডিও বিভাগের সিনিয়র কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আবদুল্লাহ আল হোসাইন; ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট নির্বাহী মো. আবু তাহের; চট্টগ্রাম অফিসের সহসম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন এবং হালফ্যাশনের সিনিয়র কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাদিমা জাহান।

প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে এবার সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান এবং ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

সাংবাদিকতার বাইরে অন্যান্য বিভাগ থেকে আরও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা হলেন অ্যাড সেলস, বিজ্ঞাপন সেলসের ব্যবস্থাপক ওমানা ইসলাম; ডিজিটাল বিজনেসের অ্যাড সেলসের উপব্যবস্থাপক মো. সেলিম উদ্দিন; সার্কুলেশন সেলস ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী মো. রেজাউর রহমান; সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এসইও অ্যান্ড আ্যনালিটিকসের ম্যানেজার মাজহারুল হক; তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল টেকনোলজির সহকারী ব্যবস্থাপক মিঠুন কুমার অধিকারী; অর্থ ও হিসাব বিভাগের নির্বাহী রায়হান হোসেন; প্রশাসন বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণ সুপারভাইজার মনিরুল ইসলাম রতন; আর্টস অ্যান্ড গ্রাফিকস বিভাগের সিনিয়র গ্রাফিক ডিজাইনার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং মার্কেটিং (প্রথমা) উপব্যবস্থাপক কাউছার আহম্মেদ।

কর্মী ছাড়াও সেরা দল হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে গোলটেবিল বিভাগ, আঞ্চলিক বিজ্ঞাপন দল ও বিশাল বাংলা বিভাগ।

সহকর্মীদের লেখা প্রতিযোগিতায় সাংবাদিকতা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বার্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম; দ্বিতীয় বার্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং তৃতীয় ক্রীড়া বিভাগের স্পোর্টস এডিটর তারেক মাহমুদ। এ ছাড়া সাংবাদিকদের বাইরে প্রথম হয়েছেন প্রশাসন বিভাগের (বগুড়া অফিস) সহকারী ব্যবস্থাপক (স্টোর, বিতরণ ও প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান; দ্বিতীয় মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক সঞ্চিতা সাহা এবং তৃতীয় সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের জুনিয়র মডারেটর সৌমেন্দ্র গোস্বামী।

বিভাগভিত্তিক ভিডিও প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে আলোকচিত্রী বিভাগ, দ্বিতীয় বিনোদন বিভাগ এবং তৃতীয় ফিচার বিভাগ।

‘প্রথম আলোকে কতটা জানি’ কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন কালচার অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোহাম্মদ মনজুর কাদের জিলানী, দ্বিতীয় হয়েছেন একই বিভাগের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. মনজুরুল আলম এবং তৃতীয় হয়েছেন হিসাব বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ