গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ দিন বয়সী সন্তানকে বর্ণি বাওড়ের পানিতে ফেলে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মা রিয়া বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বর্ণি বাওরের মধ্যপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় ঘটানাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

খুলনায় গলাকেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে শিশু তায়েবা খুন: এসপি

রিয়া বিশ্বাস টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর উত্তরপাড়ার হরিচাদ বিশ্বাসের স্ত্রী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, হরিচাদ বিশ্বাসের স্ত্রী রিয়া বিশ্বাস কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। গতকাল সন্ধ্যার পর তিনি তার ১০ দিন বয়সী কন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বর্নি মধ্যপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় বর্ণি বাওড়ে নিজের সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করতে পানিতে ঝাঁপ দেন রিয়া। এসময় এলাকার কয়েকজন লোক তাকে পানিতে ভাসতে দেখে নৌকা নিয়ে উদ্ধার করেন। তাদের কাছে মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে জানান রিয়া।

তিনি আরো জানান, পুলিশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাওড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটির মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ সন ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা

যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী

তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 

তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর। 

সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে। 

ঢাকা/রিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ