শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম দুলাল বলেছেন, “জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। জামায়াত বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে বেড়ায় দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাত পাওয়া যাবে, এটা মুনাফেকি। তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের ধারণা, তারা ক্ষমতায় গেছে।”

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদীর পশ্চিম বাজারস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

সর্বাত্মক ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় ২০১৪ সন থেকে: সলিমুল্লাহ খান

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত: ঢা‌বি সাদা দল

দুলাল বলেন, “গত ৫৪ বছরে এ দেশে যতগুলো দল ক্ষমতায় এসেছে, তার সিংহভাগের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতার অংশীদার ছিল জামায়াত। অথচ তারা বলে বেড়ায়, তারা ক্ষমতার বাইরে ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও শেরপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করে যাচ্ছে জামায়াত।”

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল বলেন, “কারোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার নীতিতে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে না। কে বা কারা ফেইসবুকে লিখেছে, তা আমাদের জানা নেই। জামায়াতের পক্ষ থেকে কারোর বিরুদ্ধে প্রচারণা বা বক্তব্য দেওয়া নিষেধ আছে। মূলত জামায়াতকে ট্যাগ দেওয়া বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

লালন সাঁইয়ের তত্ত্ব আলোচনা, গানে গানে মুখর সন্ধ্যা

লালন সাঁইয়ের গান নিয়ে আলোচনা আর গানে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান হয়ে গেল। আজ শনিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘নদীয়ার ভাবুকতার ইতিহাসে ফকির লালন শাহ, সংগীত ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা অনুষ্ঠান’–এর আয়োজন করেছিল বাংলা একাডেমি ও নবপ্রাণ আন্দোলন।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল চারটা। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাঁর পৌঁছাতে দেরি হয়। পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জাতীয় পর্যায়ে লালনকে ধারণ ও উপস্থাপন করা চ্যালেঞ্জিং কাজ। এটা তিনি উপলব্ধি করেছেন জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে। এ ক্ষেত্রে বড় বাধাটা আসে বুদ্ধিবৃত্তিক মহল থেকে, ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে নয়। তবু শেষাবধি সেই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, লালন সাঁইয়ের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমেই বাড়ছে। তাঁকে নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। লালন সাঁইসহ আরও অনেক বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজ করা প্রয়োজন। সেই উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান আলোচক কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘লালন সাঁই নিজেকে কখনো বাউল বলে পরিচয় দেননি। বাউল সম্পর্কে আমাদের এখানে নেতিবাচক ধারণা প্রচার করা হয়েছে। এর কুফল আমরা ভোগ করছি। লালন সাঁইয়ের গান ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাঁর গানের ভাবের প্রতি আমরা সুবিচার করতে পারিনি।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, লালন সাঁইকে দেখার জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন অনেকটা পাল্টেছে। আগে লালনের রচনা লোকসাহিত্য হিসেবে পড়ানো হতো। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে তাঁর রচনা কবিতা বা গীতিকবিতা হিসেবে পাড়ানো হচ্ছে। তাঁর দর্শন পশ্চিমা দার্শনিকদের মতোই জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা সম্ভব।

স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সেলিম রেজা। ধন্যবাদ জানান কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার

সম্পর্কিত নিবন্ধ