জামায়াতের ধারণা তারা ক্ষমতায় গেছে: দুলাল
Published: 14th, October 2025 GMT
শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম দুলাল বলেছেন, “জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। জামায়াত বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে বেড়ায় দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাত পাওয়া যাবে, এটা মুনাফেকি। তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের ধারণা, তারা ক্ষমতায় গেছে।”
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদীর পশ্চিম বাজারস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সর্বাত্মক ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় ২০১৪ সন থেকে: সলিমুল্লাহ খান
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত: ঢাবি সাদা দল
দুলাল বলেন, “গত ৫৪ বছরে এ দেশে যতগুলো দল ক্ষমতায় এসেছে, তার সিংহভাগের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতার অংশীদার ছিল জামায়াত। অথচ তারা বলে বেড়ায়, তারা ক্ষমতার বাইরে ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও শেরপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করে যাচ্ছে জামায়াত।”
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল বলেন, “কারোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার নীতিতে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে না। কে বা কারা ফেইসবুকে লিখেছে, তা আমাদের জানা নেই। জামায়াতের পক্ষ থেকে কারোর বিরুদ্ধে প্রচারণা বা বক্তব্য দেওয়া নিষেধ আছে। মূলত জামায়াতকে ট্যাগ দেওয়া বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
শাকসু নির্বাচন : গঠনতন্ত্র ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি শঙ্কাও বাড়ছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিলেও প্রশাসনের ধীরগতির কারণে এখনো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়নি। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনীর জন্য শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথমার্ধে প্রবিধি (গঠনতন্ত্র) পুনঃপ্রণয়ন কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। এর প্রায় তিন মাস পর ৮ অক্টোবর গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে শাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে দলীয় ব্যানারে ছাত্ররাজনীতি চালু করে কর্তৃপক্ষ। শাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে গত তিন মাসে দৃশ্যমান আর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
আরও পড়ুনকেন্দ্রীয় সংসদে ২৩, হল সংসদে ৯ পদ রেখে গঠনতন্ত্র অনুমোদন০৯ অক্টোবর ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষকসহ অন্তত পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাকসু নির্বাচনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অনলাইনে একটি মতবিনিময় সভা করেন উপাচার্য। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষক অংশ নেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর শাকসু নিয়ে শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন। শেষ মুহূর্তে একজন শিক্ষক উপাচার্যের কাছে সভার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একপর্যায়ে অনলাইন বৈঠকে কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর কয়েকজন শিক্ষক শাকসুর বিষয়ে যৌক্তিক সময় ও সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন। শাকসুর বিষয়ে আলোচনার জন্য ওই সভা ডাকা হলেও উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
গত রোববারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করে গঠনতন্ত্র হস্তান্তরের কথা ছিল। প্রশাসনের ধীরগতির কার্যক্রম ও শিক্ষকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা করছেন।
আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্যপ্রার্থীদের তৎপরতা২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫সমাজকর্ম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী আব্বাস বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কতিপয় শিক্ষক শাকসু নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা নির্বাচন চান না। আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করি, বর্তমানে আমাদের ক্যাম্পাসে শাকসুর প্রয়োজনীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। সহ-উপাচার্য সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনের অনেক কাজই আমরা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। স্থগিত হয়নি, কাজ চলমান আছে। নির্বাচন সফল করতে আমরা সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করি।’