ফ্রস্ট ব্লাস্ট টি-২০: রানার্স-আপ বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স
Published: 6th, December 2025 GMT
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রস্ট ব্লাস্ট টি-২০ সিজন-২ এর ফাইনাল ম্যাচ।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাছে ২৭ রানে হেরে রানার্স-আপ হয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স। ২১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ভালো শুরু করলেও মাঝের ওভারে ছন্দ হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স।
২১৬ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫১ রান তুলেছিল স্ট্রাইকার্স। কিন্তু মিডল ওভারে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ে রানের গতি কমে আসে। শেষ দিকে অধিনায়ক শেহজাদ আকবর সোবহান ৬ বলে ১৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও স্টাম্পিং হয়ে ফিরে গেলে স্ট্রাইকার্সের জয়ের আশা নিভে যায়।
ওপেনার খালেদ মাসুদ খেলেন ২৩ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে মো.
এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স। নতুন বলে শেহজাদ আকবর সোবহান ও বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম চাপ ধরে রাখেন শুরু থেকেই। পঞ্চম ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শাহনিয়ান। একাদশ ওভারেও আরেকটি উইকেট নিয়ে তিনি শেষ করেন ৪ ওভার, ১৮ রানে ২ উইকেটের চমৎকার স্পেল। শেহজাদ সুযোগ তৈরি করলেও ফিল্ডারদের হাত ফসকে যায় কয়েকটি ক্যাচ। শেষ পর্যন্ত তার ৪ ওভারে খরচ হয় ৪৯ রান। তিন ওভারে ৪০ রানে তিন উইকেট নেন জনি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইনিংস গড়ে ওঠে ওপেনার নীপুর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তিনি ৪৬ বলে ৮৫ রান করেন। উইকেটকিপার ব্যাটার নিলয় আহসান যোগ করেন ২৭ বলে ৪১ রান, তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। শেষ দিকে সায়ুম মাহমুদ মাত্র ৬ বলে ২৩ রান করে দলকে নিয়ে যান বড় স্কোরে।
নির্ধারিত ২০ ওভারে মার্কেন্টাইল ব্যাংক তোলে ৫ উইকেটে ২১৫ রান। জবাবে লড়াই করেও ২৬ রানে হেরে রানার্স-আপ হয়েই ফিরতে হয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্সকে।
ঢাকা/তারা//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২২ বছর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা নবাব হন
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
সৃজনশীল প্রশ্ন: অধ্যায়–১
শহীদ মিয়া তরুণ বয়সে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রথম থেকেই কিছু আত্মীয় নিজেদের সুবিধার জন্য শহীদ মিয়াকে জনগণের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। সুযোগ বুঝে একসময় তারা তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সক্ষম হয় এবং হত্যা করে।
প্রশ্ন
ক. সম্রাট আকবরের সেনাপতি কে ছিলেন?
খ. বাংলায় নবজাগরণ কী, ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের শহীদ মিয়ার ঘটনার সঙ্গে ঐতিহাসিক কোন ঘটনার মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত ঘটনা কি বাংলার স্বাধীনতা হারানোর কারণ? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর
ক. সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন মানসিংহ।
খ. বাংলায় ইংরেজ শাসনের প্রভাবে এ দেশের মানুষের মধ্যে যে সচেতনতা তৈরি হয়, তাকেই নবজাগরণ বলে। ইংরেজরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে এলেও একসময় তারা এখানে বিভিন্ন সমাজসংস্কার, শিক্ষা বিস্তার প্রভৃতি কাজ করে থাকে। আধুনিক শিক্ষার কারণে এখানকার মানুষের মধ্যে অধিকার নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়। তারা সমাজের কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ইতিহাসে এটাই বাংলায় নবজাগরণ।
আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা—বিজ্ঞান : টিকটিকি সরীসৃপ কেন০১ ডিসেম্বর ২০২৫গ. উদ্দীপকের শহীদ মিয়ার ঘটনার সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে হত্যার সঙ্গে মিল রয়েছে। নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রিয় নাতি সিরাজউদ্দৌলা মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। তখন তাঁর সামনে একদিকে ইংরেজ শক্তি, পাশাপাশি বড় খালা ঘসেটি বেগম ও সিপাহশালার মীর জাফর আলী খানের ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত হন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে তিনি নিহত হন। তখন বাংলায় শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ইংরেজদের প্রভাব প্রতিষ্ঠা পায়। শহীদ মিয়ার তরুণ বয়সে চেয়ারম্যান হওয়ার সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলার কম বয়সে নবাব হওয়ার মিল দেখা যায়।
অন্যদিকে সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের লোকজনও এই ক্ষমতা গ্রহণকে নেতিবাচক বলে মনে করে। উদ্দীপকের শহীদ মিয়াও ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাঁর পরিবারের আত্মীয়েরা বিরোধিতা করে, যা শহীদ মিয়ার ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়। তাই পারিবারিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সিরাজউদ্দৌলার পতনের ঘটনার মিল রয়েছে।
ঘ. হ্যাঁ, সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা হারানো ও মৃত্যু বাংলার পরাধীনতার কারণ। এ ঘটনায় শাসন ক্ষমতায় ইংরেজরা প্রভাব রাখতে শুরু করে।
মীর জাফর ও পরবর্তী সময়ে মীর কাশিমকে ইংরেজরা বাংলার নবাব মনোনীত করলেও নানা কারণে তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে খাজনা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন শুরু করেন। অন্যদিকে নবাব ভাতা ভোগ করেন। নবাব শাসন ও বিচারের দিকটি দেখার সুযোগ পান। ক্লাইভ কর্তৃক এ অদ্ভুত শাসনই ইতিহাসে ‘দ্বৈত শাসন’ নামে পরিচিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে শাসন ক্ষমতা সুদৃঢ় করে। কিন্তু ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেরাই শাসন শুরু করে। ব্রিটিশদের এই শাসন ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। ফলে ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলার স্বাধীনতা ছিল ইংরেজদের হাতে। তাই সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও মৃত্যু বাংলার স্বাধীনতা হারানোর বড় কারণ।
মো. আবুল হাছান, সিনিয়র শিক্ষক, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা