বাংলা—অপভ্রংশই প্রাকৃত ভাষার শেষ স্তর
Published: 6th, December 2025 GMT
বাংলা: বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ২০ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে। গদ্য থেকে ৫টি, কবিতা থেকে ৫টি ও ব্যাকরণ থেকে ১০টি করে মোট ২০টি প্রশ্ন থাকবে। নিচে গদ৵ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হলো।
১. মালি–বৌ কেন কুকুরটিকে তাড়িয়ে দেয়?
ক. কামড়াবে বলে
খ. ঘেউ ঘেউ করত বলে
গ. খাবারে ভাগ বসাবে বলে
ঘ.
২. ‘চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল।’—‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে ‘কাপালি’র এরূপ হওয়ার কারণ কী?
ক. বাক্স হারিয়ে যাওয়া
খ. হারানো বাক্স ফেরত পাওয়া
গ. বন্যায় সব ভেসে যাওয়া
ঘ. নতুন আশ্রয় পাওয়া
৩. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য কী?
ক. শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করা
খ. ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা
গ. অলৌকিক ঘটনার সমাবেশ
ঘ. শিক্ষার্থীদের নিছক আনন্দ দেওয়া
৪. ‘ব্যক্তি স্বেচ্ছাচারী সম্রাট’—এখানে প্রাবন্ধিক কোন জায়গাকে নিদে৴শ করেছেন?
ক. জাতীয় লাইব্রেরিকে
খ. ব্যক্তিগত অফিসকে
গ. ব্যক্তিগত লাইব্রেরিকে
ঘ. পারিবারিক লাইব্রেরিকে
আরও পড়ুনপ্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা—বাংলা: অনুচ্ছেদ পড়ো, প্রশ্ন তৈরি করো০৪ ডিসেম্বর ২০২৫৫. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’—উক্তিটি কে করেছিল?
ক. হাসু খ. রহমত
গ. মোড়ল ঘ. কবিরাজ
৬. প্রাকৃত ভাষার শেষ স্তর কোনটি?
ক. মাগধী প্রাকৃত খ. অপভ্রংশ
গ. সংস্কৃত ঘ. গৌড়ী অপভ্রংশ
৭. ‘হালখাতা’ ও ‘পুণ৵াহ’ অনুষ্ঠানের মধে৵ মিল রয়েছে কিসে?
ক. আপ্যায়নে খ. উদ্যাপনে
গ. উদ্দেশ৵ সাধনে ঘ. আনন্দ অনুষ্ঠানে
৮. গণ–অভ্যুত্থান হলো—
i. সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন
ii. স্বৈরশাসকের পতন
iii. শাসককে গণদাবি মেনে নিতে বাধ্য করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
সঠিক উত্তর
১. গ ২. খ ৩. ক ৪. গ ৫. ঘ ৬. খ ৭. গ ৮. ঘ।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে আবারো বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ভারতে আবারো স্থাপিত হলো বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা ও রেজিনগরের মাঝামাঝি এলাকায় শনিবার বাবরি মসজিদের আদলে নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সকাল ১০টা থেকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বেলা ১২টায় শুরু হয় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মূল অনুষ্ঠান।
মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন করিরের বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে সৌদি আরব থেকে এসেছিলেন মুফতি সুফিয়ান। মদিনা থেকে এসেছেন শেখ আবদুল্লা। এর পাশাপাশি, ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসল্লি এসেছিলেন। যে যার সাধ্যমতো কেউ দুটো, কেউ চারটে, কাউকে ছয়টা ইট মাথায় নিয়ে সভাস্থলে এসেছিলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে দান হিসেবে এই ইট এনেছেন তারা। সভাস্থলেই প্রায় কয়েক কোটি রুপি মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করেন মুসল্লিরা। এককভাবে এক ডাক্তারই দিয়েছেন এক কোটি রুপি।
হুমায়ুনের মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না-হয়, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
শনিবার উদ্বোধন হলেও আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার সকাল থেকেই বেলডাঙ্গা ও আশপাশের অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, বিএসএফসহ তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাহি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রায় ৪০ হাজার অতিথি। স্থানীয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও দর্শনার্থীর জন্য ছিল শাহী বিরিয়ানির ব্যবস্থা। রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাতটি কেটারিং সংস্থাকে। এছাড়া তৈরি করা হয়েছিল ৪০০ অতিথি ধারণ ক্ষমতার মঞ্চ। সবদিক সামল দেওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছিল। পুরো আয়োজনে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় কয়েক কোটি রুপি।
বরখাস্ত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির শনিবার মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, একটি ইটও কেউ সরাতে পারবে না, কারণ বাংলার ৩৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা যেকোনো মূল্যে এটি তৈরি করবে। মসজিদ তৈরি হবে।
তিনি উপাসনালয় নির্মাণের সাংবিধানিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি অসাংবিধানিক কিছু করছি না। যে কেউ মন্দির বানাতে পারে, যে কেউ গির্জা বানাতে পারে; আমি মসজিদ বানাব। বলা হচ্ছে যে আমরা বাবরি মসজিদ বানাতে পারব না। এটা কোথাও লেখা নেই। সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল যে হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে। হিন্দুদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে এখানে মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা দেখছি সাগরদিঘিতে কেউ রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছে। কিন্তু সংবিধান আমাদের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেয়।”
কবির জোর দিয়ে বলেন, আইনি চ্যালেঞ্জ মসজিদের নির্মাণকে আটকাতে পারবে না। আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে, কিন্তু যার সঙ্গে আল্লাহ আছেন তাকে কেউ থামাতে পারবে না। আদালতও স্পষ্টভাবে বলেছে যে ভারতের সংবিধানে লেখা আছে যে কেউ মসজিদ তৈরি করতে পারে; এটি একটি অধিকার।”
কবির জানান, মসজিদের জন্য ৩০০ কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, ২৫ বিঘা জমির মসজিদ চত্ত্বরে নির্মাণ হবে কলেজ হাসপাতাল। মূল মসজিদ নির্মাণ হবে তিন কাঠা জমির উপর। যেখানে একটি হাসপাতাল, গেস্টহাউস এবং সভাকক্ষও থাকবে। মসজিদ নির্মাণে টাকার অভাব হবে না। মসজিদ নির্মাণের জন্য এক শিল্পপতি ৮০ কোটি রুপি দিয়েছেন।
তিনি এই প্রকল্পের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “এটি মুসলমানদের প্রতিশ্রুতি: বাবরি মসজিদ তৈরি হবেই, হবেই, হবেই।
ঢাকা/শাহেদ