কুড়িগ্রামে বিএডিসি ডিলারের বিরুদ্ধে সার পাচারের অভিযোগ, ৮০ বস্তা সার জব্দ
Published: 6th, December 2025 GMT
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের এক বিএডিসি ডিলারের বিরুদ্ধে সার পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গোডাউন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সময় উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া এলাকায় মাস্টার মোড় থেকে ৮০ বস্তা ডিএপি সারসহ দুটি নছিমন জব্দ করা হয়।
অভিযুক্ত ডিলারের নাম মোছা. হালিমা খাতুন। সাপখাওয়া ও ব্যাপারীটারী এলাকার জন্য বিএডিসি অনুমোদিত ওই সার ডিলারের প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স রাদিয়া ট্রেডার্স।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত আটটার দিকে মেসার্স রাদিয়া ট্রেডার্সের গোডাউন থেকে ৮০ বস্তা ডিএপি সার (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) দুটি নছিমনে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। মাস্টার মোড় বাজারসংলগ্ন ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি থামান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় চালকেরা সার পরিবহনের কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারায় তাঁরা গাড়ি দুটি আটকে দেন। পরে খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সারসহ নছিমনটি থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। কৃষক আজিজুল হক ও আরিফ হোসেনের অভিযোগ, এলাকায় নিয়মিত সারসংকট চলছে। ডিলারের কাছে সার পাওয়া যায় না, পেলেও অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়। অথচ রাতে গোপনে সার পাচারের চেষ্টা চলছে। এর আগেও একই ডিলার অনিয়মের কারণে জরিমানা দিয়েছিলেন।
সারের বস্তাগুলো জব্দের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাগেশ্বরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিম বলেন, ‘সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসির নির্দেশে সার ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।’
ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও ডিলার হালিমা খাতুন গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। একপর্যায়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
গোডাউন থেকে সার স্থানীয় এক খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে নেওয়া হচ্ছিল বলে জেনেছেন নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ শনিবার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নাগেশ্বরীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদরুজ্জামান রিশাদ আজ দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল জব্দ করা সার ও নছিমন নাগেশ্বরী থানা-পুলিশি হেফাজতে আছে। ওই সার গোডাউন ও নছিমন আটকের স্থানটি পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্ক, চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসা বিষয়ক চলমান চিকিৎসার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
সেমিনারে অংশগ্রহণের পূর্বে আবু জাফর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালিটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তার বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে ডিজি ও তার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন আবু জাফর।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা.মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। তবে এখন বিষয়টি নিয়ে আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’’
ঢাকা/মিলন//