‘আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সহজ-সরল ছিলেন। ভাই চেয়েছিলেন ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাতে। এখন সেই ভাইও নাই, ভাতিজাও হারিয়ে গেল।’ কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন নরসিংদীতে ভূমিকম্পে মারা যাওয়া দেলোয়ার হোসেনের (৪০) ভাই আনোয়ার হোসেন। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ওমর ফারুকও (১০) মারা যায়।

নিহত দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নরসিংদী সরকারি আদমজী জুট মিলে উচ্চমান সহকারী পদে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর ছেলে ওমর নরসিংদীর একটি হাফেজি মাদ্রাসায় পড়ত।

আরও পড়ুনভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে মৃত্যু বেড়ে ৫২১ ঘণ্টা আগেপাকুন্দিয়া পৌর সদরের উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য মতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

তবে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭।

এর আগে আজ শনিবার সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মৃদু ভূমিকম্প হয়। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।

গতকাল শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।

সবচেয়ে বেশি-পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো স্থানে বড় ভূমিকম্পের পর সাধারণত একাধিক পরাঘাত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ