মাগুরায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ভূমি অফিসে এবং এক ঘণ্টা পর রেজিস্ট্রি অফিসে আগুন লাগে।

আগুনে ভূমি অফিসের একটি কক্ষের কম্পিউটার, আসবাব ও নথিপত্র পুড়ে গেছে। অন্যদিকে রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডরের দোকান পুড়ে গেছে।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আগুনের খবর পাই। সেখানে একটি কক্ষে আগুন লেগেছিল। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরপরই রেজিস্ট্রি অফিসে আগুনের খবর পাই। সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কর্মীরা। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। কেউ আগুন দিয়েছে কি না, সে বিষয়েও তাৎক্ষণিক কোনো আলামত জব্দ হয়নি।’

মাগুরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সদর ভূমি অফিস শহরের মধ্যে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূমি অফিসের একটি কক্ষের প্রায় সবকিছু ভস্মীভূত হয়েছে। অন্যদিকে রেজিস্ট্রি অফিসের দুটি দোকান পুড়ে গেছে।

মাগুরা জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী মো.

ওহিদুর রহমানসহ কার্যালয়ের দুই কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কার্যালয়ে একজন দলিল লেখক এবং এক স্ট্যাম্প ভেন্ডরসহ চার জায়গায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে বোতলভর্তি পেট্রলসহ কয়েকটি খালি বোতল পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ভূমি অফিসের একটি কক্ষের কম্পিউটার, সিপিইউসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নথিগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও এগুলো জমির মালিকানা বিষয়ক নথি না। এগুলো পুনরুদ্ধার করা যাবে। পুরো বিষয়টা নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের পরে জানা যাবে ঘটনার মূল কারণ। এটা কি নাশকতা নাকি অন্য কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ড, সেটা তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অফ স র

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ব্রিটেনে কারিগরি শিক্ষার উত্থান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুতগতিতে কর্মক্ষেত্রের দখল নেওয়ায় চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করা তরুণদের মধ্যে। অনেকেই ‘হোয়াইট কলার’ চাকরিকে নিরাপদ মনে করছেন না আর। বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং হাতে–কলমে দক্ষতার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, এমন কারিগরি পেশার দিকে ঝুঁকছেন।

এমনই একজন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মারিনা ইয়ারোশেঙ্কো। এআই যে অনেক অফিসভিত্তিক কাজ দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। বর্তমানে মারিনা লন্ডনের সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টার কলেজে প্লাম্বিং কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

ইউক্রেন থেকে আসা মারিনা বলছিলেন, ‘এটা এমন একটা কাজ, যেটা এআই নিতে পারবে না।’ তাঁর মতে, প্লাম্বিং বা প্রকৃত প্রকৌশল কাজের সূক্ষ্মতা এবং শারীরিক বাস্তবতা কোনো যন্ত্র পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারে না। মারিনা বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই এআইকে কাজে লাগাব, কিন্তু অনেক কাজ আছে, যা শুধুই মানুষ করতে পারে—যেমন আসল প্লাম্বিং, তড়িৎকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে নতুন যুগের পড়াশোনা: কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডে?২০ নভেম্বর ২০২৫এআইয়ের প্রভাব: বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাগ্রহ, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি বাড়ছে

ব্রিটেনে এআইয়ের প্রভাবে বড় ধরনের চাকরির কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআইপিডি) সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশটির ছয়জনের একজন নিয়োগদাতা মনে করছেন, আগামী ১২ মাসে এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহারের কারণে তাঁরা কর্মীর সংখ্যা কমাতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে সিডব্লিউসি (সিটি অব এয়েস্ট মিনস্টার কলেজ) গত তিন বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং, কনস্ট্রাকশন এবং বিল্ট এনভায়রনমেন্ট কোর্সে ভর্তি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। কলেজের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ডেভিস মনে করেন, এআইয়ের অগ্রগতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়সংকুল ডিগ্রির প্রতি তরুণদের অনাগ্রহ—এ দুটি কারণেই কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

লন্ডনের ইউনাইটেড কলেজেস গ্রুপের অংশ সিডব্লিউসি মূলত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

অন্যদিকে ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) আগস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতি দুজনের একজন এআইয়ের কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে উদ্বিগ্ন ২৫–৩৫ বছর বয়সীরা।

লন্ডনের কিংস কলেজের প্রভাষক এবং এআই গবেষক বোক ক্লেইন টিসেলিংক বলেন, এখন তরুণদের মধ্যে অনেক উদ্বেগ রয়েছে যে তাদের চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাচ্ছে। কিংস কলেজ টিসেলিংকের গত অক্টোবরে এক গবেষণা প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এআই-চালিত কর্মী ছাঁটাই জুনিয়র পদগুলোকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে তরুণদের ক্যারিয়ারের সিঁড়িতে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থী ওয়ার্কশপে কাজ শিখছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ব্রিটেনে কারিগরি শিক্ষার উত্থান
  • রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেপ্তার
  • দোকানে ঢুকে র‍্যাকুনের কাণ্ড
  • কোনো স্কুলে তালা ভেঙে, কোথাও পুলিশ পাহারায় পরীক্ষা
  • দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, সড়কে ছিটকে পড়তেই বাসচাপায় প্রাণ গেল দুজনের
  • বার্ষিক পরীক্ষায় স্কুলে ‘শাটডাউন’: আলোচনা করে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি বাড়বে
  • হাসলে কি অজু ভেঙে যায়
  • সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তান
  • অবকাঠামো বৈষম্য ও প্রবেশাধিকার সমতা