2025-12-06@11:34:20 GMT
إجمالي نتائج البحث: 62

«ত রপর বলল ন»:

    আবু হামিদ মুহাম্মদ আল-গাজ্জালি। জন্ম তাঁর খোরাসানের তুস শহরে, হিজরি ৪৫০ সালে। তাঁর বাবা ছিলেন খুব গরিব। পশমের সুতা বুনে তাঁর সংসার চলত। তুস শহরে নিজের ছোট্ট একটি দোকানে বসে তিনি সুতা কাটতেন; আর সেই সুতা বেচে যা আয় হতো, তা দিয়েই দিন কাটাতেন। নিজের রোজগার করা পয়সা ছাড়া তিনি একটি দানাও মুখে তুলতেন না, পরিবারের সদস্যদের মুখেও দিতেন না।ধর্মের প্রতি ইমাম গাজ্জালির বাবার টান ছিল গভীর। জ্ঞানী, পণ্ডিত আর আলেমদের আসরে তিনি প্রায়ই যেতেন। তাঁদের সেবা করার জন্য ব্যাকুল থাকতেন। নিজের সাধ্যমতো তাঁদের দেখভাল করতেন ও খেয়াল রাখতেন।তাঁদের কথা আর উপদেশ শুনে তাঁর চোখে পানি এসে যেত। তখন তিনি দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে আকুল হয়ে চাইতেন, যেন তিনি এমন একটি ছেলে তাঁকে দেন, যে হবে ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী,...
    গত ২৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ের বাসভবনে মারা গেছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার মৃত্যুর পর পারিবারিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনী আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তারই এক লিখিত দলিল যেন এটা।    মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে হেমা মালিনী লেখেন, “ধর্মজি, আমার কাছে অনেক কিছু ছিলেন। স্নেহময় স্বামী, আমাদের দুই মেয়ে এশা ও অহনার আদুরে বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি—প্রয়োজনে সবসময় যার কাছে ছুটে যেতাম—আসলে তিনি আমার সবকিছুই ছিলেন! সুখ–দুঃখের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকেছেন। সহজ-সরল, বন্ধুসুলভ স্বভাব, স্নেহ ও আন্তরিকতার জন্য পরিবারের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।”  আরো পড়ুন: বিয়ে স্থগিত: স্মৃতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ, মুখ খুললেন গায়কের মা...
    দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। আর যখন দোয়া করেন মহানবী নিজে (সা.), তখন তা হয়ে ওঠে অলৌকিকতার প্রতীক। আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীর দোয়া কবুল করেন তৎক্ষণাৎ, যা নবুয়তের সত্যতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আলমেগণ বলেন, ‘নবীর দোয়া কবুল হওয়া তাঁর নবুয়তের সুস্পষ্ট চিহ্ন। আল্লাহ মিথ্যাবাদীর দোয়া কবুল করেন না।’নবীজির দোয়া কবুলের ঘটনা অসংখ্য। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে দেখব, কীভাবে আল্লাহ তাঁর দোয়া শুনেছেন।বৃষ্টির জন্য দোয়া: মেঘের পাহাড় উঠে আসা মদিনায় দীর্ঘ খরা। সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, শিশুরা ক্ষুধায় কাঁদছে। জুমার খুতবায় এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, পরিবার ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবীজি হাত তুললেন। আকাশে মেঘের টুকরোটিও ছিল না। কিন্তু হাত নামানোর আগেই মেঘ জমতে শুরু করল পাহাড়ের মতো। মিম্বর থেকে নামার আগেই বৃষ্টি পড়তে লাগল নবীজির দাড়িতে। সেই দিন, পরের...
    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। আগামী বছর তাঁর ৯০ বছর পূর্তি আমরা উদ্‌যাপন করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক, এখন ইমেরিটাস অধ্যাপক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর খ্যাতি শিক্ষক হিসেবে প্রবাদে পরিণত। তিনি কোনো দিন কোনো ক্লাসে গরহাজির ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী নাজমা জেসমিন চৌধুরী যেদিন মারা যান, কিংবদন্তি আছে যে সেদিনও তিনি ক্লাসে হাজির হন আর শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন এই বলে যে, ‘আজ আমি পড়াতে পারব না।’কৈশোরেই হাতে লেখা পত্রিকা বের করতেন, তাতে বিখ্যাত মানুষদের লেখা প্রকাশিত হতো, তিনি নিজে হতে চেয়েছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক। কিন্তু অধ্যাপনা তাঁকে চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক হতেই সাহায্য করল। অনেকগুলো মননশীল গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। বিলেতে পড়তে গিয়ে সমাজতন্ত্রের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হন, সারা জীবন ওই আদর্শ থেকে সরে যাননি। ২৬ অক্টোবর ২০২৫, জাতির...
    ‘অতর্কিতেই আকাশ আনল বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র নতুন একটা কবিতা পড়তে উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমনযখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম...
    ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান বরেণ্য এই নির্মাতা। বেঁচে থাকলে আজ জন্মশতবর্ষ উদযান করতেন। ৫০ বছরের জীবনে খুব বেশি সিনেমা উপহার দেননি; মাত্র ৮টি সিনেমা নির্মাণ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি কুড়ান। কেবল সিনেমাই বানাননি, অনেককে বানানোও শিখিয়ে গেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাদের মধ্যে অন্যতম বলিউড পরিচালক-প্রযোজক বিধু বিনোদন চোপড়া। তার এই নামটি ঋত্বিক ঘটকেরই দেওয়া। এ পরিচালক বলেন, “আমি যখন পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে (এফটিআইআই) পড়তে যাই, তখন আমার নাম ছিল বিনোদ কুমার চোপড়া।” আরো পড়ুন: আমি আজ যা কিছু, সবই নারীদের জন্য: শাহরুখ ১৩ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত? ঋত্বিক ঘটক বিধু বিনোদ চোপড়ার শিক্ষক ছিলেন। একটি ঘটনা বর্ণনা করে এই পরিচালক বলেন,...
    নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভ এবং বান্দার সঙ্গে তার রবের মধ্যে সবচেয়ে গভীর সম্পর্কের মাধ্যম। এটি শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আত্মার শান্তি, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং জীবনের সঠিক পথে চলার শক্তির উৎস।রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দার প্রথম যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে, তা হলো তার নামাজ। যদি নামাজ সঠিক হয়, তবে সে সফল ও বিজয়ী হবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৪১৩)নামাজের গুরুত্ব এতটাই যে, এটি সঠিকভাবে আদায় না করলে পুরো ধর্মই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।নামাজে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর একটি সংলাপ চলে। এটি কেবল শারীরিক ক্রিয়া নয়, বরং হৃদয় ও আত্মার সঙ্গে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম।হাদিসের ঘটনা: ‘যাও, আবার নামাজ পড়ো’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) মসজিদে প্রবেশ করলেন। এমন...
    আমার মেয়ে শুমশুমাকে নিয়ে প্রথমবারের মতো এতিমখানায় গেলাম। জীবন কত অসহায়ত্বে ভরপুর হতে পারে- তাই দেখানোর ইচ্ছা ছিল আমার। আমি মনে মনে সব সময়ই ভাবি আমার শুমশুম একদিন শিশুদের জন্য অত্যন্ত দরদী হয়ে উঠবে। বাবা নেই, মা নেই এমন ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে একটা বেলা কাটানো ছিল আমার জন্য এক অচেনা অজানা পরানপুরা অভিজ্ঞতা যেন।  বারে বারেই মনে হচ্ছিলো আলহামদুলিল্লা স্রষ্টা আমাদের ওপর কত বড় রহমত প্রদানকারী, এদের মতন এমন নিঃসঙ্গ একা একা বেড়ে ওঠার জীবন উনি আমাদের দেননি। আরো পড়ুন: সন্তান পরীক্ষায় ফেল করেছে, বাবা-মায়ের করণীয় ত্বক সতেজ রাখতে এই ফল খেতে পারেন দেশে এলে প্রতিবারই আমার পরলোকগত পিতা ও মরহুম শ্বশুর-শ্বাশুড়ির জন্য কিছু মিলাদের আয়োজন করি।এবারও তাই, তবে এবার একটু অন্য রকম ছিল। প্রতিবারের মতন মিলাদের পর...
    বহুল আলোচিত ‘বেলাশেষে’ সিনেমায় ‘পিউ’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। আবার সৃজিতের ‘পদাতিক’ সিনেমায় প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের স্ত্রী ‘গীতা’ চরিত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আর তার শরীরি সৌন্দর্যের বয়ান নিষ্প্রয়োজন। আলোচিত মনামী ঘোষ নিজেকে ‘লক্ষ্মী মেয়ে’ বলে দাবি করেছেন। কী কারণে এমনটা দাবি করেছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘ষড়রিপু’খ্যাত এই তারকা অভিনেত্রী।      ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনামী ঘোষ বলেন, “বরাবরই আমি লক্ষ্মী মেয়ে। আমি ভালো শ্রোতা। সবার কথা মন দিয়ে শুনি, গুরুজনেরা বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা কোনো পরামর্শ দিলে সেটা অবশ্যই শুনি। কিন্তু কোনটা ভালো পরামর্শ, কোনটা খারাপ পরামর্শ সেটাও খুব ভালোভাবে বুঝি। আমার উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সবটা শুনে আমি আমার বিচার-বিবেচনা, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিই। এ...
    কিছুদিন আগে অভিনেত্রী অঞ্জলি রাঘবকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন ভোজপুরি তারকা অভিনেতা পবন সিং। তারপর বিজেপির সংসদ সদস্য পবন সিংয়ের স্ত্রী জ্যোতি সিং দাম্পত্য কলহ সামনে আনেন। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ তুললেন জ্যোতি।   বুধবার (৮ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জ্যোতি সিং। সেখানে তিনি বলেন, “তিনি (পবন) বলছেন, তিনি সন্তান চেয়েছিলেন। কিন্তু যে মানুষ সন্তান চায়, সে কখনো তার স্ত্রীকে ওষুধ দিতে পারে না। আমাকে প্রতিবারই ওষুধ খাওয়ানো হতো। আমি অনেক কিছু মিডিয়ার সামনে বলিনি। কিন্তু আজ পবনজি আমাকে বাধ্য করেছেন। আমি পবনকে অপমান করছি না, আমি শুধু আমার দিকটা তুলে ধরছি। আজ নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।”  আরো পড়ুন: কানতারা টু: ৭ দিনে...
    লিখনকে পই পই করে হেলাল আহমেদ বলে দিয়েছিলেন, মেলায় ঢোকার আগে যেন তাঁর অফিসে একটু ঢুঁ মেরে যায়। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন বড় কর্মকর্তা। বসেন শিক্ষা ভবনে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বড়জোর পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। তবু মেলায় তাঁর নাকি আসা হয়ে উঠছে না। আলস্য ও নানা কারণে। আলস্য—কথাটা সত্যি। আরেকটা ব্যাপার হয়তো, একটা বয়সের পরে শুধু শুধু একাকী মেলার মতো একটা জায়গায় ঘোরাফেরা করা যায় না। বিশেষ করে যখন তিনি একজন সরকারি বড়কর্তা, বিশেষ করে তিনি যখন একসময়ের সাড়া ফেলে দেওয়া কবি। ফলে তিনি মেলায় বিচরণের সময় যেটা মিস করেন তা হলো, সঙ্গ। এ জন্যই লিখনকে এমন তাগিদ দেওয়া। হেলাল ভাই লিখনদের কাছে, মানে যারা এখন লেখালেখির চেষ্টা করছে বা লেখালেখি করছে, তাদের কাছে—কিছুটা রহস্যাবৃত মানুষ। তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত...
    আমি অনেক হাঁটতে পারি। মাঝেমধ্যেই হল থেকে বের হয়ে শহরের রাস্তা ধরে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটা ধরি। যদি এক জোড়া ডানা থাকত, তাহলে নিশ্চয়ই ওড়ার উদ্দেশ্যেই বের হতাম। আমার এক জোড়া পা আছে। তাই আমি হাঁটি। প্রায়ই ক্লাসে যাই না। মাঝেমধ্যে মিডটার্ম মিস করি। তারপর সেমিস্টারের শেষের দিকে বাবা এসে স্যার আর ম্যাডামদের সঙ্গে আলাপ করেন। বলেন, ‘আমার ছেলেটা অসুস্থ, দেখেন কিছু করা যায় কি না।’ প্রতি সেমিস্টারেই দেখা যায় একজন–দুজন মিডটার্ম মেকআপ দেয়, আমিও তাদের সঙ্গে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই। কোনো কোর্সে কোনোমতে পাস করি। কোনো কোনো কোর্সে ফেল করে, পরের বছর আবার পরীক্ষা দিই। এভাবে ‘কোনোমতে’ আমি এখনো টিকে আছি। তিন বছর ধরে দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পর্যন্ত সব কোর্স শেষ করে এখন চতুর্থ সেমিস্টারের কোর্স নিচ্ছি। দুইবার পরের ব্যাচের...
    ট্রেনটি কেবল যাত্রী আর মালপত্রে ঠাসা ছিল না, ভরা ছিল উত্তেজনায়, আবেগে। এটি একটি পুরোনো ট্রেন, সেই সব ট্রেনের মতো যেগুলো সৈন্যদের বহন করে, আমরা যুদ্ধের সিনেমায় যেমন ট্রেনে দেখি।‘যখন থেকে ট্রেনটা বানানো হয়েছে, তখন থেকে আমাদের নিয়ে ছুটছে,’ পাশে বসা পঞ্চাশোর্ধ্ব ডাক্তার প্রতিবেশী আমাকে বললেন। তার কথায় সন্দেহ করার কারণ ছিল না। ট্রেনে ওঠার আগের কিছুই আমার স্পষ্ট মনে পড়ে না। ট্রেনের গর্জনের মধ্যে আমার জাগরণ, তার ঝংকারের মধ্যে আমার বেড়ে ওঠা। ছুটছে অবশ্য দ্রুতই, সময় যেন আমাদের পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।আমার পাশের সঙ্গীর সঙ্গে আমি খুব কমই কথা বলতাম। চামড়ার সিটে পাশাপাশি বসে আমরা কেবল তীব্র ঝাঁকুনির সময় দৃষ্টি বিনিময় করতাম। চারপাশের হট্টগোল, কথার গুঞ্জন আমার কথা বলার ইচ্ছাকে গ্রাস করে নিত। বেশ কয়েকবার বলতে গিয়েও দেখেছি...
    বলিউড অভিনেতা আমির খান তার ভাই ফয়সাল খানকে এক বছর ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন অভিনেতা ফয়সাল খান। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র জোর চর্চা চলছে।  এ পরিস্থিতি এখনো কোনো বক্তব্য দেননি আমির খান। তবে রবিবার (১০ আগস্ট) আমির খানের পরিবার থেকে যৌথভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।    এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের মা জিনাত তাহির হোসেন, বোন নিখাত হেগড়ে এবং ভাই আমির সম্পর্কে ফয়সাল তার বক্তব্যে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা সে ভুলভাবে তুলে ধরেছে। এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। তার ভুলভাবে তথ্য তুলে ধরার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাই আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি মনে করছি। আমরা পরিবার হিসেবে পুনরায় আমাদের ঐক্যের জানান দিচ্ছি।”  আরো পড়ুন: ‘আমির...
    ‘এক্সকিউজ মি? হাউ মাচ দিস ওয়ান?’‘ফাইভ রিঙ্গিত অনলি।’খাওয়ার আগে জিজ্ঞেস করে নেওয়াই উত্তম, বিদেশ বলে কথা! বিপদে পড়লে অচেনা স্থানে কে এসে সমাধান দেবে? অনীকের বৈশিষ্ট্যও তা–ই। কেনার আগে পণ্যের মূল্য জিজ্ঞেস করে নেওয়া। তাতে শঙ্কা থাকে না। দাম জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। অনীকের কাছে আছে ৩০ রিঙ্গিত। সদ্য মালয়েশিয়াফেরত বান্ধবী ইয়াসমিন রীমা। যাত্রার দুই দিন আগে ওর কাছ থেকে সে রিঙ্গিত নিয়ে এসেছে। বিমানে ওঠার পথের পাশেই সুসজ্জিত হালকা খাবারের দোকান। দোকানের কিশোরকে সে অর্থ পরিশোধ করল। তারপর ওভেনে গরম করা ভেজিটেবল নুডলস ও পানীয়ের বোতলটা নিয়ে খাবার চেয়ারে বসল। টেবিলে রাখা সস খাবারে মিলিয়ে নিল অনীক। খুব খিদে পেয়েছে। ফ্লাইট অবতরণের পরপর ক্ষীণকায়া গৌরবর্ণের তরুণী ক্রু রুটি, সবজি, সেদ্ধ ডিম ও আপেল জুস যা দিয়েছে, তা পরিমাণে কমই...
    প্রায় এক দশক পর সাক্ষাৎটা স্মরণীয় করে তুলেছেন দেব–শুভশ্রী জুটি। খুনসুটি থেকে নাচ—কোনো কিছুই বাদ দেননি সাবেক প্রেমিক–প্রেমিকা।গতকাল কলকাতার নজরুল মঞ্চে ‘ধূমকেতু’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের আয়োজনে দেখা গেছে তাঁদের। আয়োজনের তোলা দেব–শুভশ্রী জুটির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।দেব–শুভশ্রী জুটিকে নিয়ে আলোচনার মধ্যে শুভশ্রীর স্বামী, চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে আনন্দবাজার ডটকম। সাক্ষাৎকারে দেব–শুভশ্রী জুটির প্রশংসা করেছেন তিনি।চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তী
    ডিজিটাল মেশিনে ওজন মেপেছেন? মাত্র দু টাকা।আমিও মেপেছি,  এ মাসের প্রথম দিন ছিল সাড়ে ৬৭ কেজি।৫ ফুট ৩ ইঞ্চি এই সিঁথির ওজন ৬৭ কেজি ৫০০ গ্রাম! ওজন একটু বেশি। আমার বয়স সাড়ে ২১ বছর। বয়স ও সাইজের অনুপাতে ওজন একটু বেশিই, আরও বেশি ছিল, শর্করা–জাতীয় খাবার মেনু থেকে ছাঁটাই করে ওজন কমিয়েছি পুরো সাড়ে ৯ কেজি। নো রাইস, নো হোয়াইট ব্রেড, নো পটেটো—এসব চলবে না। আলুও না? একদম না। পটেটো চিপস, আলুপুরি, কাচ্চি বিরিয়ানির সুস্বাদু আলু? তা–ও বাদ। আমাদের কলেজের সেই আলুবাজ রায়হান চিশতি স্যার! সে তো ভিন্ন আলু। কাপড়চোপড় ঢিলেঢালা হতে শুরু করেছে। খিদেয় মাথা ঘুরতে থাকে, তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমার হবে।ক্লাসমেটরা আমাকে ডাকত শুধু মটকু, সিনিয়র আপারা মটকু সিঁথি (একজন বলেছিল বোতল সিঁথি, একদিন আমি তাকে দেখে...
    শ্রাবণের বর্ষাস্নাত বিকেল। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে নৌকাগুলো দুলছে। নদীতীরে মানুষের ভিড়। এমন বিকেলে নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকার বটতলায় ব্যাটারিচালিত একটি রিকশায় অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখা গেল। দুজন যাত্রীকে নিয়ে এসে বটতলায় থামলেন রিকশাচালক। চালকের কোলে বসা একটি শিশু আর পাদানিতে জবুথবু হয়ে বসে আসে আরেকটি শিশু।কাছে গিয়ে জানা গেল, শিশু দুটির বাবা রিকশাচালক মো. সোহাগ মিয়া। ছেলে রমজানের বয়স সাড়ে ছয় বছর আর মেয়ে জান্নাতের বয়স চার বছর। ওদের মা নেই। তাই দুই সন্তানকে এভাবে কোলে ও পাদানিতে বসিয়ে প্রতিদিন রিকশা চালান সোহাগ মিয়া। থাকেন নগরের জিয়া সড়ক এলাকার একটি খুপরিতে। পরিবারে আর কেউ নেই, যাঁর কাছে শিশুসন্তানদের রেখে জীবিকার জন্য বাইরে বের হবেন। বাধ্য হয়ে ছোট্ট দুই শিশুকে নিয়ে এভাবে প্রতিদিন রাস্তায় নামেন তিনি।জীবিকার তাগিদে এক...
    ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও দেব। তাদের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন এই যুগল। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি এই জুটির। দুজনের পথ দুটো আলাদা হয়ে গেছে।  দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর একই মঞ্চে দেখা যায় শুভশ্রী-দেবকে। অতিথি হিসেবে শুভশ্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেব। এ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দেব যখন শুভশ্রীকে পুরস্কারটি তুলে দেন, তখন শুভশ্রী চোখ তুলে দেবের দিকে তাকায়নি।  প্রেম ভাঙার পর ‘ধূমকেতু’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন দেব-শুভশ্রী। ২০১৫ সালে সিনেমাটির শুটিং করেন তারা। তারপর কেটে গেছে এক দশক। কিন্তু মুক্তির আলো পায়নি সিনেমাটি। অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে ১৪ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। কিন্তু সিনেমাটির প্রচারে...
    দুনিয়া, এ এক বিচিত্র মোহের মায়াজাল। এখানে প্রতিনিয়ত মানুষ লিপ্ত থাকে খ্যাতি, সম্পদ আর ভোগবিলাসের পেছনে ছুটে চলার প্রতিযোগিতায়। আজকের উম্মাহর অধিকাংশ মানুষই দুনিয়ার মোহে বিভোর। কেউ ক্ষমতার চূড়ায় উঠতে চায়, কেউ সম্পদের পাহাড় গড়ার স্বপ্নে বিভোর, আবার কেউ খ্যাতির দুনিয়ায় নিজেকে উঁচুতে তুলে ধরতে চায়।রঙিন এই দুনিয়ায় যখন মানুষের অন্তর দুনিয়ার মোহে নিমজ্জিত, তখন যদি কোনো চিন্তাশীল হৃদয় নিজেকে প্রশ্ন করে, ‘এই দুনিয়ার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক?’আমরা দেখি, প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এ প্রশ্নের কী অপূর্ব উত্তর দিয়েছেন। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) একবার খেজুরপাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। মাদুরের দাগ তাঁর পবিত্র শরীরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, যদি আপনি অনুমতি দেন, তবে আমরা আপনার জন্য আরামদায়ক বিছানা তৈরি করে দিতাম, যাতে...
    গোসল সেরে বিছানায় শুয়েছেন মাত্র, তখনই ফোনটা বেজে উঠল। হাতে হ্যামলেট অর্ধেক খোলা: ‘ডেনমার্কের মাটিতে কিছু পচে যাচ্ছে...’ বইটা বন্ধ করে তিনি ফোনের রিসিভার তুললেন, ‘কোথায়? রেভল্যুশন স্কয়ার? ঠিক আছে।’ফোন কেটে গেল। তিনি রিসিভার রেখে দিলেন। ঠোঁটে একচিলতে হাসি। দুই মাস হলো তাকে চেনেন। মুখটা রোদে পোড়া। চোখ দুটি যেন কালো কাচের গোলক, ঝকঝকে। দক্ষিণের মানুষ। খোররম শহরে তাঁর ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, আর কিছুই নেই। না স্ত্রী, না সন্তান। তেহরানে এসে একটা পেয়কান গাড়ি কিনেছেন। তা–ই নিয়ে কাজ করেন। রাস্তার ধারে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে লোকটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।এ পরিচয় তাঁর জন্য ছিল একটা ঘটনা। বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পেরিয়ে গেছে। সুতরাং একটা সুখের ঘটনা...লোকটাকে এবার তিনি বাড়িতে আনতে চাইলেন। রাতের শিফট অন্য এক নার্সের হাতে তুলে দিলেন, যাতে রাতটা নিজের...
    তামিম ও মুনা। ওরা দুই ভাইবোন। একটু ছুটি পেলেই ঘুরে বেড়ায়। বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে বের হয়ে যায় গ্রামের আশপাশে। ওদের গ্রামের নাম বকুলপুর। বকুলপুরে একটি পুরোনো রেলস্টেশন আছে। সে অনেক আগে সেখানে ট্রেন আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর কেউ সেখানে যেতে সাহস করে না। বেশ রহস্যময় রেলস্টেশন! একদিন বিকেলে সেখানে ঘুরতে গেলো তামিম ও মুনা। ওরা দেখলো, ধুলো জমে থাকা একটি বেঞ্চ, তার ওপরে পড়ে আছে চকচকে টিকিট। মুনা টিকিটটা তুলে নিলো। তাতে লেখা, ‘ভূতের ট্রেন! আজ রাত বারোটায় ছাড়বে।’ মুনা চোখ বড় বড় করে বললো, ‘ভূতের ট্রেন!’ তামিম হেসে বললো, ‘আজ রাতে দেখবো, সত্যিই ভূতের ট্রেন বলে কিছু আছে কিনা।’ ওরা অপেক্ষা করতে লাগে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলো। অন্ধকারে ঢেকে গেছে পুরো স্টেশন। কোথাও কারও সাড়াশব্দ...
    আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের আন্টির হাজবেন্ড ছিলেন প্রবাসী। ভদ্রলোক ওমান থাকতেন। বছর দুই বছরে দেশে আসতেন। আসার সময় লাগেজে চকলেট ও বিভিন্ন ইলেকট্রকনিক্স পণ্য নিয়ে আসতেন। আমার চৌদ্দগুষ্টির কেউ কখনো বিদেশ করেন নাই। ফলে, সেই দম্পতির মহানুভবতায় আমি মাঝে মধ্যেই বিদেশি চকলেট, সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ইত্যাদি গিফট পেতাম। নব্বই দশকের কথা। একসময় তিনি বিশাল সাইজের একটা ডেকসেট নিয়ে দেশে ফিরলেন।  সেই আমলে ডেকসেট একটি বিরাট ব্যাপার বলে গণ্য করা হতো। মহল্লায় প্রবাসী কেউ থাকলে তাদের ওয়াইফের বেডরুমে এই জিনিস শোভা পেতো। আমি ভাবতাম, প্রবাসীদের স্ত্রীগণ খুব সংগীতপিপাসু হয়ে থাকেন।  কিছুদিন পর আবিষ্কার করলাম, ঘটনা ভিন্ন।  একবার আন্টির সেই প্রবাসী হাজবেন্ড বিদেশ থেকে নানান নিত্যব্যবহার্য পণ্যের লগে একটি ফিতাক্যাসেটে ভয়েস রেকর্ড করে কুরিয়ারে পাঠায়ে দেন। এখন তাঁর বাসায় আয়োজন করে সেই ক্যাসেট শোনা...
    আপনারা জানেন, চাকরিতে উন্নতি করার নিয়ম কী? রুল হলো দুটি। রুল নম্বর ১. দ্য বস ইজ অলওয়েজ রাইট। রুল নম্বর ২. ইফ দ্য বস ইজ রং, সি রুল নম্বর ওয়ান।আপনার বস সব সময়ই ঠিক। তিনি যা বলবেন, তা-ই ঠিক। এক অফিসে বস প্রতিদিন সকালবেলা কর্মীদের ডেকে কৌতুক শোনান। সবাই একযোগে হেসে ওঠে। যে বেশি জোরে হাসে, তার প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট, বোনাস ইত্যাদি বেশি হওয়ার চান্স থাকে।কৌতুকগুলো হয় ব্রিটিশ আমলের। যেমন একদিন বস বললেন, শোনেন, একটা কৌতুক বলি। রাজা বললেন, তোমরা যারা বউকে ভয় পাও, সবাই তোমাদের ডান দিকে যাও। সবাই গেল। শুধু একজন গেল বাঁ দিকে।রাজা বললেন, কী ব্যাপার। তুমি বউকে ভয় পাও না?হুজুর, আমার বউ বলেছেন, যেদিকে ভিড়, সেদিকে কোনো দিনও যাবে না। তা-ই ডান দিকে যাইনি। বাম দিকে গেছি।এই...
    আমি তখন অনেক ছোট খুব সম্ভবত ক্লাস ওয়ানে পড়ি। তখন কুরবানি দেওয়ার জন্য একটা কালো গরু কিনে আনা হয়েছিল। তাও ঈদের প্রায় ২০ থেকে ২৫দিন আগে। এই ২০ দিনের মধ্যে গরুটির সঙ্গে আমাদের আত্মীক একটি সম্পর্ গড়ে উঠেছিল। ক্লাস অয়ানে পড়ুয়া একজন স্টুডেণ্টের কাছে গরুটি প্রথমত ছিল বিষ্ময়। প্রথমে দূর থেকে দেখতাম। তারপর একটু এটু কাছে যাওয়া শুরু করলাম। সাধারণ আমরা দেখি গরু একটু অ্যাগ্রেসিভ হয়, অচেনা মানুষ দেখলে তেড়ে আসে। কিন্তু ওই গরুটি ছিল একেবারেই আলাদা। শান্তু প্রকৃতির। আমি আর আমার ছোট বোন দিনের বেশির ভাগ গরুটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। একদিন দুই ভাইবোন মিলে গরুটাকে কাঁঠালপাতা খাওয়াতে গেলাম, গরুটা খেলো। আমরাতো ভীষণ খুশি। একজন আরেকজনকে বললাম, আরেক একি ব্যাপার গরুতো পাতা খাচ্ছে। দুই ভাইবোন পাতা এনে গরুকে দিতাম। গরু...
    ঢাকার কলাবাগান এলাকায় ‘স্নেহছায়া’ নামের একটা ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় একদম সিঁড়ির নিচে একটা জীর্ণ নড়বড়ে চৌকিতে ময়লা মশারি ফেলে ঘুমায় দেলোয়ার। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা দেলোয়ার এই বাড়ির একের ভেতর চার—কেয়ারটেকার, পিয়ন, দারোয়ান ও ইনফরমার। এমনিতেই সে চঞ্চল আমুদে স্বভাবের কুড়ি–একুশ বছরের শ্যামলবরন একজন তরুণ, চিকনচাকন ছোটখাটো গড়ন তার, মাথায় কোঁকড়া চুল, মুখের সামনের পাটির দাঁতগুলো সামান্য উঁচু। দাঁতের কারণে তাকে সর্বদাই দেখায় সদা সুখী ও হাস্যমুখী।মাসদুয়েক আগে ‘স্নেহছায়া’ বাড়ির ছয়তলায় তিন রুমের বাসা ভাড়া নেওয়ার সময়ই দেলোয়ারের সঙ্গে আমাদের প্রথম পরিচয়। অগ্রিম দিয়ে বাসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করার পর সে চিরাচরিত হাস্যমুখে বলল, ‘রাত ১১টায় কিন্তু কেঁচিগেটের তালা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িওয়ালা খালাম্মা চাবি নিয়া দোতলায় রাইখা দেয়। চিল্লায়া কানলেও তখন কেউ দরজা খুলে দিবে না। ওনার কড়া...
    সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। দূর এক গ্রামে বাস করতো রাতকানা এক ছেলে। নাম ভোম্বল। সে কুচকুচে কালো। এতটাই কালো যে, তার ঠোঁটের ওপরে গোঁফ গজিয়েছে কিনা তাও বোঝা যেতো না। এক ঈদে মামার বাড়ি যেতে খুব ইচ্ছা হলো ভোম্বলের। সেই সঙ্গে গরুর হাঁট দেখারও। সে মাকে বললো তার ইচ্ছের কথা। মা বললেন, ঠিক আছে, সামনের ঈদে তুমি তোমার মামার বাড়ি যাবে। গরুর হাঁটেও যাবে কিন্তু একটা শর্ত আছে। ভোম্বল বললো, কী শর্ত?  মা বললেন, শর্তটি হলো তুমি মামার বাড়ি গিয়ে সবসময় বুদ্ধি খাটিয়ে চলবে–যেনো কেউ বুঝতে না পারে যে তুমি রাতকানা।  ভোম্বল বললো, ঠিক আছে মা। আমি কাউকে বুঝতে দেবো না।  পরদিন সকালে ভোম্বল রওনা হলো তার মামার বাড়ি এখলাসপুরের উদ্দেশ্যে। ভোম্বল যখন মামার বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়েছে,...
    ঈদের ছুটির আগেই শুরু ঈদের পরিকল্পনা। অথচ সবার পরিকল্পনায় কেবল সেলফি। ভাবলাম, আসলেই তো, এখন কেবল ঈদ নয়; সব সময়ই সবাই সেলফি নিয়ে মেতে থাকে। আমার সেলফি ভালো লাগে না। তবু এই সেলফি নিয়ে ঘটলো এক কাণ্ড। সেই ঘটনা বলছি– গ্রামে দাদুবাড়িতে আমাদের গরু কেনা হয়েছে। আমরাও এলাম গ্রামের বাড়িতে। অনেক মজা করছি চাচাতো-ফুফাতো ভাইবোনরা। একদিন আমি চাচ্চুর সঙ্গে আমাদের গরুর পরিচর্যা করছিলাম। এমন সময় আমার এক চাচাতো বোন এসে হাজির। ও খুশিতে গদগদ হয়ে বললো, ‘চলো, একটা সেলফি তুলি।’ আমি মনে মনে ভাবলাম, তা মন্দ হয় না। কিন্তু ও আমায় অবাক করে দিয়ে ফের বললো, ‘এবারের কোরবানিতে আমাদের গরুটার সঙ্গে একটা সেলফিও তোলা হয়নি। সবাই গরুর ছবি তুলে পোস্ট করছে। আমি করবো না, তা কি হয়?’ আমার আত্মসম্মানে বাধলো!...
    মাথায় চিন্তার ঝাঁপি আর বুকপকেট ফাঁকা থাকলে শরীর প্রায়ই ভারসাম্যহীন ঠেকে। বিশেষ করে তাদের, যারা সংসার চালান। সময়টা মাসের প্রথম দিক বলে হাকিম সাহেবের পকেটে টাকা আছে। তবুও তিনি যেন ভারসাম্যহীন। কারণটা হচ্ছে তার পকেটের টাকার ওজন নেই। সবজির দোকানে তিনি দৃশ্যত একটি অস্বাভাবিক ঘটনার অবতারণা করলেন। সবজি বিক্রেতা বুঝতে পারছে না, তার ক্রেতা সত্যি সত্যি তার সঙ্গে মজা করছেন কি-না। কিন্তু হাকিম সাহেবের চাহনি তা বলছে না। একছড়ি কাঁচকলা বিক্রি করার পর মুথাটা এখনও ফেলা হয়নি। বিক্রেতা দোকানের অন্যসব সবুজ সবজির মাঝখানে সেটা রেখে দিয়েছে। কাঁচকলার মুথাটাও সবুজ। সে কারণেই কি হাকিম সাহেবের চোখ ভুল করেছে? সবজি বিক্রেতা বলল, ‘ভাই, এইটডা তো সবজি না, কাঁচকলার মুথা।’  জবাবে হাকিম সাহেব বললেন, ‘এখন কলার মুথাও খাইতে অইব।’ ছুটির দিনেও হাকিম সাহেবের...
    আজ আন্দোলন এদিকে, কাল ওদিকে— ঢাকা যেন এখন নিয়মিত প্রতিবাদের শহর। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট, আর সেই জটের গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবন। এই অস্থির নগরবাস্তবতা নিয়ে মুখ খুললেন মডেল-অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সক্রিয় পিয়া। নানা সামাজিক ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। বুধবার (২১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “ঢাকায় সবসময়ই ভয়ংকর ট্রাফিক থাকে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকবার ভাবতে হয়, কারণ রাস্তায় এত জ্যাম যে সময়ের হিসাব রাখা যায় না। এখন তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ! নানা আন্দোলনের কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ।” তবে পিয়ার এই পোস্টের একটি বাক্য সবচেয়ে বেশি চোখে লেগেছে নেটিজেনদের। এ অভিনেত্রী লেখেন— “আমার...
    সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে বলে জানান ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোবেলের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ্য আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তার সাবেক স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি এবং আমি কারও বিরুদ্ধেই কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।’ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন।...
    সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে বলে জানান ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোবেলের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ্য আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তার সাবেক স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি এবং আমি কারও বিরুদ্ধেই কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।’ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন।...
    নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচরিত থেকে জানা যায়, তিনি আল্লাহর বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজা ও নেতার কাছে বার্তা প্রেরণ করেছিলেন। তিনি তাঁদের ইসলামের পথে আহ্বান জানানোর জন্য নিখুঁত কৌশলে চিঠি পাঠাতেন। তৎকালীন বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে রোম সম্রাট কায়সারের নিকট পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তাঁকে সম্বোধন করেন: ‘বাইজেন্টাইনদের মহান নেতা’ হিসেবে। এই সম্মানসূচক উপাধির মাধ্যমে তিনি একদিকে সম্রাটকে সম্মান দেখান, আবার অন্যদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতি কৌশল ব্যবহার করেন। চিঠির মধ্যে তিনি কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি উদ্ধৃত করেন: ‘হে কিতাবধারীরা, এসো, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একটি অভিন্ন কথায় পৌঁছাই—তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে উপাসনা করব না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪) এই বার্তায় রাসুল (সা.) একসঙ্গে কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করেন: ১. তিনি সম্মান দেখান। ২. গ্রহণযোগ্য ও পরিচিত একটি বক্তব্য পেশ করেন,...
    আজ রোদের ঝাঁজ নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম। তবু সাফওয়ান সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ায় একটা রঙিন ছাতা মাথায় দিয়ে। রোদ হোক, মেঘ হোক ছাতা হাতে থাকেই। আজ মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই আকাশে; তবুও ছাতা। তার ব্যাগে বইপত্র, কাঁধে ঝোলানো পানির বোতল আর হাতে সেই বিশাল রঙিন ছাতা। সবাই ঠাট্টা করে, পেছন পেছন আওয়াজ করে– ‘ছাতা মিয়া আসছে! ছাতা মিয়া!’ সাফওয়ানের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে নীরবে হাঁটে নিজের মতো। যেন এই পৃথিবীতে তার কোনো তাড়া নেই, কোনো লজ্জা নেই, কোনো ব্যথা নেই।’ আজ ক্লাস শেষে ক্যান্টিনে বসে সাফওয়ান ছাতা খুলে সামনে রেখে ভেজা স্যান্ডউইচ কামড় দিচ্ছিল, তখনই এলো মিরাজ। মিরাজের হাতে দুই কাপ চা। একটা বাড়িয়ে দিল সাফওয়ানের দিকে। বলল– ভাইরে, সত্যি করে বল, ছাতাটা কিসের জন্য? সাফওয়ান মুখ তুলে তাকাল, চোখেমুখে...
    মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুনানি শেষে কারাগারে ফেরত যাওয়ার সময় প্রধান অভিযুক্ত নিহত শিশুর বোনের শ্বশুর বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা তদন্ত করেন। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমার বিটার বউরে (ছেলের স্ত্রী) ধরেন। এই কাজ ওই করছে। আমরা অপরাধী না। কোনো দিন শুনছেন বাপ–বিটা (বাবা–ছেলে) এক সাথে ধর্ষণ করে? আমরা সবাই ওই সময় কাজে-কর্মে বাইরে ছিলাম। খবর পাইছি, খবর পায়ে বাড়িতে আইছি।’  পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই আসামি বারবার বলতে থাকেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা তদন্ত করেন। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। এ সময় ওই ব্যক্তির এক ছেলে (তিনিও মামলার আসামি) বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ঘটনা ঘটছে। আমরা কাজে ছিলাম। আপনারা ওর বোনকে (শিশুটির বোন) ধরেন,...
    সাধারণভাবে দরুদ পাঠ করা পুণ্যের কাজ। তবে ৪টি স্থানে দরুদ পাঠ করা ইসলামে বিধিবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।১. নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের পরে। ফুজালা ইবনে ওবাইদ (রা.) হাদিস বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) শুনলেন, এক ব্যক্তি নামাজে এমনভাবে দোয়া করছে, যাতে আল্লাহর প্রশংসাও করে নি এবং নবীজির(সা.) প্রতি দুরুদও না। তিনি বললেন, ‘সে তাড়াহুড়া করেছে।’ তিনি তাকে ডাকলেন। এরপর তাঁকে বা অন্যদের বললেন, ‘আমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা এবং স্তুতি বাক্য দিয়ে শুরু করে, তারপর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে। এবং শেষে তার খুশিমতো প্রার্থনা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৮১)২. মসজিদে প্রবেশের সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন নবীজির (সা.) প্রতি সালাম পাঠায় আর বলে, ‘আল্লাহুম্মা-ফ্‌তাহ্‌লী আবওয়াবা রহমাতিক’...
    আর্থিক অনটনের কারণে এসএসসি পাসের পর ছেলেকে আর পড়াতে চাইলেন না বাবা আবুল কাশেম তালুকদার। মালয়েশিয়ায় পাঠাতে জমি বিক্রি করে দালালকে টাকাও দিলেন। কিন্তু ছেলে পড়াশোনা করতে চায়। ছেলে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকবে ভেবে মায়ের মনও সায় দিচ্ছিল না। সে জন্য এক রাতে মা আসমা আক্তার ছেলেকে বললেন, ‘তুই চুপি চুপি মামার বাড়ি চলে যা।’মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মামার বাড়িতে থেকে কলেজে পড়াশোনা শুরু হলো ছেলেটির। তবে মামার নির্দেশ ছিল, সকালে-বিকেলে তাঁর মুরগির ব্যবসায়ে বসতে হবে। সেভাবেই চলছিল। কিছুদিন পর সহপাঠীরা তাঁকে মুরগির ব্যাপারী বলে খ্যাপাতে লাগল। তখন উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনায় ইস্তফা দিয়ে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হলেন। অন্যের বাসায় জায়গির থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গেলেন।কুমিল্লার দাউদকান্দির এই ছেলে এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। তাঁর নাম মো. নাজমুল ইসলাম। করোনার পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে তৈরি...
    ১৯৯২ সালের ঘটনা। তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের আগে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট’ যুক্ত হয়নি। তিনি ছিলেন কেবলই একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের মালিক। সে সময় ‘হোম অ্যালোন টু: লস্ট ইন নিউইয়র্ক’–এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।তিন দশকেরও বেশি পুরোনো দৃশ্যটি আবারও আলোচনায় এসেছে। অনেকে সিরিজটি থেকে সাত সেকেন্ডের দৃশ্যটি ফেলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন নির্মাতা ক্রিস কলম্বাস। সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনিও চান, দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হোক।এর পরিণতি নিয়েও ওয়াকিবহাল ক্রিস কলম্বাস। মজার ছলে বলেন, ‘আমি দৃশ্যটি কর্তন করতে পারব না। যদি কর্তন করি তাহলে সম্ভবত দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। হয়তো আমাকে ইতালি কিংবা অন্য কোথাও যেতে হবে।’কী আছে সেই দৃশ্যেনিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের সামনে ছবির একটা বড় অংশের শুটিং...
    মহানবী মুহাম্মদ (সা.) মায়ের অনন্য মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘মায়েদের পদতলে জান্নাত।’ আরও বলেছেন, ‘আল্লাহ মায়ের অবাধ্য হওয়াকে তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন।’ ((নাসায়ি, হাদিস: ৩,১০৪; মুসলিম, হাদিস: ৪,৫৮০)তিনজন শিশু দোলনা থেকে কথা বলেছেন। প্রথমজন ঈসা (আ.)। দ্বিতীয়জন জুরাইজ নামে বনি ইসরাইলের এক ইবাদতকারী। তৃতীয়জন বনি ইসরাইলের এক শিশু। আবু হুরাইরা (রা.) একবার নবীজির(সা.) কাছে মায়ের অবাধ্যতা নিয়ে জুরাইজের একটি ঘটনা শুনেছেন।একদিন জুরাইজ ইবাদত করছিলেন। এমন অবস্থায় তার মা এসে তাকে ডাক দিলেন। জুরাইজ ভাবলেন, ‘আমি কি তার ডাকে সাড়া দেব, নাকি ইবাদত করতে থাকব।’ মা বললেন, ‘আল্লাহ, ব্যভিচারিণীর মুখ না দেখিয়ে তুমি তার মৃত্যু দিয়ো না।’আরও পড়ুনরাগ নিয়ন্ত্রণ করতে যা করা যায়১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫জুরাইজ থাকতেন তার ইবাদতখানায়। একবার তার কাছে এক নারী এলো। তার সঙ্গে কথা বলল। কিন্তু জুরাইজ তার...
    অধ্যাপক-বধূর নিয়তি মূল: দ্য ফেইট অব দ্য প্রফেসর’স ওয়াইফ রচনাকাল: আগস্ট ২১, ১৯৩৬ একবার এক অধ্যাপক এমন কিছু একটা খেয়ে ফেলেছিলেন; যা ঠিক খাওয়ার উপযোগী ছিল না। খাওয়ার পর তিনি বমি করতে শুরু করলেন। তাঁর বউ এসে জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে?” অধ্যাপক বললেন, “কিছু না।” শুনে বউ চলে গেল।  এর পর অধ্যাপক সোফায় শুয়ে পড়লেন, কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলেন আর তার পর কাজে চলে গেলেন। কাজের জায়গায় তার জন্য একটা চমক অপেক্ষা করছিল: তারা তার বেতন কমিয়ে দিয়েছে। ৬৫০ রুবলের বদলে তিনি পাবেন ৫০০ রুবল। অধ্যাপক প্রতিবাদ করলেন, কিন্তু কোনো লাভ হলো না। তিনি পরিচালকের কাছে গেলেন। পরিচালক তাকে ঘাড় ধরে বের করে দিল। তিনি হিসাবরক্ষকের কাছে গেলেন। হিসাবরক্ষক বলল, “পরিচালকের কাছে যান।” অধ্যাপক ট্রেনে চেপে মস্কো চলে গেলেন। পথে...
    ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো তুমুলভাবে দর্শক টানছে। ফলে দর্শকদের চাপ সামলাতে শো বাড়িয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি শোবিজে অঙ্গনের অনেক তারকাই ছুটছেন ঈদের আলোচিত সিনেমা দেখতে। দর্শকদের ভিড়ে জমে উঠেছে হল, মিলছে না কাঙ্খিত টিকিট। টিকিট না পাওয়ার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ইমরানও। বুধবার (২ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে একথা জানিয়েছে ইমরান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কাতার থেকে একটু আগে দেশে আসলাম। এসেই আমার ড্রাইভারকে এসকেএস টাওয়ারে পাঠালাম ‘বরবাদ’ সিনেমার টিকিট কাটার জন্য । শো হাউজফুল । শুধু তাই না আগামীকালের জন্য বললাম, সেখানেও টিকেট নাই। তিনি আরো লেখেন, “তারপর জংলি সিনেমা দেখবো বলে বললাম ‘জংলি’র টিকিট আছে কিনা , ড্রাইভার বললো ‘জংলি’ সিনেমার টিকিট আজকে নাই, কালকেও নাই । আগামী পরশু টিকিট পাওয়া যাবে। তারপর খোঁজ নিতে...
    সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক বনে একটি মাত্র মোরগ বাস করতো। জন্মানোর পরই হারিয়ে গিয়ে সেই বনে আটকা পড়ে। মোরগটি হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গল থেকে বের হলো। তার সামনেই বিশাল একটি পুকুর। পুকুরের পাশে হাঁসের ছোট্ট একটি ঘর দেখতে পায় সে। তা দেখে বাচ্চা মোরগটি ঘরটির ভেতরে ঢুকলো। ঢুকে অবাক হয়ে গেলো সে। সেখানে দুটি বড় হাঁস ও তাদের ১২টি ছানা ছিলো। দুটি বড় হাঁসের মধ্যে একটি হাঁস তার নাম জানতে চাইলো। মোরগটি কোনো উত্তর দিলো না। ১২টি হাঁসের বাচ্চার মধ্যে একটি হাঁস সেই বাচ্চা মোরগের কাছে গেলো। ও মোরগটিকে বললো, আমি সামিন। তুমি কি আমার বন্ধু হবে? মোরগটি উত্তরে বলল, হ্যাঁ, আমি নিশ্চয় তোমার বন্ধু হবো। মোরগটা হাঁস ও তাদের বাচ্চাদের সামনে বেশ কয়েকদিন থাকলো। তারপর সে সিদ্ধান্ত...
    ওয়াইচিংনু মারমা জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। চারপাশে শুধু গাড়ির হর্ন, ধোঁয়া, ভিড়, কোলাহল। ঢাকার আকাশটাও যেন ধূসর। একটুও নীল নয়। সবকিছুই কেমন যেন বেমানান লাগছে তার কাছে। বান্দরবানের পাহাড়ি বাতাসে মিশে থাকা বাঁশির সুর, ঝরনার শব্দ, পাখির ডাক, এসবের কিছুই এখানে নেই। ছোট্ট কাঠের ঘরের উঠোনের পাশে ছিল লাল-নীল ফুলের গাছ। আর ঢাকার এই বাসার বারান্দায় শুধু কয়েকটা শুকনো টব পড়ে আছে। ‘তোর চেহারাটা এমন গম্ভীর কেন?’ মা মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। ওয়াইচিংনু কোনো উত্তর দিল না। পাহাড়ের উঁচু ঢালে বসে বাবা-মায়ের সঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা, ছড়ার পানিতে পা ভিজিয়ে বসে থাকা, এসব কথা মনে পড়ছে। বান্দরবানে সবাই তার নাম জানত। সবাই তাকে চিনত। কিন্তু এখানে? কাল তার স্কুলে প্রথম দিন। মাও দুশ্চিন্তায় আছে, সে টের পাচ্ছে। কিন্তু মা...
    পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরের এক গ্রহ। সেখানে এলিয়েনের বসবাস। সেখানকার তিন প্রিয় বন্ধু– চিলি, মিলি ও লিলি। তারা একদিন ঘুরতে পৃথিবীতে এলো। তাদের দেখে সবাই ভয়ে পালালো। শুধু একটি ছোট্ট মেয়ে ভয় না পেয়ে তাদের কাছে এসে বললো, ‘আমি মিনু, আর তোমরা?’ মিলি বললো, ‘আমি মিলি এবং এরা আমার বন্ধু চিলি ও লিলি। আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি।’ মিনু বললো, ‘আমি তোমাদের ঘুরে দেখাচ্ছি। এসো, তা বলে মিনু তাদের নিজের বাড়ি নিয়ে ভালোমন্দ খাইয়ে বেড়াতে নিয়ে গেলো। মিলি বললো, ‘আমরা খুব সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারি।’ মিনু বললো, ‘শোনাও তাহলে।’ তারা অনেক সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজালো। মিনু বললো, ‘তোমরা তো অনেক সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারো।’ লিলি বললো, ‘আমাদের গ্রহে সবাই একটা না একটা কাজ করলেও আমরা কোনো কাজ করতে পারি না।’ চিলি...
    তালুত ছিলেন বনী ইসরাইল গোষ্ঠীর বাদশাহ। পবিত্র কোরআনে তাঁর কথা উল্লেখ আছে।বনী ইসরাইলীরা হজরত মুসা (আ.)–এর কাছে আল্লাহর কাছে এমন দোয়া করার আবেদন জানান, যাতে আল্লাহ তাঁদের জন্য একজন বাদশাহ পাঠান। উত্তরে তিনি বলেন, ‘তোমরা তো তাঁর অনুগত হবে না।’ এরপরও তাদের পীড়াপীড়িতে মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। আল্লাহ বনী ইসরাইলিদের জন্য তালুত নামে একজনকে পাঠান।পবিত্র কোরআনে তালুতের দৈহিক শক্তি এবং জ্ঞানের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে নবীর ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যায়। তারা ঠিকই তাঁর অনুগত হতে অস্বীকৃতি জানায়। হজরত মুসা (আ.) তখন তাঁদের বলেন, তালুতের বাদশাহি লাভের প্রমাণ এই যে শত্রুর হস্তগত ‘তাবুতে সকিনা’ অর্থাৎ পবিত্র বস্তুসামগ্রী অচিরেই তালুতের কাছে চলে আসবে। এই ঘটনার প্রমাণ লাভের পর বনী ইসরাইলীরা তালুতের আনুগত্য স্বীকার করে।আরও পড়ুনফজিলতের আয়াত, আয়াতুল কুরসি২৭ আগস্ট ২০২৩পরে তালুতের নেতৃত্বে...
    রাসুল (সা.) হুনাইন যুদ্ধ থেকে ফিরছিলেন। দেখলেন এক কিশোর বিলালের (রা.) আজান ব্যঙ্গ করছে। কিশোরটির নাম আবু মাহজুরা। নামাজ শেষে নবীজি (সা.) কিশোরদলকে ডাকলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কে আজান দিয়েছ? আবার আজান দাও। সবাই ভয়ে তটস্থ। ওরা একে একে আজান দিল। ভয়ে ভয়ে আবু মাহজুরাও আজান দিলেন। রাসুল (সা.) তাকে সুন্দরভাবে আজান দেওয়া শেখালেন। ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ।’আরও পড়ুনআজান ও ইকামতে যা বলা হয়১৫ ডিসেম্বর ২০২৪(অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল; আমি সাক্ষ্য...
    পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তাদের তুলনা সেই শয়তান, যে মানুষকে বলে—অবিশ্বাস করো। তারপর যখন সে অবিশ্বাস করে, তখন শয়তান বলে—তোমার সঙ্গে তো আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তো বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’ (সুরা হাশর, আয়াত: ১৬)এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হজরত জারির আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, বনী ইসরাইলের এক নারী বকরি চরাত। তার ছিল চার ভাই। রাতের বেলা সে ধর্মযাজকের উপাসনালয়ে এসে আশ্রয় নিত। একদিন এক যাজক এসে তার সঙ্গে সংসর্গ করে। এতে সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শয়তান এসে প্ররোচনা দিয়ে বলে, ‘ওই নারীকে খুন করে মাটিচাপা দাও। লোকে তো তোমাকে বিশ্বাস করে। তারা তোমার কথা শুনবে।’ শয়তানের প্ররোচনায় সে নারীকে খুন করে এবং মাটিচাপা দিল। এবার শয়তান স্বপ্নে নারীর ভাইদের কাছে উপস্থিত হয়। তাদেরকে বলে, উপাসনালয়ের যাজক তোমাদের বোনের...
    অনেক লম্বা পথ। সে হেঁটে চলেছে। তার প্রতি পদক্ষেপের পেছনে ছোট ছোট ধূলিকণা বুনো আক্রোশের মতো ঘুরতে ঘুরতে উড়ে আবার মাটিতে পড়ে যাচ্ছে।  সে তালে তালে দ্রুত পা ফেলতে লাগল। তার বাম হাত খোলা; জীর্ণ-শীর্ণ সাদা কোটের পাশে দুলছে। ডান হাত কনুই থেকে বাঁকিয়ে একটু ঝুঁকে থাকা পিঠের ওপর ছোট যে থলে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, সেটা ধরে আছে। সুতার কাপড়ের থলেটায় আঁকা লাল গোলাপ ফুলের ছবি এখন বিবর্ণ। থলেটা তার পায়ের তালে তালে এপাশ থেকে ওপাশে দুলছে। থলেটি তার বন্দিশিবিরে কাটানো কষ্ট আর পরিশ্রমের দিনগুলির প্রতিমূর্তি। মাঝে মাঝে সে পাটে বসা সূর্যের দিকে তাকাচ্ছে। আবার ফাঁকে ফাঁকে সে গাছের বেড়া দেওয়া জমির দিকে দেখছে, সেখানে মৃতপ্রায় ফসলের, ভুট্টা, শিম আর মটরশুঁটির ক্ষেত। সবকিছু তার কাছে কেমন যেন বিপন্ন...
    ২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দুই বছর পর তামিল সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৩ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অনেক সংগ্রামের পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়িকা। ২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমা মুক্তি পায়। অভিষেক চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা তার সহশিল্পী হিসেবে পান থালাপাতি বিজয়কে। এরপর পর্দায় আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো বিজয়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া। বিজয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মধু চোপড়া বলেন, “আসলে, এই প্রকল্পকে ‘না’ করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তারা কোনোভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়; তারপর তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘গ্রীষ্মের দুই মাসের ছুটিতে তাকে (প্রিয়াঙ্কা)...
    তখন আমি জার্মানির একটা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডেটা সায়েন্সে ব্যাচেলর করছি। বার্লিনের পথঘাট কিছুই চিনি না। শুধু ভার্সিটিতে যাই আর আসি। তার ওপরে এখানে ইংরেজির কোনো ব্যবহারই নেই বললেই চলে। ভার্সিটির নোটিশ বোর্ড থেকে রেস্তোরাঁর খাবার মেনু—সবই জার্মান ভাষায়। ক্লাস লেকচারটা ইংরেজিতে হয় বলে রক্ষে।ভোরে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যাই। তারপর লাইব্রেরিতে পড়াশোনা। এরপর রাতে সুপারমার্কেটে কাজ। জীবনটা যেন শুধু দায়িত্ব আর সংগ্রামের নাম। প্রতিদিন এই একঘেয়ে রুটিন।এই সুপারমার্কেটেই লিয়ার সঙ্গে পরিচয়। আমার মতো পার্টটাইম কাজ করে। প্রাণবন্ত একটা মেয়ে। ইংরেজিটাও ভালোই রপ্ত করেছে। প্রথম প্রথম টুকটাক হাই, হ্যালো হতো। একদিন শেলফ গোছানোর সময় হুট করে পিছলে পড়ে যাই, আর লিয়া দ্রুত হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরে ফেলে। ইংরেজিতে পুরো বাক্য বলে, ‘লাগে নি তো? তুমি ঠিক আছ?’বাংলা সিনেমায় হলে অবশ্য মেয়েটারই...
    অর্ণব আমার সহপাঠী। একদিন হঠাৎ তার একটা বায়নায় আমি অবাক। একটা প্রেম নিবেদনের চিঠি লিখে দিতে হবে। সেটা দেখে নিজ হাতে লিখে বর্ণাকে দেবে। বর্ণাও আমাদের বন্ধু। অর্ণবের বিশ্বাস তাতেই ওদের ভালোবাসা হয়ে যাবে।আমরা তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। ১৯৮৮ সালের সেই সময় হাতের লেখা চিঠিই ছিল মনের কথা বলার অন্যতম মাধ্যম।অর্ণবের অনুরোধে সেদিন বাড়ি ফিরে একটা চিঠি লিখে ফেললাম। সম্বোধনে নির্দিষ্ট কারও নাম লিখলাম না, বদলে লিখলাম ‘প্রিয়তমা’। চিঠিখানা ভাঁজ করে বাংলা বইয়ের মধ্যে রাখলাম।পরদিন বাংলা ক্লাসে সবাইকে বই খুলে পড়তে বললেন স্যার। আমি পড়ায় মন দিতে পারছি না। এমন সময় স্যার বইসহ আমাকে টেবিলে ডাকলেন। ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গেলাম। কোনোরকমে বইটা নিয়ে স্যারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। স্যার বইটা নিতেই ভেতর থেকে ভাঁজ করা চিঠিটা টুপ করে নিচে পড়ল। ভাঁজ...
    রোজ সকালে, সূর্য ওঠার আগে যখন পৃথিবীর চোখে ঘুমের আবেশ জড়িয়ে থাকত, আর আকাশের পূর্ব দিগন্তে সঙ্গীবিহীন শুক্র তারাটা মিটমিট করে জ্বলত একা একা, তখন ভোরের ঝিরঝির বাতাসে ভেসে আসা তার সুমধুর কণ্ঠস্বরে ঘুম ভেঙে যেত আমার।রোজ শুনতাম।রোজ জানালা গলিয়ে তার মিষ্টি গলার উদাত্ত আহ্বান কানে এসে বাজত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি শুনতাম:‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবারআশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,.............................’রোজ শুনতাম।তার কণ্ঠস্বরের আশ্চর্য মধুরতা আর অকৃত্রিম আবেগ আমার হৃদয়কে স্পর্শ করত। নাড়া দিত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি দেখতাম তাকে। চুনকালি ওঠা আধভাঙা মিম্বরটার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে লোকটা, অসংখ্য তালি দেওয়া লম্বা একটা জোব্বা গায়ে তার। পরনে একখানা ছেঁড়া লুঙ্গি। মাথায় সাদা কাপড়ের গোল একটা টুপি। খালি পায়ে মিম্বরটার ওপর দাঁড়িয়ে ঘুমন্ত শহরের বাসিন্দাদের নামাজের জন্য ডাকছে সে।শীত কি বর্ষা কখনো এর...
    কোরআনে মা-বাবার জন্য সন্তানকে আল্লাহ একটা দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। দোয়াটি হলো ‘রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ কেউ কেউ মনে করেন, রহমতের এ দোয়াটি মৃত মা-বাবার জন্য। দোয়াটির অর্থ হচ্ছে, ‘আমার প্রতিপালক! বাবা-মায়ের ওপর দয়া করো, যেভাবে ছেলেবেলায় বাবা-মা আমাকে লালন-পালন করেছিলেন।’মা-বাবার জীবিত থাকা অবস্থায়ও এই দোয়াটি পড়া যায়। মূলত ইসলাম মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন। তোমার জীবদ্দশায় ওঁদের একজন বা দুজনই বার্ধক্যে পৌঁছালেও তাঁদের ব্যাপারে “উহ-আহ্” বোলো না, আর ওঁদের অবজ্ঞা কোরো না, ওঁদের সঙ্গে সম্মান করে নম্রভাবে কথা বলবে। তুমি অনুকম্পার সঙ্গে, বিনয়ের ডানা নামাবে, আর বলবে, হে আমার প্রতিপালক! ওঁদের ওপর দয়া করো, যেভাবে ছেলেবেলায় ওঁরা আমাকে লালন-পালন করেছিলেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত:...
    দু’হাত ছড়িয়ে পড়ে আছেন মানুষটি, চিৎ হয়ে। পল্টনের রাস্তায় ডান পা’টা ঈষৎ বাঁকা তাঁর, ভাঁজ হয়ে আছে; বামটা অপেক্ষাকৃত উঁচু, হাঁটু জেগে আছে আকাশে। কেবল চশমাটি আগের মতোই, সেঁটে আছে চোখে, সামান্যতম নেমে আসেনি নাকে। চোখ দুটো বোজা তাঁর, পুরোপুরি। তবু মনে হচ্ছে– কিছু একটা দেখছেন তিনি, গভীর মনোযোগে, প্রগাঢ় ভাবনায়, এবং হঠাৎ মনে হলো– কিছুক্ষণের জন্য চোখ দুটো খুলে ফেললেন তিনি, পিটপিট করলেন, ভালো করে দেখে নিলেন সামনের ওই জিনিসটা। অথচ এক ঘণ্টা সাত মিনিট আগে মারা গেছেন মানুষটি, একজন মানুষের ভালোবাসার মূল্য দিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন নীরবে!  গল্প শুরু প্যান্টের ডান পকেটে ডান হাত ঢোকালেন আবার মকবুল– না, জিনিসটা এখনও আছে, ছোট্ট একটা প্যাকেটে। কিছুটা নির্ভার হলেন তিনি, চোখ দুটোতেও সন্তুষ্টি, তৃপ্তির একটা আভা খেলে গেল দ্রুত।...
    ৪৮/জি বাড়িটা কোনদিকে, বলতে পারবেন? কাছেই। কার কাছে যাইবেন? ইরেশ বিরক্ত হয়। চার্জের অভাবে মোবাইলটা বন্ধ, কাউকে ফোন করাও যাচ্ছে না। অরিনের আগের বাসা এই দিকেই কোথাও, কিন্তু সে কখনোই গলির ভিতরের অ্যাপার্টমেন্টগুলো ঠিকমতো খেয়াল করেনি। ওকে সব সময় মূল সড়কে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত। রাস্তা, গলি, বাড়িঘর– এইসব বিষয়ে ইরেশের কোনো আগ্রহ নেই। চৈতি হাসানের বাসায় যাব। ওই যে, সরকারি কলেজে ইংরেজি পড়ান– যিনি। ডাইনে গিয়া সোজা দুই মিনিট হাঁটবেন। তারপর বামে একটা হলুদ বাতির তিনতলা বাড়ি দেখবেন। সেইটাই। থ্যাঙ্ক ইউ ভাই। কিছু কিনবেন নাকি যাইবার আগে? দোকানদার একগাল হেসে বলে। ইরেশ কাঁধ ঝাঁকিয়ে ব্যাকপ্যাক ঠিক করে গলির ভেতরে ঢুকে যায়। মানুষ যা করতে চায় না, তা যে সে কতবার করে, তার হিসাব নেই। ইরেশ আসতে চায়নি। কিন্তু অরিনের...
    হজরত আবু যার (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘তিনি বলেছেন, আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার ঘরের ছাদ খুলে দেওয়া হলো। তারপর জিবরাইল (আ.) এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা জমজমের পানি দিয়ে ধুলেন। এরপর হিকমত ও ইমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে এসে আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন। ‘পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিবরাইল (আ.) আসমানের রক্ষককে বললেন, দরজা খোলো। আসমানের রক্ষক বললেন, আপনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন, আমি জিবরাইল (আ.)। (আকাশের রক্ষক) বললেন, আপনার সঙ্গে কি কেউ রয়েছেন? জিবরাইল (আ.) বললেন, হ্যাঁ, মুহাম্মদ (সা.) রয়েছেন। রক্ষক তখন বললেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? জিবরাইল (আ.) বললেন, হ্যাঁ।আরও পড়ুনযে আয়াত...
    সবকিছু ঠিকঠাক। বিয়ের পাত্রী প্রস্তুত। দুই পরিবারও প্রস্তুত। শুধু পাত্র নেই! পাত্র কোথায়? তিনি খেলছেন এসএ টোয়েন্টির ফাইনাল। তিনি যে বিয়ে করবেন না, তা নয়। তবে ফাইনালের জন্য আসতে দেরি হবে তাঁর। তাই শনিবারের বিয়ে নিয়ে গেছেন রোববারে। ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডেভিড বেডিংহামের। এসব করলেন যে ফাইনালের জন্য, সেটি অবশ্য হেরেই গেছেন। কাল মুম্বাই কেপটাউনের কাছে ফাইনালে ৭৬ রানে হেরে গেছে তাঁর দল সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ।এই হারে অবশ্য বেডিংহামের স্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা! ফাইনালের জন্য এমনিতেই এক দিন দেরি হয়েছে, সঙ্গে ফাইনালের উদ্‌যাপনের জন্য যদি আরও দেরি হয় তাহলে তো বিপদ! এমন শঙ্কা কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ছিল, সেটা বেডিংহামই জানিয়েছেন। সেই শঙ্কা থেকে ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন বেডিংহামের বন্ধু ও তাঁর ভাই। যাদের কাজই ছিল কালক্ষেপণ না করে বেডিংহামে বিয়ের...
    এক দেশে ছিলো এক জিরাফ। সে খুব ভয় পেতো। একদিন জিরাফ হাঁটছিলো। হাঁটতে হাঁটতে সে একটা জঙ্গলে পৌঁছালো। তারপর শুনলো-হাউ মাউ খাও মানুষের গন্ধ পাও! জিরাফ দৌড়ে গিয়ে একটি মেয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেলো। জিরাফকে দেখে মেয়েটির খুব পছন্দ হলো। মেয়েটি বললো, তোমার নাম কী? জিরাফ বললো, আমার নাম জিরাফ। তোমার নাম কী? মেয়েটি হেসে বললো, আমার নাম শায়না। তারপর জিরাফ আর শায়না খুব ভালো বন্ধু হলো। বয়স : ৩+৩+১ বছর; প্রথম শ্রেণি, পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
    শেষ পর্ব কালের খেয়ায় পত্রস্থ হলো আজ এ ধারাবাহিক রচনার শেষ পর্ব। পূর্ণাঙ্গ লেখাটি আসছে একুশে গ্রন্থমেলায় আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিতব্য এন লিং বলে, আমার বাবা ক্যান্টনে এক ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। ম্যানেজার ছিলেন। কালচারাল রেভল্যুশনের সময় তাঁকে গ্রামে কমিউনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁকেও কমিউনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা এখনও কমিউনে আছেন। আমি যাই তাদের দেখতে। ছুটি পেলে তারাও আসেন। আলী হোসেন বলেন, শহর থেকে গ্রামে কমিউনে গিয়ে তাদের কষ্ট হয়নি? এন লিং বলে, তারা খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তারপর সে বলে, তারা তো একা নন। আরও অনেকে গিয়েছে শহর থেকে গ্রামে। আলী হোসেন বলেন, কালচারাল রেভল্যুশন কি ভালো ছিল? কোনো লাভ হয়েছে তাতে? শুনে এন লিং খুব সচেতন হয়ে যায়। সতর্ক হয়ে বলে, পার্টির নির্দেশ সবাই মেনে চলে।...
    একটি বাগানের একজন মালিক ছিলেন। লোকটি ছিলেন খুবই আল্লাহভীরু। তিনি বাগানের ফসলের নির্দিষ্ট একটি অংশ গরিব-মিসকিনদের দান করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে সেই বাগানের মালিক হলো। তিন ছেলের মধ্যে দুজন ভাবল, তাদের পরিবারের লোকসংখ্যার তুলনায় বাগানের ফসল খুবই কম। ফসলের নির্দিষ্ট অংশ আর গরিব-মিসকিনকে দান করা সম্ভব নয়। ছেলের মধ্যে একজন অবশ্য গরিব-মিসকিনকে দান করতে চাইল। কিন্তু বাকি দুই ছেলে তার কথায় কান দিল না। পরদিন সকালে ভিক্ষুক আসার আগেই তারা ফসল কেটে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করল। প্রতিজ্ঞা করার সময় তারা ইনশা–আল্লাহ (আল্লাহ চাইলে) বলল না। ইনশা–আল্লাহ না বলায় এবং গরিব-মিসকিনকে কিছু না দেওয়ার অপরাধে আল্লাহ তাদের বাগানের ওপর গজব নাজিল করলেন।তিন ভাই ঘুমিয়ে থাকার অবস্থায় প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেল। এতে বাগানের ফসলের বিরাট ক্ষতি হলো। সকালে তারা ফসল...
۱