খালেদা জিয়ার সুস্থতা গণতান্ত্রিক শক্তির প্রেরণার উৎস: জহির উদ্দিন স্বপন
Published: 6th, December 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন; তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের প্রতীক। তাঁর সুস্থতা গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য প্রেরণার উৎস। তাই আজ দেশের সব মানুষ তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে।’
গৌরনদী সরকারি কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এলাকার হাজারো মানুষ।
জহির উদ্দিন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অকুতোভয়, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন। তিনি দেশের সব মানুষের প্রার্থনায় আছেন। তাঁর সুস্থতার জন্য সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করছেন। কারণ, তিনি এ দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য এক অনন্য শক্তি ও প্রেরণার উৎস।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও সব শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এটি একজন রাজনৈতিক অভিভাবকের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য এই মুহূর্তে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জহির উদ্দিন বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার যে আপসহীন সংগ্রাম, সেটাই তাঁকে এই মুহূর্তে একজন অনিবার্য রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের অভিভাবকে পরিণত করেছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে বিশেষভাবে তাঁর অনিবার্যতা তৈরি করেছে। আর গণতান্ত্রিক উত্তরণের এ সময়ে খালেদা জিয়া এখন আরও বেশি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি গৌরনদী-আগৈলঝাড়াসহ সারা দেশের মানুষের প্রতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মিজানুর রহমান খান, গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম, সদস্যসচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব বশির আহমেদ, গৌরনদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সফিকুর রহমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ত র জন য ব এনপ র র জন ত গ রনদ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের তরুণেরা সব সময়ই ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে: আইন উপদেষ্টা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের তরুণদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘মহান জুলাই অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা গর্বের সঙ্গে স্মরণ করছি। তবে এটি নতুন নয়, আমাদের তরুণেরা সব সময় দেশে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ বছর ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক আইন শেখা এবং বিতর্কের জন্য জাতীয় আবেগের প্রতিফলন এটি। জেসাপ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জেসাপ যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতা। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থী, কোচ, আয়োজক ও প্রাণবন্ত মুট কোর্ট সমাজের নিষ্ঠার প্রতিফলন।’
আসিফ নজরুল বলেন, জেসাপ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি কঠোর গবেষণা দক্ষতা, স্পষ্ট লেখা, অ্যাডভোকেসি ও কার্যকর দলবদ্ধতা তৈরি করে। তিনি আশা করেন, এই কর্মশালা তরুণদের দক্ষতা আরও তীক্ষ্ণ করবে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি তরুণদের অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালাটি অ্যাডভোকেসি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ফিলিপ সি জেসাপ আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার (জেসাপ) ১০ম বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জনের রাউন্ডে সফলভাবে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে ডিজাইন করা হয়েছে। জেসাপ মুটিং আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্টের ‘বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত।
কর্মশালাটি দুই দিনের। শিরোনাম ‘মে ইট প্লিজ দ্য কোর্ট: দ্য কেস কনসার্নিং দ্য ক্রাফট অব জেসাপ অ্যাডভোকেসি’। আয়োজক জেসাপ বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএসএ)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা সেরা সেথলিকাই, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভ ডাওল্যান্ড, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসেন, আন্তর্জাতিক আইন ছাত্র সমিতির জাতীয় সমন্বয়কারী নূরান চৌধুরী, হার্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক পরব নাসের সিদ্দিক, জেসাপ বাংলাদেশের জাতীয় প্রশাসক মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ।