গণিত: প্রশ্ন নম্বর–৩ 

প্রাথমিক বিদ্যালয়–শিক্ষার্থী মেধা যাচাই পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে ৩ নম্বর প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের ওপর। পুরো পাঠ্যবই থেকে ১৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে। ১৬টিরই সঠিক উত্তর দিতে হবে। নম্বর থাকবে ১৬। আজ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: গুণ্য, গুণক ও গুণফলের মান কত হলে তিনটি মানই সমান হবে?

উত্তর: শূন্য অথবা এক হলে।

প্রশ্ন: যে সংখ্যাকে অন্য সংখ্যা দ্বারা গুণ করা হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর: গুণ্য।

প্রশ্ন: যে সংখ্যা দ্বারা অন্য সংখ্যাকে গুণ করা হয়, তাকে কী বলে? 

উত্তর: গুণক।

প্রশ্ন: গুণ্য বা গুণক যেকোনো একটির মান শূন্য হলে গুণফল কত হবে? 

উত্তর: শূন্য (০)। 

আরও পড়ুনগণিত: টিক দাও, ৩০ নম্বর পাও০২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রশ্ন: একটি কলমের দাম ৩৩ টাকা হলে ১১০টি কলমের দাম কত?

উত্তর: ৩৬৩০ টাকা।

প্রশ্ন: রাস্তা মেরামতের জন্য একটি পরিবার ২৫০ টাকা দিলে ৩২৪টি পরিবার মোট কত টাকা দেবে।

উত্তর: ৮১০০০ টাকা। 

প্রশ্ন: একটি মোবাইল ফোনের দাম ৯৯৯ টাকা হলে ৪৫টি মোবাইল ফোনের দাম কত?

উত্তর: ৪৪৯৫৫ টাকা।

প্রশ্ন: এক ব্যক্তির দৈনিক আয় ২১৬ টাকা। এক বছরে তার আয় কত?

উত্তর: ৭৮৮৪০ টাকা।

প্রশ্ন: ভাজক ১, ভাজ্য ১, ভাগফল ১ হলে, ভাগশেষ কত হবে?

উত্তর: ০।

প্রশ্ন: দুটি সংখ্যার ভাগফল ১২, একটি সংখ্যা ৪ হলে অপর সংখ্যাটি কত?

উত্তর: ৪৮। 

প্রশ্ন: দুটি সংখ্যার গুণফল ২২৫, একটি সংখ্যা ২৫ হলে অপর সংখ্যাটি কত?

উত্তর: ৯।

প্রশ্ন: যে সংখ্যাকে অন্য সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর: ভাজ্য।

প্রশ্ন: যে সংখ্যা দ্বারা অন্য সংখ্যাকে ভাগ করা হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর: ভাজক। 

প্রশ্ন: ‘ভাগশেষ

উত্তর: ভাগশেষ সব সময় ভাজকের চেয়ে ছোট।

প্রশ্ন: দুটি সংখ্যার গুণফল ৬২৭২, একটি সংখ্যা ৬৪ হলে অপর সংখ্যাটি কত? 

উত্তর: ৯৮।

প্রশ্ন: ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করে যে ফল পাওয়া যায়, তাকে কী বলে?

উত্তর: ভাগফল। 

প্রশ্ন: একটি সামাজিক কাজে ৩৬৭টি   পরিবার ১০ টাকা করে দিলে মোট কত টাকা হয়?

উত্তর: ৩৬৭০ টাকা।

প্রশ্ন: একটি বই তৈরিতে ১২৮ তা কাগজ লাগলে ১০টি বই তৈরি করতে কত তা কাগজ লাগবে?

উত্তর: ১২৮০ তা।

প্রশ্ন: একটি বাক্সে ২৫০টি প্যাকেট থাকলে ২টি বাক্সে কতটি প্যাকেট থাকবে?

উত্তর: ৫০০টি ।

প্রশ্ন: বন্ধনী থাকলে বন্ধনীর ভেতরের অংশের হিসাব কখন করতে হয়?

উত্তর: প্রথমে।

প্রশ্ন: একটি চেয়ারের মূল্য ৬২৫ টাকা হলে ৫টি চেয়ারের মূল্য কত?

উত্তর: ৩১২৫ টাকা

প্রশ্ন: রফিক সাহেব প্রতি মাসে ৪২০ টাকা ব্যাংকে জমা করেন। ১ বছরে তাঁর কত টাকা জমা হবে?

উত্তর: ৫০৪০ টাকা।

প্রশ্ন: একটি পানির ট্যাংকে মিনিটে ২ লিটার পানি জমা হলে ১০ মিনিটে কত লিটার পানি জমা হবে?

উত্তর: ২০ লিটার।

প্রশ্ন: ২টি চেয়ারের দাম ১৫০০ টাকা হলে ১টি চেয়ারের দাম কত? 

উত্তর: ৭৫০ টাকা।

প্রশ্ন: পিতার বয়স ৬০ বছর ও কন্যার বয়স ১৬ বছর। পিতা ও কন্যার বয়সের পার্থক্য কত বছর?

উত্তর: ৪৪ বছর।

প্রশ্ন: কন্যার বয়স ১৬ বছর ও পিতার বয়স ৬৪ বছর। পিতার বয়স কন্যার বয়সের কত গুণ?

উত্তর: ৪ গুণ।

প্রশ্ন: একটি ডিমের দাম ৭ টাকা হলে ১৫টি ডিমের দাম কত?

উত্তর: ১০৫ টাকা।

প্রশ্ন: ৪টি কলমের দাম ৮০ টাকা হলে ১টি কলমের দাম কত?

উত্তর: ২০ টাকা।

প্রশ্ন: ভাজক ৭৮, ভাগফল ২৫ হলে ভাজ্য কত?

উত্তর: ১৯৫০।

প্রশ্ন: তিনটি খাতার দাম ৭২ টাকা হলে ১টি খাতার দাম কত?

উত্তর: ২৪ টাকা।

রতন কান্তি মণ্ডল, মাস্টার ট্রেইনার, শিক্ষক
উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য স খ য কলম র দ ম ভ গফল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আবারো বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন 

ভারতে আবারো স্থাপিত হলো বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা ও রেজিনগরের মাঝামাঝি এলাকায় শনিবার বাবরি মসজিদের আদলে নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সকাল ১০টা থেকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বেলা ১২টায় শুরু হয় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মূল অনুষ্ঠান। 

মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন করিরের বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে সৌদি আরব থেকে এসেছিলেন মুফতি সুফিয়ান। মদিনা থেকে এসেছেন শেখ আবদুল্লা। এর পাশাপাশি, ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসল্লি এসেছিলেন। যে যার সাধ্যমতো কেউ দুটো, কেউ চারটে, কাউকে ছয়টা ইট মাথায় নিয়ে সভাস্থলে এসেছিলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে দান হিসেবে এই ইট এনেছেন তারা। সভাস্থলেই  প্রায় কয়েক কোটি রুপি মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করেন মুসল্লিরা। এককভাবে এক ডাক্তারই দিয়েছেন এক কোটি রুপি। 

হুমায়ুনের মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না-হয়, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

শনিবার উদ্বোধন হলেও আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার সকাল থেকেই বেলডাঙ্গা ও আশপাশের অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, বিএসএফসহ তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী। 

ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাহি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রায় ৪০ হাজার অতিথি। স্থানীয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও দর্শনার্থীর জন্য ছিল শাহী বিরিয়ানির ব্যবস্থা। রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাতটি কেটারিং সংস্থাকে। এছাড়া তৈরি করা হয়েছিল ৪০০ অতিথি ধারণ ক্ষমতার মঞ্চ। সবদিক সামল দেওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছিল। পুরো আয়োজনে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় কয়েক কোটি রুপি। 

বরখাস্ত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির শনিবার মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, একটি ইটও কেউ সরাতে পারবে না, কারণ বাংলার ৩৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা যেকোনো মূল্যে এটি তৈরি করবে। মসজিদ তৈরি হবে। 

তিনি উপাসনালয় নির্মাণের সাংবিধানিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি অসাংবিধানিক কিছু করছি না। যে কেউ মন্দির বানাতে পারে, যে কেউ গির্জা বানাতে পারে; আমি মসজিদ বানাব। বলা হচ্ছে যে আমরা বাবরি মসজিদ বানাতে পারব না। এটা কোথাও লেখা নেই। সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল যে হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে। হিন্দুদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে এখানে মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা দেখছি সাগরদিঘিতে কেউ রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছে। কিন্তু সংবিধান আমাদের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেয়।”

কবির জোর দিয়ে বলেন, আইনি চ্যালেঞ্জ মসজিদের নির্মাণকে আটকাতে পারবে না। আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে, কিন্তু যার সঙ্গে আল্লাহ আছেন তাকে কেউ থামাতে পারবে না। আদালতও স্পষ্টভাবে বলেছে যে ভারতের সংবিধানে লেখা আছে যে কেউ মসজিদ তৈরি করতে পারে; এটি একটি অধিকার।”

কবির জানান, মসজিদের জন্য ৩০০ কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, ২৫ বিঘা জমির মসজিদ চত্ত্বরে নির্মাণ হবে কলেজ হাসপাতাল। মূল মসজিদ নির্মাণ হবে তিন কাঠা জমির উপর। যেখানে একটি হাসপাতাল, গেস্টহাউস এবং সভাকক্ষও থাকবে। মসজিদ নির্মাণে টাকার অভাব হবে না। মসজিদ নির্মাণের জন্য এক শিল্পপতি ৮০ কোটি রুপি দিয়েছেন।

তিনি এই প্রকল্পের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “এটি মুসলমানদের প্রতিশ্রুতি: বাবরি মসজিদ তৈরি হবেই, হবেই, হবেই।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ