রাজনৈতিক সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, অন্তর্বর্তী সরকার একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
Published: 25th, November 2025 GMT
রাজনৈতিক সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি–সম্পর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট আগামী ৪ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
ওই মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কী বলেছেন, তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ‘ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং তাঁদের (রিট আবেদনকারী) কাউন্সিল কিছুক্ষণ আগে ব্রিফ করেছেন, তাঁরা বলেছেন তারেক রহমান যেটা বলেছেন গতকালও ওনাদের কনসার্ন (উদ্বেগ) হবে যে রাজনৈতিক দল এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক, সে ক্ষেত্রে যুক্তি খণ্ডাবেন কীভাবে’—এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটা ওনাদের সাবমিশন ওনারা বলেছেন। আমাদের কথা যদি পলিটিক্যাল গভর্নমেন্ট (রাজনৈতিক সরকার) যে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের বন্দর কিংবা এলডিসি থেকে উত্তরণের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ–পরিচালনা এবং ঢাকার পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তারেক রহমান বলেছেন, ‘একটি দেশ যেই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, সেই সরকার দেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের চুক্তি–সম্পর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে ওই রিটটি করা হয়েছিল। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আহসানুল করিম ও কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো.
‘সরকারের জনবিচ্ছিন্ন, জনবিরোধী কোনো এজেন্ডা নেই’
রাজনৈতিক ঐকমত্য হচ্ছে ওই চুক্তির বিরুদ্ধে—এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। সেই লাইফলাইনে আমরা কত বেশি স্বচ্ছতা আনতে পারব, এটা একটা পাবলিক পলিসি। সেই পলিসি ধরেই সরকার এগোচ্ছে। সরকারের জনবিচ্ছিন্ন, জনবিরোধী কোনো এজেন্ডা নেই।’
শুনানির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা যা করেছি সংবিধানের মধ্য থেকে, আইনের মধ্য থেকে ও পিপিপির মধ্য থেকে করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে দায়িত্ব পালন করছেন, এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইজ ফাংশনিং। প্রধানমন্ত্রী যে কাজগুলো করতে পারতেন, এই প্রধান উপদেষ্টা এবং এই ক্যাবিনেট (উপদেষ্টা পরিষদ) একই কাজ ওনারা করতে পারেন, যা হচ্ছে সাংবিধানিক স্কিম। এটা বলতে গিয়ে সংবিধানের চতুর্থ শিডিউলের ক্লজ ২ ও ৪ পড়ে শুনিয়েছি। নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের পরের প্রেক্ষাপট টেনে এনেছি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিজয়ী শক্তি নির্ধারণ করে—তার নেতা কে, তার সরকার কে, সে কীভাবে পরিচালিত হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই বাংলাদেশের বিজয়ী শক্তি নির্ধারণ করেছিল আমার সংবিধান কেমন হবে, নেতা কে হবে, আমার দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে। ঠিক একইভাবে এই সময়ে এসে আবার নির্ধারিত হয়েছে, আমরা কীভাবে চলব। তারই ধারাবাহিকতায় এই সরকার পরিচালিত হচ্ছে। এখানে কোনো ব্যত্যয় নেই। কোনো সন্দেহ নেই। কোনো অস্পষ্টতা নেই—এটা আমরা বলেছি।’
‘এখনো কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘একটি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা চলছে। এটা নিয়ে গোটা জাতির সামনে জনস্বার্থে মামলা করে বিভ্রান্তিমূলক একটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেটি হলো চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আদালতকে বলেছি, এই রিট কয়েকটি কারণে খারিজ হবে। ইতিপূর্বে এ বিষয়ক রিট সরাসরি খারিজ হয়েছে—একই পয়েন্টের ওপরে গ্রহণ করা হলে সেটি দ্বৈত নীতি হবে। রিট তখনই হয় যদি কার্যকারণ তৈরি হওয়ার মতো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত থাকে। এই ইস্যুতে এখনো কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে। এই প্রাথমিক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের অনেক রায় আছে যে প্রিম্যাচিউর স্টেজে (অপরিণত পর্যায়ে) জুডিশিয়াল রিভিউ গ্রহণ করার সুযোগ নেই।’
‘এই মুহূর্তে সরকার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে না’
শুনানিতে কী বলেছেন, তা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীরাও। রিট আবেদনকারীপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৩ সালে সরকার নীতিগতভাবে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে চুক্তির জন্য অনুমোদন দিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে এই সরকার এসে চুক্তির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিচ্ছে। চলমান প্রক্রিয়া—এটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। চ্যালেঞ্জ করার কারণ হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) অ্যাক্টের অধীন কোনো বিদ্যমান কাঠামো যেগুলো আছে, তা বিদেশিদের কাছে দেওয়া যাবে না। পোর্টটি বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত, যেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার ৬০০ কোটি টাকার মতো রাজস্ব পাচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা যায়। যেহেতু পিপিপি অ্যাক্টে বিদ্যমান কোনো কাঠামোর ওপর কোনো অপারেশন (পরিচালনা) করা যায় না, সরকার ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হাতে দেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া করছে, এটা অবৈধ ও আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। আইনে নতুন নিয়মে অন্তত ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। সেখানে ডিপি ওয়ার্ল্ড ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে, যেটি আইন অনুযায়ী সমর্থিত নয়।
আহসানুল করিম আরও বলেন, ‘আইনে আছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বোর্ড অব গভর্নরস গঠিত হবে। বোর্ড অব গভর্নরস কে হবে? রুলস অব বিজনেসে যেভাবে বলা দেওয়া আছে সেভাবে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর সমন্বয়ে গঠিত হবে। কিন্তু এখন সংসদ নেই। আমাদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু সংসদ নেই, প্রধানমন্ত্রী নেই, মন্ত্রী নেই সুতরাং এই মুহূর্তে এই সরকার কোনো ধরনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে না।’
‘বিভিন্ন আইন ভঙ্গ করে ধারাবাহিকতাটা রক্ষা করতে চাচ্ছে’
রিট আবেদনকারীপক্ষের অপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আরগুমেন্টের মূল প্রণিধানযোগ্য যে বিষয়গুলো ছিল, তা হলো বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে বর্তমান এই অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের স্টেট পলিসির (রাষ্ট্রীয় নীতি) ক্ষেত্রে তাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। ফ্যাসিস্ট রেজিমের প্রধান পলাতক শেখ হাসিনার সময় ২০২২–২৩ সালে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করা হয়েছিল। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ফ্যাসিস্ট রেজিমের প্রধান পলাতক শেখ হাসিনা যে সমঝোতা স্মারক করেছিল, সেটির ধারাবাহিকতা যেন রক্ষা করা না হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন আইন ভঙ্গ করে এই ধারাবাহিকতাটা রক্ষা করতে চাচ্ছে। সে কারণে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাম ফ্রন্টসহ সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য–বিবৃতি এবং সর্বশেষ গতকালও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটা টুইট করেছিলেন, যা প্রতিটি দৈনিকে শিরোনাম করেছে যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো স্টেট পলিসির ক্ষেত্রে কোনো চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হতে পারে না।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কায়সার কামাল আরও বলেন, আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন এই বলে যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়। আইনে আছে, এই কমিটির চেয়ারম্যান হতে হবে প্রধানমন্ত্রীর। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, এই সরকার জনগণের সরকার। আমাদের উপস্থাপনায় বলেছি, এই সরকার রাজনৈতিক দল কর্তৃক সমর্থিত সরকার। জনগণের সরকার তখন হবে যখন জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগে। সেই সংসদ যে সরকারকে নির্বাচিত করবে, সেই সরকারই হবে জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত সরকার। এ বিষয়গুলো আগামী সংসদ নির্বাচন তথা সংসদ নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকারের জন্য এই নীতিগত প্রশ্ন ও নীতিগত বিষয়গুলো রাখার জন্য আদালতের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
‘এখানে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পৃক্ত’
রিট আবেদনকারীপক্ষের অপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মূলত যেটা বলেছি, অন্তর্বর্তী সরকারের লিমিটেশন (সীমাবদ্ধতা) আছে। একটা নির্বাচিত সরকারের যেই ক্ষমতা আছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সেই ক্ষমতা নেই।…চট্টগ্রাম বন্দর একমাত্র বন্দর, এখানে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পৃক্ত। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা আছে, জাতীয় গোপনীয়তার ব্যাপার আছে, সার্বভৌমত্বের ব্যাপার এখানে আছে। যদি এটা বিদেশিদের কাছে চলে যায়, তাহলে তারা সবকিছু জেনে যাবে। কী আসছে, কী যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ অস্ত্র আমদানি করছে, সেটিও তারা জেনে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে না—একটা অন্তর্বর্তী সরকার যে সরকারের সীমাবদ্ধতা আছে—এটা করুক। জনগণের সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সরকার এটা করতে এগোচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, যদি বিদেশিরা এখানে চলে আসে।
বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন হাইকোর্টে ওই রিট আবেদনটি করেন। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ আদালত ৪ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন রাখেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ য ষ ঠ আইনজ ব আস দ জ জ ম ন র জন ত ক দল সরক র র জন ধ র ব হ কত জ ন র ল বল গ রহণ কর এই সরক র প রক র য় সরক র য ই সরক র সরক র এ জনগণ র আম দ র র জন য পর চ ল বল ছ ন মন ত র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, “গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থাহীনতা দূর করতে হবে।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এই কর্মশালার আয়োজন করে।
গুজবের ব্যাপকতা তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “জেনে-শুনে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। বিগত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে অপতথ্যের ব্যাপকতা ঘনীভূত হয়েছে।”
ভূমিকম্প সম্পর্কিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছু গণমাধ্যম ভূমিকম্প সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরিবর্তে প্যানিক (আতঙ্ক) ছড়িয়েছে। এটি দুঃখজনক।”
মাহফুজ আলম বলেন, “গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থা না থাকলে যে কেউ যেকোনো তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এজন্য গণমাধ্যমের ওপর জন-আস্থা ফেরাতে হবে।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “এটি কোয়াসি জুডিশিয়াল (আধা-বিচারিক) প্রতিষ্ঠান। বিগত সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করে রেখেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “অধিকারের জায়গা থেকে সাংবাদিকদের প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বিদ্যমান আইনের মধ্যে থেকে প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ