ফেনীতে দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া কসকা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ সাগর। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মনি সরকারের ছেলে। তাঁর আবাসন ব্যবসা রয়েছে। পাবনা থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনি বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সাগরের সঙ্গে আরও তিনটি মোটরসাইকেলে তাঁর তিন বন্ধু ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, চারটি মোটরসাইকেলে চার যুবক পাবনা থেকে বেড়াতে বান্দরবান যাচ্ছিলেন। তাঁরা ফেনীর লেমুয়া কসকা এলাকায় পৌঁছালে সড়কে ইউনটার্ন নেওয়ার জন্য ঘোরেন। এ সময় অপর দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মোহাম্মদ সাগরের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় সাগর গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাগরের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু মো.

সেলিম রেজা বলেন, পাবনা থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন। এরপর কুমিল্লার একটি হোটেলে তাঁরা রাত যাপন করেন। সকালে সেখান থেকে বের হয়ে বান্দরবান যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, নিহত সাগরের দুই ভাই ঢাকায় থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এসে লাশ দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে যাবেন।

ফেনীর হাইওয়ে মুহুরিগঞ্জ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন ম হ ম মদ দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সরিষার তেলে পোড়া মবিল, একজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি পাঁচ আসামি খালাস পেয়েছেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এই রায় দেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি। তিনি ঝিনাইদহ শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরে বাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেয় আশরাফসহ আরো পাঁচ জন। ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে আসামি হাফিজ মারা যান। ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার রায় দেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি। রায় সন্তোষজনক।’’

মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর ছেলে সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ বলেন, ‘‘রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পাওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। অন্যান্য আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’’

কোর্ট পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘‘চাঞ্চল্যকর মামলায় একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা অনুষ্ঠান ‘সবকিছুর আগে ভালো মানুষ হতে হবে’
  • যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের সুবিধা দিতে কেন পিছুটান দেখাই রাশেদা কে চৌধূরী
  • তেলাপোকা মারতে গিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টেই দিলেন আগুন
  • এআই ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় গঠিত হবে কেন্দ্রীয় সেল: সিইসি
  • টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
  • শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ
  • ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ৬০ হাজার
  • সাভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সর্বশেষ পলাতক আসামিও গ্রেপ্তার
  • সরিষার তেলে পোড়া মবিল, একজনের যাবজ্জীবন