রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে হতাহত হয়নি। অন্যান্য ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে শুধু ছেড়ে যেতে পারেনি রাজশাহী থেকে পাবনার ঢালারচর স্টেশনের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি।

রেলওয়ের একজন ওয়েম্যান জানান, সন্ধ্যায় ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢালারচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় অপর লাইনে থাকা দুটি বগির সঙ্গে ট্রেনটির ধাক্কা লাগে। এতে ঢালারচর এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে রাজশাহী থেকে ঢাকা ও অন্যান্য রুটে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি। শুধু ঢালারচরই আটকে যায়।

আরো পড়ুন:

শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ

লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবি জামায়াতের

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন জানান, বনলতা এক্সপ্রেসের দুটি বগি অন্য ট্রেনে লাগানোর জন্য স্টেশনে এনে রাখা হয়েছিল। সানটিংয়ের জন্য অপেক্ষমান ইঞ্জিন ছাড়া এ বগি দুটি নিজে নিজে পেছনের দিকে সরে যায়। আর তখনই স্টেশন থেকে বের হচ্ছিল ঢালারচর এক্সপ্রেস। এ সময় ওই দুটি বগির সঙ্গে ঢালারচরের দুটি বগির সংঘর্ষ হয়।

তিনি জানান, ঢালারচরের লাইনচ্যুত দুটি বগির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেনও আসছে। ট্রেনটি আসার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ হবে। এরপরই ট্রেনটি তার গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইনচ য ত ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

৩৩ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি : বঞ্চনার দীর্ঘশ্বাস প্রধান শিক্ষিকা বিলকিসের

“৩৩ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি”এমন করুণ আর্তিতে নিজের মনের ক্ষোভ ও বঞ্চনার কথা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি. আর. বিলকিস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি নিজের জীবনের সংগ্রাম, অবহেলা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন।

তিনি লেখেন,“বেতন-ভাতা নিয়ে কখনো কিছু বলিনি, লিখিনি। কিন্তু আজ মনে হলো লিখি একটু। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় টাইমস্কেল প্রাপ্য ছিলাম। আজ ২০২৫ সাল এর মধ্যে কত কিছুই ঘটে গেল, কিন্তু আমি পাইনি।”

তিনি আরও বলেন,“দেশ একটা, মন্ত্রণালয় এক, অধিদপ্তর এক তবুও কেউ টাইমস্কেল পেলো, কেউ পেলো না। আমি বা আমার মতো অনেক কপাল পোড়া শিক্ষক এখনো অপেক্ষায়।

বিলকিস উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ছিল তাঁর জীবনের এক কালো দিন। দ্বিতীয় শ্রেণির সিল ব্যবহারের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে তাঁদের জীবন যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষা।“

এখন আমরা সবাই মিলে তৃতীয় শ্রেণির কামলা। ৪৫ জন বাদী হয়ে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ভুলে গেছেন। তারা মর্যাদা চান, টাকার দরকার নেই। কিন্তু আমরা শুধু চেয়ে থাকি আকাশের দিকে।”

তিনি আরও লিখেছেন,“প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার ক্ষয়ে যায়, ভেঙে পড়ে, কিন্তু পদোন্নতির অস্তিত্ব নেই। আমরা যেন একেকটা জড় পদার্থ। তারপরও আশার বাণী শুনিয়েছেন ডিজি স্যার বলেছেন প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির কথা ভাবছেন।”

শেষে নিজের মানসিক অবস্থা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “জীবন যেন এক বোঝা হয়ে গেছে। দুঃখ এখন আমার শিক্ষকতার জীবনের অলংকার। আমি এক আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় শিক্ষক।”

ফেসবুকে প্রকাশের পর থেকেই তাঁর এই পোস্টটি ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। অনেকেই একে “দেশের হাজারো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাস্তব চিত্র” বলে মন্তব্য করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ