আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

পৃথিবীর কোনো শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব

পোস্টাল ভোটের জন্য সিলেট বিভাগে নিবন্ধন করেছেন ৩১ হাজার প্রবাসী

ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে তার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থন কাম্য।”

ওই ভিডিওতে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণের এক বিশেষ সুযোগ এসেছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিভাজনের রাজনীতির পরিবর্তে আমাদের প্রয়োজন জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সামাজিক, রাজনৈতিক ও জিওপলিটিক্যাল বন্দোবস্তের বাস্তবায়ন। এই লড়াই সহজ নয়।”

তিনি বলেন, “মতিউর রহমান, তারামন বিবি, নূর হোসেন, ফেলানী, আবরার ফাহাদ, আবু সাঈদ ও মুগদ্ধদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা। তাদের স্মৃতিকে সামনে রেখে আমি এই পুনর্গঠন ও বিনির্মাণের লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমি কোনো বড় রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা, অসংখ্য নিবেদিত কর্মী বা প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় অর্থের ওপর নির্ভরশীল নই। আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থনই আমার একমাত্র অবলম্বন।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে পারবে না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “বিগত ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) এই নির্বাচনে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ তারা নিজেরাই সহিংস পথ অবলম্বন করে নিজেদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বের করে দিয়েছে।”

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরীফ জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

নিজের হাতে নিজের পোস্টার ছিড়লেন শিশির মনির

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১০ আসনে লড়বেন আসিফ মাহমুদ

শফিকুল আলম স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো শক্তিই এই নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।” 

তিনি উল্লেখ করেন, “গত সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরাচারে থাকার কারণে মানুষ একটি ভালো নির্বাচন পায়নি, তাই সবাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।”

আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচন থেকে নিজেদের বের করে দিয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করে প্রেস সচিব বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান পরিচয় হলো তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবে, কিন্তু তারা তা না করে রাইফেল-পিস্তল নিয়ে শিশু-কিশোরদের খুন করতে নেমেছিল। তারা ভেবেছিল, বহু মানুষ হত্যা করলে জাতি গত ১৫ বছরের মতো আরো ১৫ বছর চুপ থাকবে। কিন্তু তারা খেয়াল করেনি যে পুরো জাতি জেগে উঠেছে।”

নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা বা আইন হাতে তুলে নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম। 

তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে এমন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অন্যায় ও অবৈধ দাবি নিয়ে মাঠে নামতে চাচ্ছেন, তাদের বিষয়ে সরকার যথেষ্ট কঠোর হবে।” 

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। যদিও তারা আগের দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তফসিল ঘোষণার কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গৃহীত হবে। 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর, এখানে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নেই।”

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ