আধুনিক রুশ সাহিত্যের জনক আলেক্সান্দার পুশকিনের কাছে একটা উড়ো খবর আসে। তাঁর অসামান্য সুন্দরী স্ত্রী নাতালিয়া পরকিয়ায় লিপ্ত নিজ বোনের বর জর্জ দিএন্থের সঙ্গে। ক্ষুব্ধ, ঈর্ষান্বিত পুশকিন তা সহ্য করতে পারলেন না। মনে মনে দিএন্থে বা দেন্থেকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এ যুদ্ধকে বলা হয় ডুয়েল। প্রথমে একজন স্বল্প দূরত্বে থেকে গুলি ছুড়বে এবং স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে অপরজন যতক্ষণ না গুলি ছোড়ে। আত্মঘাতী এই খেলার এই চ্যালেঞ্জ দেন্থে গ্রহণ করেন। ১৮৩৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সেন্ট পিটার্সবার্গের বাইরে একটা খোলা জায়গায় হিমশীতল দিনে, বরফে ভরা ময়দানে তাঁরা বন্দুকযুদ্ধের জন্য মিলিত হন। কিন্তু নিয়মমতো বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই দেন্থে পুশকিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি বুক বরাবর না লেগে পেটে বিদ্ধ হয়। পুশকিন মাটিতে পড়ে যেতে যেতে একটি গুলি ছোড়েন, কিন্তু তা দেন্থের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি।

গুলিবিদ্ধ পুশকিনকে সেন্ট পিটার্সবার্গে তাঁর ভাড়া করা বাড়িতে আনা হয়। চিকিৎসক অনেক চেষ্টায় রক্তপাত থামাতে পারলেন না। অবশেষে গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই দিন পর ১৮৩৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অসামান্য প্রতিভাবান, বোকা, আবেগী সাহিত্যিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কবিরা তো বোকাই হয়।

আমি এখন এই বোকা কবির বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়েছি। ময়কা নদীর ক্যানাল বয়ে গিয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের রাজপ্রাসাদের আশপাশের গলি দিয়ে। ক্যানালগুলোর দুই পাশের পথকে সংযুক্ত করেছে ছোট ছোট সেতু।

পুশকিনের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়কা নদীর ক্যানেল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিঠুর জোড়া গোলে আবারও সেমিফাইনালে এআইইউবি

গতবারের রানার্সআপ হিসেবে মাঠে নামার আগেই মানসিকভাবে এগিয়ে ছিল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)। মাঠে নেমে নিজেদের শক্তিটা ভালোই দেখিয়েছে তারা। আর সেই শক্তির সামনে পেরে ওঠেনি গতবারের সেমিফাইনালিস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়ে ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে এআইইউবি।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে আজ সকালে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রেয়তর দল হিসেবেই জিতেছে এআইইউবি। বাংলাদেশের শীর্ষ লিগের কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেছেন দলটিতে। গোলপোস্টের নিচে ছিলেন পুলিশ এফসির গোলকিপার আসিফ ভূঁইয়া, একই দলের ফরোয়ার্ড মঈন আহমেদ, ঢাকা মোহামেডানের ডিফেন্ডার আজিজুল হক, রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার অলফাজ মিয়া, আরমাবাগের মিডফিল্ডার আক্কাস আলী ও ওমর ফারুক মিঠু খেলেন। গত ম্যাচে খেলতে না পারা মোহামেডানের ফরোয়ার্ড সৌরভ দেওয়ানকেও আজ পেয়েছে এআইইউবি।

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিচ্ছেন এআইইউবির ওমর ফারুক মিঠু

সম্পর্কিত নিবন্ধ