নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। দুই পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করে মামলাগুলো করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) মামলাগুলো হয়।

আরো পড়ুন:

ঈদগাহ মাঠের পুরনো দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে টর্চ জ্বালিয়ে সংঘর্ষ

পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার জামে মসজিদে যুবদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো.

ফারুক হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত ও শিবিরের ১৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০–২০০ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।

অপরদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর শাখার আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-২১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ম মল ব এনপ স ঘর ষ ইসল ম য বদল ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়!

পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ মসজিদ নির্মাণকে ঘিরে বিপুল অনুদানের ফলে তৈরি হয়েছে কার্যত নগদ অর্থের পাহাড়। ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা (রুপি) এনে ঘরের মাঝে ঢালা হচ্ছে, আর চারিদিকে বসা মানুষ সেই টাকা গুনছেন।একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে টাকা গোনা।

টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা ভর্তি ১১টি ট্রাঙ্ক রয়েছে। আর সেই ট্রাঙ্কে থাকা টাকা গুনতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। টাকা গোনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে।

আরো পড়ুন:

বিজয় দিবসে কলকাতায় যাচ্ছেন সেনা-মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল

ভারতে নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৩

অনুদানের এই টাকা জমা পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার’ অধীনে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যত নগদ অর্থ দান হিসাবে জমা পড়েছে, তা আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে গোনা শুরু হয়। রাত ১২টার পরও চলে টাকা গোনা। তখনও পর্যন্ত ৭টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়, যা থেকে মেলে ৩৭ লাখ টাকা। পুরো টাকা গোনার কাজ চলছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিতে।

হুমায়ুন কবিরের দাবি, বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগেই কতটা জনপ্রিয় তা শুধু এই অনুদানের টাকা দেখেই বোঝা যায়। তিনি আরো দাবি করেন, কেবল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনই কিআর কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লাখ টাকা। মসজিদ নির্মাণের জন্য ২ দিনেই দান হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ১৫ লাখ ইট। 

গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন মুর্শিদাবাদে আবারো বাবরি মসজিদের নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রবিবার নিজে হাতে ইট নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সেইদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য। আরো বহু মানুষ অনুদান দিচ্ছেন।

হুমায়ুন দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বীরভূম, মালদাতেও ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন, দাবি হুমায়ুনের। বীরভূম, মালদায় ‘বাবরি’ মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস হুমায়ুন কবীরের।

বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য যে আপাতত নগদ অর্থের অভাব হবে না, তা এই বিপুল জমা অর্থ দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে টাকা গোনার এমন ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সাধারণ মানুষের একাংশ হুমায়ুনের স্বচ্ছতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও, বিরোধীরা নতুন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দানের উৎস, হিসাব ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ