দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: দুদু
Published: 23rd, October 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য ভাঙা যাবে না। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে শিবির-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা
বিএনপি ছেড়ে যোগ দিলেন আ.
দুদু বলেন, “গণহত্যাকারীরা দেশ থেকে পালিয়েছে। ব্যাংক-বীমাসহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান লুট করে দেশকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি—এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
তিনি বলেন, “বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গত ১৬ বছর ধরে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আছেন। মিথ্যা মামলায় নেত্রীকে বন্দি রাখা হয়েছে, চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। আল্লাহর কৃপায় তিনি এখনো বেঁচে আছেন। অন্যদিকে তারেক রহমানের ওপরও অন্যায় আচরণ হয়েছে, তাই তিনি দেশে ফেরার আগে সময় নিচ্ছেন এবং দল প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
দুদু বলেন, “দেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দলকেই ক্ষমতায় আনতে হবে, যারা জনগণের কথায় বিশ্বাস করে এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে—আমার বিশ্বাস, সেই দল হলো বিএনপি।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, শাহা নেচারুল হক, কৃষকদল নেতা শফিকুল ইসলাম সবুজ, রমিজ উদ্দিন রুমি, রবিউল ইসলাম তালুকদার রবি, আমির হোসেন দানেজ, মো. মুসা ফরাজী প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট
ফতুল্লায় এক ব্যবসায়ীর ফার্নিচারের দোকানে হামলা, মারধর, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী আঃ রহমান খোকন (৩৮) ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খোকন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে খোকন স্টোর নামের ফার্নিচারের দোকান পরিচালনা করছেন। অভিযুক্ত নুর আলম ও সালেহ বাবু এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক হিসেবে পরিচিত। তারা দলীয় পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ব্যবসায়ী খোকনের অভিযোগ, প্রায় এক মাস আগে থেকে অভিযুক্তরা তার নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হত্যার হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে, খোকন ও তার দোকানের কর্মচারী মিলন (৪৮) দোকানে বসে হিসাব-নিকাশ করছিলেন। সেই সময় নুর আলম, সালেহ বাবু এবং তাদের সহযোগী ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে।
খোকন তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, অভিযুক্তরা তাকে বেদম মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে এবং গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। তার স্ট্যাফ মিলন প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা টেনে-হিঁচড়ে দোকানের বাইরে নিয়ে গিয়ে খোকনের প্যান্টের পকেট থেকে ব্যবসায়িক কাজে রাখা ১ লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় যে, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা না দিলে ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে, দোকানেও বড় ধরনের হামলা চালানো হবে।
পরবর্তীতে আহত খোকন ও তার কর্মচারী মিলন স্থানীয়দের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল (খানপুর)-এ প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আঃ রহমান খোকন বলেন, ওরা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ দুই কর্মী। এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে কিছু বলতে পারে না। আমি চাঁদা না দেওয়ায় আমার দোকানে হামলা করে টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, মামলা করলে দেখে নেবে বলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, অভিযুক্ত নুর আলম ও সালেহ বাবু এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে পরিচিত। তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।