ভোলা শহরের নতুনবাজার চত্বরে আজ শনিবার বিকেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হকার ও ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়ে পৌর প্রশাসন। এ সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকেরা পৌরসভার তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, নতুনবাজার চত্বর একসময় নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র ছিল। তবে বিগত সরকারের সময়ে পুকুর ভরাট ও টাউন হল ভেঙে কমপ্লেক্স নির্মাণের পর আশপাশে শতাধিক অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে। আজ বিকেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আধা ঘণ্টার মধ্যে পৌরসভার ট্রাক তিনটি পুড়ে যায়।

ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মো.

মিজানুর রহমান বলেন, নতুনবাজার এলাকার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা, যানজটমুক্ত পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এর আগে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা অবৈধ স্থাপনা সরাননি। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে উত্তর পাশ উচ্ছেদ শেষে আজ দক্ষিণ পাশে অভিযান শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পৌরসভার কর্মীরা দোকান ভাঙা মালামাল ট্রাকে তুললে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে তিনটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নতুনবাজার হকার সমিতির সভাপতি মো. দুলাল বলেন, ‘আমরা কেউ অবৈধ নই। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীনরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলেন। মাসে মাসে ভাড়াও দিতাম। কিন্তু বৈধতা না দিয়ে মৌখিকভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমার তিনটি দোকান ভাঙায় ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা, আর সব মিলিয়ে শতাধিক দোকানে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে কে বা কারা পৌরসভার গাড়িতে আগুন দিয়েছে, আমরা জানি না। তখন শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ ছিল।’

ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় প রসভ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ