“বিএনপি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে, সারাদেশে এখন বিএনপির জয়জয়কার” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।

মীর সরফত আলী সপু বলেন, “একটি গোষ্ঠী এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশের মানুষ বিএনপির পাশে রয়েছে। তাই আমি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা সবাই সতর্ক, সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোন ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর বাজার, কেওটখালী বাজার ও হাঁসাড়া বাজারে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল ও জসিম মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব কামরুন্নাহার চৌধুরী অনু, বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান শিকদার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স নাদিম ও মাসুদ রানা, জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদ হাসান ফাহাদ, ছাত্রদল সভাপতি সাফকাত হোসাইন রকিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা-মাকে মারধর, ব্যতিক্রমী দিলো শাস্তি গ্রামবাসী

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পারিবারিক সহিংসতা ও মাদকাসক্তির জেরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল তার বাবা-মা। অবশেষে এলাকাবাসী তাকে কোমর সমান গর্তে পুঁতে রেখে শাস্তি দিয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে না পেরে খলিল তার মা খোদেজা খাতুনের ওপর ইট ও লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে খোদেজা খাতুন আহত হন। এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে মা–বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন খলিল। বারবার সতর্ক করা হলেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরিবারের সম্মতি নিয়েই তারা খলিলকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে তাকে পুঁতে রাখা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর সে নিজেই মাটি সরিয়ে বের হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে।

গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এর আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ, মুচলেকা ও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এক মাস আগেও মাদক সেবনের অভিযোগে তাকে ধরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও সে মায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা তুতা মিয়া বলেন, “আমরা কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। কিন্তু দিনের পর দিন মা–বাবার ওপর যে অত্যাচার সে করেছে, তার কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “কাউকে এভাবে শাস্তি দেওয়া আইনসম্মত নয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রফিক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ