মেথিকুমারী
অনিবার্য বিচ্ছেদে আমরা অমর হব
এ শহরের সব কথা ভেসে যাবে রাতের বাতাসে
আমাদের প্রেম ও কাম যত নামধাম
চাপা পড়ে রবে সব যার যার সকাশে।
ছাতিমগন্ধ শহরের পথ পানশালা চিনে নেবে
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমাদের শবদাহ হবে
আমরা চিতা হব নিরালা শ্মশানে,
ভেজা কাঠে সারা রাত দাউ দাউ জ্বলব
আমরা দুজনে।
যতবার আমরা খুন হব
আমাদের মন থেকে যাবে গন্ধের নুনে;
ছাতিমের পথ কিংবা তোমার মেথিগন্ধ
চুলের বাগানে,
বিচ্ছেদ বা অমরতার নিজস্ব নিয়মে।
আজ রাতে আমাদের মনে হবে
অমরতার মতো এক অনন্ত বিরহ আমরা কিনেছি,
নিরাময়-অযোগ্য মিলনের ভ্রান্তিবিলাসে।
কোন বিরহে তুমি পর্ণা, কোন বিচ্ছেদে অপর্ণা;
কার্তিকের কোন হলদেঘোর বিকেল এসে
একদিন বলে যাবে—আমি তুমি কেউ কারুর না!
বৃক্ষবিবরল শহরে তবু এই সব মনে করে
পর্ণকুটিরের মিথ বেঁচে থাকবে।
দালানে দালানে দীর্ঘ ছায়াফেলা শহরের পথ
আমাদের পায়ে পায়ে মুছে যাবে
অচেনা পথের চেনা আকুলতা
জেঁকে ধরবে ফের—সন্ধ্যা নামবে কবে?
কোনো এক পথে ফুটপাতে হঠাৎ
নিহত ছাতিমের মার্সিয়া সংগীতে
বিগত হেমন্তের তুমুল বিলাপে—
এই রাত লুটে নেবে এক গন্ধডাকাত!
কখনো আসেনি যে তার কথা ভেবে ভেবে
হেমন্তসন্ধ্যাগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে
শহর ভাসিয়ে সারারাত বয়ে যাবে আজ
কার্তিকের বিরহ প্রপাত।
রাত চলে যাবে
আহির ভায়রোতে ভিজে ভিজে ভোর আসবে
দূরত্ব অগম্য জেনে তবু
দোর খুলে রেখে আমরা জেগে থাকব
সাতটি পাতায় তিরতির কাঁপবে
হেমন্তের গন্ধমাতাল—সপ্তপর্ণা!
সপ্তপর্ণাকে তবু চিঠি লেখা হয় না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাতিমের মর্সিয়া
মেথিকুমারী
অনিবার্য বিচ্ছেদে আমরা অমর হব
এ শহরের সব কথা ভেসে যাবে রাতের বাতাসে
আমাদের প্রেম ও কাম যত নামধাম
চাপা পড়ে রবে সব যার যার সকাশে।
ছাতিমগন্ধ শহরের পথ পানশালা চিনে নেবে
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমাদের শবদাহ হবে
আমরা চিতা হব নিরালা শ্মশানে,
ভেজা কাঠে সারা রাত দাউ দাউ জ্বলব
আমরা দুজনে।
যতবার আমরা খুন হব
আমাদের মন থেকে যাবে গন্ধের নুনে;
ছাতিমের পথ কিংবা তোমার মেথিগন্ধ
চুলের বাগানে,
বিচ্ছেদ বা অমরতার নিজস্ব নিয়মে।
আজ রাতে আমাদের মনে হবে
অমরতার মতো এক অনন্ত বিরহ আমরা কিনেছি,
নিরাময়-অযোগ্য মিলনের ভ্রান্তিবিলাসে।
কোন বিরহে তুমি পর্ণা, কোন বিচ্ছেদে অপর্ণা;
কার্তিকের কোন হলদেঘোর বিকেল এসে
একদিন বলে যাবে—আমি তুমি কেউ কারুর না!
বৃক্ষবিবরল শহরে তবু এই সব মনে করে
পর্ণকুটিরের মিথ বেঁচে থাকবে।
দালানে দালানে দীর্ঘ ছায়াফেলা শহরের পথ
আমাদের পায়ে পায়ে মুছে যাবে
অচেনা পথের চেনা আকুলতা
জেঁকে ধরবে ফের—সন্ধ্যা নামবে কবে?
কোনো এক পথে ফুটপাতে হঠাৎ
নিহত ছাতিমের মার্সিয়া সংগীতে
বিগত হেমন্তের তুমুল বিলাপে—
এই রাত লুটে নেবে এক গন্ধডাকাত!
কখনো আসেনি যে তার কথা ভেবে ভেবে
হেমন্তসন্ধ্যাগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে
শহর ভাসিয়ে সারারাত বয়ে যাবে আজ
কার্তিকের বিরহ প্রপাত।
রাত চলে যাবে
আহির ভায়রোতে ভিজে ভিজে ভোর আসবে
দূরত্ব অগম্য জেনে তবু
দোর খুলে রেখে আমরা জেগে থাকব
সাতটি পাতায় তিরতির কাঁপবে
হেমন্তের গন্ধমাতাল—সপ্তপর্ণা!
সপ্তপর্ণাকে তবু চিঠি লেখা হয় না।