সালমান শাহর তৎকালীন স্ত্রী সামিরা ও অভিনয়শিল্পী ডনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 27th, October 2025 GMT
চিত্রনায়ক সালমান শাহ খুনের মামলায় তাঁর তৎকালীন স্ত্রী সামিরা হক এবং অভিনয়শিল্পী ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম খন্দকার সামিরা ও ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
২৯ বছর আগে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ২১ অক্টোবর রমনা থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। এই আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
মামলার এজাহারে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ, লতিফা হক লুছি, অভিনয়শিল্পী ডনসহ ১১ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনসালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ২০ অক্টোবর ২০২৫এরপর দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণও উল্লেখ করা হয়। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
চলতি মাসের ২০ তারিখ আদালত সালমান শাহর মায়ের রিভিশন আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সালমান শাহর মামা রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুনসালমান শাহ হত্যা মামলা, খোঁজ মিলছে না সামিরার, ডন কোথায়২৬ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র দ শত য গ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান শাহর তৎকালীন স্ত্রী সামিরা ও অভিনয়শিল্পী ডনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
চিত্রনায়ক সালমান শাহ খুনের মামলায় তাঁর তৎকালীন স্ত্রী সামিরা হক এবং অভিনয়শিল্পী ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম খন্দকার সামিরা ও ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
২৯ বছর আগে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ২১ অক্টোবর রমনা থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। এই আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
মামলার এজাহারে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ, লতিফা হক লুছি, অভিনয়শিল্পী ডনসহ ১১ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনসালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ২০ অক্টোবর ২০২৫এরপর দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণও উল্লেখ করা হয়। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
চলতি মাসের ২০ তারিখ আদালত সালমান শাহর মায়ের রিভিশন আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সালমান শাহর মামা রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুনসালমান শাহ হত্যা মামলা, খোঁজ মিলছে না সামিরার, ডন কোথায়২৬ অক্টোবর ২০২৫